চালু হওয়া ইউনিটটি থেকে ১৭০ থেকে ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার ইউএনবিকে জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ২৮ মিনিটে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩নং ইউনিটটি চালু করা হয়েছে। এই ইউনিটটির ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন হলেও কয়লা স্বল্পতার কারণে আংশিক লোডে চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১৭০ থেকে ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ওই ইউনিটটি থেকে।
‘এই ইউনিটটি পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করতে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন’ জানিয়ে প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার বলেন, কিন্তু বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে ১১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। কয়লা প্রাপ্তি সাপেক্ষে তৃতীয় ইউনিটটি পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর পাশাপাশি প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।
গত ২২ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা লোপাটের ঘটনায় মজুদ প্রায় খালি হয়ে যায়। এরপর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন সম্পুন্ন বন্ধ হয়ে যায়।
ঈদের সময় উত্তারাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গত ২০ আগস্ট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২ নং ইউনিটটি চালু করা হলেও চালুর ৯ দিন পর আবার সেটি বন্ধ হয়ে যায়।