ভাসানচর
স্মার্ট ডাক সেবার যুগে ভাসানচর
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দূর্গম উপকূলীয় অঞ্চল ভাসানচরকে স্মার্ট ডাকসেবার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ১৩ হাজার একরের ভূখণ্ডটি ডাক সেবার আওতাভুক্ত হলো।
রবিবার ভাসানচর সাব পোস্ট অফিস উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এর আগে গত ১ মার্চ প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর সফরকালে সেখানে কর্মরত সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় কর্মচারী–কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণের স্মার্ট ডাক ও কুরিয়ার সেবার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনা করে একটি সাব পোস্ট অফিস প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ভাসানচরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট ডাক সেবার যাত্রা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশে নিতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি পলকের আহ্বান
এ উপলক্ষে স্মার্ট প্লাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ভাসানচরের মানুষের স্মার্ট নাগরিক জীবনযাপন নিশ্চিত করতে টেলিটক ও অপর তিনটি মোবাইল অপারেটর এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে আধুনিক টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্মার্ট ডাক সেবা চালু করার মাধ্যমে চরবাসীর জন্য ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে পেরেছি বলে আমার বিশ্বাস।’
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পূর্বাঞ্চল. চট্রগ্রামের পোস্ট মাস্টার জেনারেল সালেহ আহমেদ, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মাহফুজার রহমান এবং সম্মুখ ঘাঁটি ভাসানচরের নির্বাহী কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মেহেদী হাসান বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: ‘জীবন’ হবে বিটিসিএলের লাইফ লাইন: পলক
৮ মাস আগে
ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর ভাসানচরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চার বছর বয়সী শিশু মুবাসসারা নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চমেকে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
এর আগে গত শনিবার রাসেল (৩) নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে আরও ৫ জন চিকিৎসাধীন।
তারা হলেন- জোবায়দা (২২), রোসমিনা (৫), রবি আলম (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিদগ্ধ সাতজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়।
এর মধ্যে- রাসেল ও মুবাসসারা নামে দুই শিশু মারা গেছে। বর্তমানে পাঁচজন বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে- রোসমিনা ৫০ শতাংশ, রবি আলম ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুন ৮ শতাংশ, সোহেল ৫২ শতাংশ ও জোবায়দা ২৫ শতাংশ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
৮ মাস আগে
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দগ্ধ ৯
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে পাঁচ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের সবাই রোহিঙ্গা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল দিকে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
আহতদের প্রথমে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক হাসিনা জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানে আগুনে পুড়ে কিশোর নিহত, দগ্ধ-২
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাসের চুলার আগুনে নারীসহ ৩ জন দগ্ধ
৮ মাস আগে
রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য নতুন করে আরও ৩০ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪২ কোটি টাকা) সহায়তা ঘোষণা করেছেন।
যুক্তরাজ্য সরকারের এই নতুন সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে দেওয়া হবে।
স্যার ফিলিপ বার্টন পঞ্চম যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কৌশলগত সংলাপে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছেন।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে একটি আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার যে অঙ্গীকার, এই কৌশলগত সংলাপ তাকেই প্রতিফলিত করে।
যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন বলেন, ‘আমি ইউএনএইচসিআর-এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকারের আরও তিন লাখ পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি পঞ্চম কৌশলগত সংলাপে যোগ দিতে সোমবার ঢাকা আসছেন
তিনি বলেন, ‘নতুন এই সহায়তা কক্সবাজার ও ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন পরিষেবা এবং রান্না করার জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতার পর তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এর পর ছয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ও এই সংকটদ্বারা আক্রান্ত সকলের পাশে আছে।’
পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, আমরা দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছি। যাতে করে শরণার্থীরা নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে; যখন সেখানকার অবস্থা তাদের জন্য অনুকূলে থাকে। যতদিন তা না হয়, যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়কে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে সহায়তা করার জন্য ৩৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৫ হাজার কোটি টাকার বেশি) অর্থ প্রদান করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, আশ্রয়, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থাসেবা ও সুরক্ষা পরিষেবা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য ৫ম কৌশলগত সংলাপ মঙ্গলবার
জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ সফরে আসছেন ৯ সেপ্টেম্বর
১ বছর আগে
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মাঝে কাতার চ্যারিটির গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ
ভাসানচরে ১৭ হাজার ৭৯৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর মাঝে সিলিন্ডার গ্যাস বিতরণ করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা কাতার চ্যারিটি।
রবিবার (২৭আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের পথে ৩৭৯ রোহিঙ্গা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় (আরআরআরসি) এবং জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর)-এর তত্ত্বাবধায়নে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে সম্প্রতি এই সহায়তা দেয় সংস্থাটি।
এতে বলা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে কাতার চ্যারিটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিভিন্ন সাহায্য করছে। জুলাই মাসে কক্সবাজারে ১ হাজার ৬৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে সংস্থাটি।
রোহিঙ্গা শরণার্থী নূর ফাতেমা বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কাতার চ্যারিটি থেকে সহায়তা পাচ্ছি। যা আমাদের শরণার্থী জীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।’
এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৩১ হাজার ৯৬৬ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়েছে বলে দাবি সংস্থাটির।
আরও পড়ুন: ভাসানচরের পথে আরও ৩৭৯ রোহিঙ্গা
চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের পথে ৬১৩ রোহিঙ্গা
১ বছর আগে
ভাসানচরে দুর্ঘটনার কবলে কন্টেইনারবাহী জাহাজ
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলের ভাসানচরে দুর্ঘটনায় নিমজ্জিত চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারবাহী জাহাজ পানগাঁও এক্সপ্রেস। এতে মালামাল ভর্তি ৩টি কন্টেইনার সাগরে ভেসে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সূত্রে এ এ তথ্য জানানো হয়। জাহাজটি উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর সদস্যরা।
