তিনি বলেন, ‘জানি না কতটুকু মানুষ হতে পেরেছি। মায়ের আশা পূরণ করতে পেরেছি কি না জানি না, তার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি কি না জানি না। কিন্তু এ সংগ্রাম চলবে।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার-পরিজন এবং অন্যদের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নগর ভবনে ডিএসসিসি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
তাপস বলেন, ‘যখনই যেই দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হয়েছে বা হবে, সেই দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথেই পালন করব। যাতে করে মা, বেহেশত থেকে কোনো সময় মন খারাপ না করে বলে- তাপস, তুই তো মানুষ হতে পারলি না।’
ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের পিতা-মাতাকেই হারায়নি, আমি আর আমার বড় ভাই শেখ পরশ, আমরা দীর্ঘ ২১ বছর আমাদের পিতা-মাতার হত্যাকারীদের বিচারও চাইতে পারিনি। খুনি-কুচক্রী মহল ২১ বছর বিচারের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হলে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতাসহ আমাদের পিতা-মাতার হত্যাকারীদের বিচারের সুযোগ তৈরি হয়।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদ, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী সব শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।