বৃহস্পতিবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না ও আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফআর খান।
আইনজীবী মাক্কিয়া জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত বদল চেয়ে মিন্নি ওই আবেদন করেন।
গত বছরের ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
গত ১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে প্রধান সাক্ষী মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে মিন্নির বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও বর্তমানে তিনি হাইকোর্টের আদেশে জামিনে আছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে, ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত। সর্বশেষ বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন।
ইউএনবি/একিউএফ/জেজে