ডিএসসিসি মেয়র
সামষ্টিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিল যে, গত বছরের তুলনায় এ বছর এডিস মশার বিস্তার আরও বাড়বে। কিন্তু সামষ্টিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ‘এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাকে আমলে নিয়ে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে চিহ্নিত অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। আগের বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে যে সকল জায়গা আমরা লার্ভার অভয়ারণ্য হিসেবে পেয়ে থাকি, সেসব জায়গা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য চিহ্নিত করে তাদের ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণের মাধ্যমে ব্যাপক মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।’
‘আমরা ইতোমধ্যে সকল হাসপাতাল, থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি এবং এ পর্যন্ত ৪৮৫টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। গত বছরের জুলাই মাসে ১ হাজার ৩৩৭ জন রোগী চিহ্নিত হলেও এ বছর আজ পর্যন্ত ১২০ জন রোগী পেয়েছি। ফলে, সামষ্টিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
কোথাও এডিস মশার প্রজননস্থল সৃষ্টির আশঙ্কা থাকলে দক্ষিণ সিটির কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফোন করার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব, আপনারা নিজ উদ্যোগে নিজ বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। প্রতিদিন জমা পানি ফেলে দিন। কোথাও পানি জমতে দেবেন না। তার সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের কোনো স্থাপনা, জায়গায় যদি পানি জমে এডিস মশার প্রজননস্থল সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৪৪৪ ও ০২২৩৩ ৮৬০১৪ নম্বরে সরাসরি যোগাযোগ করে তথ্য দিন। আমাদের মশক কর্মীরা ১৫ মিনিটের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাহলে আরও কার্যকরভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৩ মাস কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করা হবে এবং এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সরাসরি তদারকিতে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল: ডিএসসিসি মেয়র
জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল।’
নগর ভবন প্রাঙ্গণে বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে নগর ভবন অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্র উদ্বোধনকালে ডিএসসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাবাসীকে দ্রুততর সময়ে সুষ্ঠুভাবে আরও বেশি সেবা দিতেই নগর ভবন প্রাঙ্গণে ‘অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান: ডিএসসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, ‘এখানে ঢাকাবাসী সরাসরি এসে জানতে পারবে যে- তার কাজের জন্য কোন জায়গায়, কোন দপ্তরে বা কোন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে, কী করতে হবে। এতে করে জনগণ তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেয়ে যাবে এবং সুন্দরভাবে তার কাজ সম্পন্ন করে ফিরে যেতে পারবে। সুতরাং সেবাগুলো যেন আরও সুষ্ঠভাবে নিশ্চিত হয় ও ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় যেন পৌঁছানো যায়, সে জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’
এই তথ্যকেন্দ্রের সেবা অবারিত রাখতে সিটি করপোরেশন সজাগ থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনিক সংস্কার যেমন চলমান রয়েছে তেমনি আমরা বিভিন্ন বিভাগে জনবল বৃদ্ধি করেছি। ফলে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। বর্তমানে কোনো কাজের জন্য আমরা প্রকল্পের ওপর নির্ভর করি না। সব কাজই নিয়মিত সূচি অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা হয়। এছাড়াও সেবার উৎকর্ষতা বাড়ানের পাশাপাশি সেবার মান যেন প্রতিনিয়ত বাড়ে, সেসব বিষয়ের ওপর আমরা নজর দিয়েছি। সুতরাং এই তথ্যকেন্দ্রের সেবা স্থায়ীভাবেই চালু থাকবে। এখান থেকে ঢাকাবাসী সহজে তাদের সেবা পাবে।’
উপস্থিত ছিলেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করা গেলে তবেই পরিকল্পনার সুফল পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার সিরডাপ মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিরাপদ নগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
তাপস বলেন, এখানে যিনি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন, তিনি দেখিয়েছেন- ঢাকার জনঘনত্ব পৃথিবীর মধ্যে সব শহরের চেয়ে বেশি। আমাদের মূল সমস্যা হলো, আমরা পরিকল্পনা করি বর্তমান অবস্থান ও তথ্য নিয়ে। আজকে যদি বর্তমান জনঘনত্ব বিবেচনায় পরিকল্পনা করা হয় তাহলে ১০ বছর পর দেখা যাবে এই ঘনত্ব আর থাকছে না। বেড়ে যাচ্ছে। কারণ একদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপ, অন্যদিকে ঢাকামুখী অভিবাসনের চাপ। এছাড়াও আমরা যে পরিকল্পনা করি তা বাস্তবায়ন করতেও ৩-৪ বছর লাগে। তাই, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জনঘনত্ব বৃদ্ধি ও ঢাকামুখী অভিবাসনের যে স্রোত, তা থামাতে না পারলে উন্নয়নের সুফল পাওয়া যাবে না। জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করা গেলে তবেই পরিকল্পনার সুফল পাওয়া যাবে।
ঢাকাকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করতে তিনটি কাজ আবশ্যক জানিয়ে মেয়র বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে আজকের প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ১৯টি সূচকের কথা বলা হয়েছে। আমি মনে করি ৩টি কাজ করতে পারলেই বাকি সূচকও পূরণ হয়ে যাবে। প্রথমত, আমাদের জাতিগতভাবে চেতনায় দুর্নীতি মুক্ত হতে হবে। দ্বিতীয়ত, আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। আর তৃতীয়ত, আইন বাস্তবায়নের জন্য বিচারালয়কে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তাহলেই আমাদের কাজের মাধ্যমে শহরের বাসযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক মো. সাইফুল আলম বলেন, নগরের সংকট সমাধানে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রাম হবে শহর, শহর হবে বাসযোগ্য- এই স্লোগানে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রকল্পের অনুমোদন: ডিএনসিসি মেয়র
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও আগুন লাগে। এই শহর কতটা নিরাপদ? তা আমাদের প্রশ্নেই ঘাটতি ফুটে উঠে। পৃথিবীর মেগাসিটির তালিকায় ঢাকা আয়তনের দিক থেকে ৪০তম, অথচ জনসংখ্যার ঘনত্বে প্রথম। এই শহরে পাঁচ লাখ গাড়ি চলার ব্যবস্থা আছে, অথচ চলে ১৬ লাখ গাড়ি। ঢাকায় রাস্তা, গাছ, জলাশয় অনেক কমলেও বাড়ছে শুধু মানুষ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লান্যার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নগরায়ন ও পরিবেশ সম্পাদক স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান, সাংবাদিক অমিতোষ পাল, বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হেলিমুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ।
সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান।
অনুষ্ঠানে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৬ জন সাংবাদিককে নগর সাংবাদিকতার জন্য 'বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' দেওয়া হয়। নিউ এইজের রাশেদ আহমেদ, বণিক বার্তার আল ফাতাহ মামুন, সমকালের যৌথভাবে অমিতোষ পাল ও লতিফুল ইসলাম, সারাবাংলা.নেটের রাজনীন ফারজানা এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের নাজমুল সাঈদকে 'বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে: মেয়র তাপস
৭ মাস আগে
ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই।
তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এবং নগরবাসীর সহযোগিতা নিয়ে ডিএসসিসি এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে চায়।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে ডিএসসিসির নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মতবিনিময়’ সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে: মেয়র তাপস
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করা হলে আমরা মাঠ পর্যায়ে আরও ফলপ্রসূ ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে পারব।
তিনি বলেন, গত বছর আমাদের অনেক রোগীর তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা যাচাই-বাছাই করে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। এছাড়া যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আমাদের শুধু তাদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। যারা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন তাদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে না,তাদের তথ্যও অত্যন্ত জরুরি বলে জানান তিনি।
মেয়র বলেন, যিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। আবার যিনি ডেঙ্গু রোগী কিন্তু বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন তার তথ্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজউক প্রতিনিধির কাছে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা চেয়ে মেয়র বলেন, আপনাদের কাছে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা থাকে। রিহ্যাবের বাইরেও অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়। সেজন্য আপনারা যদি সেসব নির্মাণাধীন ভবনের তালিকাটা আমাদের কাছে সরবরাহ করেন তাহলে আমরা যৌথভাবে অভিযানগুলো পরিচালনা করতে পারব।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা সরবরাহ করা হবে বলে জানায় রাজউক।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে: মেয়র তাপস
২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩-এ ঢাকায় ডেঙ্গুরোগী ৪২ হাজার কম ছিল: মেয়র তাপস
৭ মাস আগে
ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান: ডিএসসিসি মেয়র
ঈদুল ফিতরের পরে পুরান ঢাকার অবৈধ রাসায়নিক গুদামগুলোর বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) উদ্যোগে মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘পুরোনো ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ‘পুরাতন ঢাকায় আমরা আর ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে পারি না। কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ও এটা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ইতোমধ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি স্থানান্তরের জন্য যে গুদামঘর ও কারখানা প্রয়োজন তা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শ্যামপুরে শিল্পাঞ্চল করে দেওয়া হয়েছে। পুরান ঢাকায় যারা রাসায়নিক ব্যবসা করছেন তাদের প্রতি আমার নিবেদন এবং কঠোর হুঁশিয়ারি থাকবে। আপনারা আইন অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে সেখানে স্থানান্তরিত হোন। না হলে ঈদের পরে আমরা চিরুনি অভিযান করব।’
