‘অনির্বাণ আগামী’ শীর্ষক এ উৎসবের অংশ হিসেবে ৬-৮ সেপ্টেম্বর তিন দিনের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচমন্ত্রীসহ কয়েকজন বিদেশি অতিথি উৎসবে যোগ দেবেন।
এ উপলক্ষে বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সরকার দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৯ সালের ৪৯৪২ মেগাওয়াট থেকে গত ১০ বছরে ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। এবছরের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য হলো এই সফলতা তুলে ধরা এবং স্মরণীয় করে রাখা।
প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী ওই বছরের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার সাথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই- ইলাহী চৌধুরী জানান, দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা পাওয়ার ক্ষেত্রে এবছরের অনুষ্ঠান অনন্য সুযোগ নিয়ে আসবে। কারণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক তরুণ তাদের উদ্ভাবনী ধারণা জমা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরাতে তিন দিনব্যাপী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এতে শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
এছাড়া, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অংশীজনদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন বিষয়ে তিন দিনে চারটি সেমিনার হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে। সেই সাথে সাংবাদিকরাও তাদের সেরা প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পাবেন। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উন্নয়ন নিয়ে আয়োজিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিন শিক্ষার্থীও অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ করবে।