রুলে ফওজিয়া রিজওয়ানের নিয়োগ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে তার কাজে যোগদানের বিষয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তিনি দায়িত্ব নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পরে রিটকারী আইনজীবী বলেন, এ সংশ্লিষ্ট রিটের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০০৯ সালের রেগুলেশন ৫১ কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে ফওজিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবেনা, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এদিকে শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আদালত রুল জারি করেছেন। কিন্তু কোন নিষেধাজ্ঞা দেননি। এর ফলে ফওজিয়া রেজওয়ান অধ্যক্ষ হিসাবে ভিকারুননিসায় যোগদানে বাধা নেই।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার সবুজবাগ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালনরত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফওজিয়া রেজওয়ানকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
পরে ফওজিয়া রেজওয়ানের নিয়োগ স্থগিত চেয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে রিট দায়ের করেন ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। ওইদিন এ রিটের ওপর শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত আদালতের আদেশ না হওয়া পর্যন্ত ফওজিয়াকে ভিকারুননিসায় যোগদানে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৭৯ সালের রেগুলেশন ২(এ)(ই), ৩(১) (২) অনুযায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষমতা গভর্নিং বডির এবং ২০০৯ সালের রেগুলেশন ৪১ (২)(খ)(৪) অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা গভর্নিং বডির। কিন্তু সরকার অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে মাউশির একজন কর্মকর্তাকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়।
প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০১৮ সালে নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মুখে ভিকারুননিসার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিন শিক্ষককে সরিয়ে দেয়া হয়।
এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব চালিয়ে আসছেন কলেজ শাখার সহকারী অধ্যাপক হাসিনা বেগম। তিনি অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক। এরপর গত এপ্রিলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত হলেও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তা বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।