নিহত উলফাত আরা তিন্নি (২৬) উপজেলার যোগীপাড়া এলাকার মৃত ইউসূফ আলীর মেয়ে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তিন্নি তার মা ও বোন মিন্নির সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তার বোনের সাবেক স্বামী জমিরুল তিন-চারজনকে সাথে নিয়ে সেখানে যান এবং তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে জমিরুল ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং তিন্নির শোবার ঘরে গিয়ে তার শ্লীলতাহানি করেন। জমিরুলের হয়রানির পরে তিন্নি সিলিংয়ের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।’
‘খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় শৈলকুপার টহল দল তিন্নিকে উদ্ধার করেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়’, বলেন ওসি।
তিন্নির চাচাতো ভাই মখলেছুর রহমান জানান, কয়েক বছর আগে মিন্নি জমিরুলকে তালাক দেয়। সেই থেকে, তিনি তাদের বিরক্ত করতেন এবং তাকে আবারও বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
তিনি দাবি করেন, ‘জমিরুলের দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হওয়ার পর তিন্নি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।’
শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেছেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে হত্যার পেছনের মূল কারণ জানা যাবে।’
এদিকে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশদ্বারের সামনে মানববন্ধন করেন।