বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী ও কমনওয়েলথের মাধ্যমে আমাদের বন্ধনের সাথে সাথে বাংলাদেশে কুইন্স ব্যাটন রীলের আগমন ব্রিট বাংলা বাঁধনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
তিনি বলেন, ‘কুইন্স ব্যাটন রীলে ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কমনওয়েলথ গেমসের একটি অপরিহার্য অংশ যা এই গেমস চলাকালীন পর্যন্ত সমগ্র কমনওয়েলথ উদযাপন করে৷ এটি আশা, সংহতি ও সহযোগিতার ভাবনা জাগিয়ে তোলে। একই সাথে, অনন্য সংস্কৃতি গ্রহণকারী বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করে ও পরবর্তী প্রজন্মের ক্রীড়া তারকাদের অনুপ্রাণিত করে।’
কুইন্স ব্যাটন রীলের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ হাইকমিশন আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডিকসন এসব কথা বলেন।
এর আগে সন্ধ্যায় খ্যাতিমান বাংলাদেশি ক্রীড়া শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী ও শাকিল আহমেদ কুইন্স ব্যাটন ব্রিটিশ হাইকমিশনে বহন করে নিয়ে আসেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনে ব্যাটনটিকে স্বাগত জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বিওএ সভাপতি বলেন, ‘ব্যাটনটি বাংলাদেশে আসায় আমরা সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশ যদি ভালো সংখ্যক পদক নিয়ে আসতে পারে আমি খুব খুশি হবো।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সুশীল সমাজ সংস্থা, যুব সংস্থা, ব্রিটিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন কমনওয়েলথ দেশগুলোর মিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে আগমণের পর ব্যাটনটি জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) সফর করবে। ১০ জানুয়ারি ভারত সফরের আগ পর্যন্ত পর্যন্ত ব্যাটনটি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ সফর করবে। এই সফরগুলোতে বিভিন্ন বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাটন বহনকারীরা, ক্রীড়াবিদ এবং অন্যান্যরা তাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের আনার গল্প আলোচনা করবে।
আরও পড়ুন: সিইসির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিএনপি নেতার দাবি নাকচ মার্কিন দূতাবাসের