বৃহস্পতিবার বিচারপতি শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবদুল খালেক তালুকদার, শেখ আবদুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানা (৬৬), মো. কবির খান (৭০), আবদুস সালাম বেগ (৬৮) ও মো. নূরউদ্দিন ওরফে রোদ্দিন (৭০)। এদের সবার বাড়ি পূর্বধলা উপজেলায়। বর্তমানে আসামিরা প্রত্যেকেই পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি বিচারপতি শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
আইনজীবী সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী জানান, এই মামলায় প্রথমে সাতজন আসামি ছিল। সাত আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল তদন্ত সংস্থা। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিনই এক আসামি আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ট্রাইব্যুনালে এই মামলার যুক্তিতর্কের সময় গ্রেপ্তার আবদুর রহমান (৭০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে এক আসামি আহমদ আলী (৭৮) অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আগেই ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর মারা যায়।
রাষ্ট্রপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এই রাজাকারদের বিরুদ্ধে একাত্তরে ডা. হেম সুন্দর বাগচী হত্যা, নির্যাতন, লুণ্ঠনসহ একাধিক মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের বাড়িতে নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় বলে রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ রয়েছে।