শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ৪৩টি বাস যোগে অন্তত ১৭শ রোহিঙ্গারা যাত্রা করে। রাত ৮টয় এসব রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম পৌছেছে।
আরও পড়ুন: 'আলহামদুলিল্লাহ, ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধায় সন্তুষ্ট’: এক রোহিঙ্গার অনুভূতি
ভাসান চর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক কমডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, দ্বিতীয় দফায় ১৭শর বেশি রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর কয়েকটি জাহাজে করে মঙ্গলবার তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
জানা গেছে, গত রবিবার থেকে বিকাল পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবির থেকে স্বেচ্ছায় ভাসান চর যেতে ইচ্ছুক এমন রোহিঙ্গা পরিবার গুলোকে উখিয়া কুতুপালং অস্থায়ী প্রত্যাবাসন ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে নিবন্ধন করা হয়। সেখান থেকে এসব রোহিঙ্গাদের কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে উদ্বেগের কিছু নেই, জাতিসংঘকে জানাল বাংলাদেশ
তবে এই বিষয়ে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অফিস থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও নির্ভর যোগ্য একটি সূত্র সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৩টি বাস যোগে অন্তত ১৭শ রোহিঙ্গারা যাত্রা করেছে বলে জানিয়েছে। বহরটির সাথে মালামাল বহনের জন্য ২০টির অধিক কাভার্ড ভ্যান ছিলো। সাথে এম্বুলেন্স ও আইনশৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয়টি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
ভাসান চরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া মো. জাহেদ হোসাইন বলেন, ‘আমাদের যাওয়ার জন্য কেউ চাপ দেইনি। ভাসানচরে যারা আছে তারা অনেক ভালো আছেন বলে ফোনে জানিয়েছেন। তাই আমি উন্নত জীবনের আশায় সেখানে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা স্থানান্তরকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করতে ঢাকার আহ্বান
প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর নারী-পুরুষ-শিশু মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের সাথে ১০ কোটি ডলারের অনুদান চুক্তি