আইএসপিআর জানায়, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে কনটেইনারবাহী জাহাজ পানগাঁও এক্সপ্রেস আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। এ সময় জাহাজটি কাত হয়ে গেলে ৯৬ টিইইউসের মধ্যে তিনটি কনটেইনার পানিতে ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জাহাজ দুর্ঘটনা: ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানায়, বন্দর থেকে জাহাজটি সী গ্লোরি শিপিং এজেন্সিস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ভাড়ায় নিয়ে পরিচালনা করছিল। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এটি সাগরে দুর্ঘটনায় পড়ে। জাহাজের নাবিকদের একটি বোটে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর চার্টারারের নিযুক্ত একটি টেকনিক্যাল টিম (ডলফিন মেরিন) চেষ্টা করছে জাহাজের পানি ও কনটেইনার অপসারণের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে বন্দরের শক্তিশালী টাগবোট কাণ্ডারী-১১সহ ভাড়া করার একটি টাগ দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সুগন্ধায় জাহাজ দুর্ঘটনা: ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবি, ১৩ জন উদ্ধার
১ বছর আগে
ভাসানচর পরিদর্শনে ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জাপান, চায়না, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও তাদের প্রতিনিধি দল ভাসানচর পৌঁছান।
সকাল ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ভাসানচর পৌঁছান জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো।
তাদের সঙ্গে আছেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের অফিসার-ইনচার্জ সিমোন পার্চমেন্ট।
একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলও ভাসানচর আসেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউ’র ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা
এই দলে আছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সালাহউদ্দিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব মো. কায়ছারুল ইসলাম, পরিচালক-৯ মোহাম্মদ নাজমুল হক, পরিচালক-১৪ ডা. মোহাম্মদ মহিবুল হাসান।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দল সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। এ সময় ভাসানচরের বিভিন্ন ওয়্যার হাউজে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের সুযোগ-সুবিধা, জীবনযাত্রার মানসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তারা। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ভাসানচর পরিদর্শন শেষে তারা ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাশা পূরণে আরও সম্পদ প্রয়োজন: রাষ্ট্রদূত নাওকি
ভাসানচর পরিদর্শন করলেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি
১ বছর আগে
ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভাসানচর ও এতিমখানায় 'ফান জোন' স্থাপন
ফুটবল বিশ্বকাপের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে কাতার চ্যারিটিসহ কাতারের আরও সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও কয়েকটি এতিমখানায় 'ফান জোন' স্থাপন করেছে।
ফান জোনে প্রতিদিন বড় স্ক্রিনে সরাসরি খেলা দেখানো হচ্ছে এবং আয়োজন করা হয়েছে প্রীতি ফুটবল ম্যাচও।
রবিবার ধামরাই উপজেলার কালামপুরে একটি অরফান কেয়ার সেন্টারের সুসজ্জিত ফান জোনে অনুষ্ঠিত হয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: মেসির গোলে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলে আর্জেন্টিনার জয়
এতিম শিশুরা চারটি টীমে বিভক্ত হয়ে খেলায় অংশ নেয়। আট শতাধিক এতিম শিক্ষার্থী বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে খেলা উপভোগ করে।
এছাড়া এতিম শিশুদের জন্য এখানে সরাসরি খেলা দেখানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১ বছর আগে
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউ’র ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তিন মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বৃহস্পতিবার কমিশনার ইয়ালভা জোহানসন রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান কমিশন ডেলিগেশন প্রধানের দূতাবাস ভবনে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: বেইজিংয়ের প্রচেষ্টার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে ঢাকা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ১০ ও ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় তিন মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে, এটা শুনে আমরা খুশি হয়েছি। কক্সবাজারেও রোহিঙ্গাদের তারা সহায়তা করেছে। বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যখন সংঘাত শুরু হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্ত খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়ার নির্দেশ দেন।’
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সব ধরনের মানবিক সহায়তা নিশ্চিতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে সহিংসতা ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের পুষ্টির বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। প্রথম দিকে যে পুষ্টি পরিস্থিতি ছিল, এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে সেই অবস্থা থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে।’
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যদি বাংলাদেশের মানুষ খেতে পায়, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সেই খাবার ভাগাভাগি করে খাব। সেজন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে মানবতার জননী উপাধি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।’
আরও পড়ুন: ‘বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দেয় জাতিসংঘ’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড ও আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
২ বছর আগে
ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ হাজার ৭৯ জনে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে ১৪তম ধাপে কক্সবাজার থেকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজযোগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছায়।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা টুনা, বানৌজা ডলফিন এবং বানৌজা পেঙ্গুইন যোগে ৯৬৩ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হয়। এছাড়াও বানৌজা হাতিয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের লাগেজ ভাসানচরে আনা হয়।
নৌবাহিনীর ভাসানচর ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট হাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়িযোগে ৮৮, ৮৯ ও ৯০ নং ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, কক্সবাজার থেকে আগমন থেকে শুরু করে ভাসানচর আসা পর্যন্ত পুলিশ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে রয়েছে। ভাসানচর নামানোর পর বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন: মিয়ানমারের উদ্দেশে মোমেন
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি এক হাজার ২৮৭ জন, একাদশ দফায় এক হাজার ৬৫৫ জন ও দ্বাদশ দফায় দুই হাজার ৯৮২ জন এবং ত্রয়োদশ দফার তিন হাজার ৫৩২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়া, এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য চেষ্টা করা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।
জানা যায়, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবহিত করলেন মোমেন
২ বছর আগে