রাসায়নিক দ্রব্যাদির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এমন ভবনগুলো সিলগালা করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, সেখানে তালিকাভুক্ত ১৯২৪টি রাসায়নিক দ্রব্যাদির গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০১৭ সালের পর থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আপনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সেখানে ব্যবসা করছেন। আমরা ঈদের পরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে সবগুলো বন্ধ করে দিব। সেসব ভবনের উপরে অনেকেই আবাসন হিসেবে ব্যবহার করেন আবার নিচে গুদামঘর। এটি অত্যন্ত বিপদজনক। তাই প্রয়োজনে সেসব ভবন সিলগালা করে বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ করে দেব। এতে পুরো ভবন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন যে ভোগান্তি হবে সেজন্য আপনারা আমাদের দোষারোপ করতে পারবেন না।’
ডিসিসিআইর সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক মো. আব্দুল বাকী মিয়াসহ পুরান ঢাকা কেন্দ্রিক ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতারা।
৮ মাস আগে
দেশ ও জাতির কল্যাণে বঙ্গবন্ধু বারবার কারাবরণ করেছেন: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে বঙ্গবন্ধু বারবার কারাবরণ করেছেন, কিন্তু পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের ভয়ে কখনো পালিয়ে যাননি।
রবিবার (১৭ মার্চ) এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে মেয়র সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এবং নগর ভবনস্থ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো ভয় পেতেন না। যত রকম অত্যাচার-নির্যাতনই করা হোক না কেন। তিনি সেটা স্বাচ্ছন্দে্য গ্রহণ করতেন। কিন্তু কখনোই অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতেন না।
মেয়র আরও বলেন, ‘তিনি অনেকবার কারাবরণ করেছেন, কিন্তু একবারও পালাননি। তিনি জানতেন যে পুলিশ আসছে, ম্যাজিস্ট্রেট আসছে। উনাকে ধরে কারাগারে নিয়ে যাবে। তিনি স্ত্রীকে বলতেন, রেনু আমার কাপড় গুছিয়ে দাও, ওরা আসছে। উনার এমন সাহস ছিল।’
অনুষ্ঠানে মেয়র চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ‘ক (প্রাথমিক শ্রেণি)’ ও ‘খ (মাধ্যমিক শ্রেণি)’ বিভাগে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার নজির স্থাপন করেছি: ডিএসসিসি মেয়র
ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
৯ মাস আগে
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার নজির স্থাপন করেছি: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা সুশাসন নিশ্চিত ও (প্রশাসনিক) সংস্কার করা এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলাম।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অন্তর্ভুক্ত নতুন পাঁচটি অঞ্চলের জন্য পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা তার একটি নজির স্থাপন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধলপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ৪ ও ৫ তলা দুটি ভবনে দক্ষিণ সিটিতে অন্তর্ভুক্ত নতুন পাঁচটি অঞ্চলের জন্য পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এ স্থাপনাগুলো ২০০৮ সাল থেকে র্যাবের দখলে ছিল। আমরা এটাকে প্রথমে দখলমুক্ত করি। তারপর সংস্কার করে আজ এটাকে আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারলাম। ফলে দীর্ঘ ছয় বছরের অধিক সময়ে জনগণ, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, তার নিরসন হবে। তারপরও আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে নিষ্ঠার সঙ্গে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো চালু হওয়ায় জনগণের আর ভোগান্তি থাকবে না।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমাদের ১১টি স্থাপনা পুলিশ-র্যাবের দখলে ছিল। আমরা এ যাবৎ চারটি স্থাপনা দখলমুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের একটা সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র দখল অবস্থায় ছিল। তারা সেটা আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। লালবাগে আমাদের আরেকটি স্থাপনা র্যাব ছেড়ে দিয়েছে। সেটাতেও আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। বাকি স্থাপনাগুলোও দখলমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা প্রতিনিয়তই তাদের সঙ্গে দেন-দরবার ও আলোচনা করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। এগুলো জনগণের স্থাপনা। জনকল্যাণেই এসব স্থাপনা ব্যবহার করা হবে। আমরা আশা করছি, অচিরেই বাকি স্থাপনাগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, আমাদের নতুন পাঁচটি অঞ্চল ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সংলগ্ন এলাকাগুলোকে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনেছিলেন। এর দীর্ঘ ছয় বছর পরে সেসব অঞ্চলের জন্য আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করছি। পরে ধাপে ধাপে পাঁচটি অঞ্চলের জন্য অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করা হবে।
উল্লেখ যে, ধলপুরে অবস্থিত করপোরেশনের মালিকানাধীন ৩, ৪ ও ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনগুলো র্যাব-১০ ব্যবহার করে আসছিল। এ বছরের ৪ জুন র্যাব-১০ ভবনগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়। এরপর সেসব ভবন সংস্কার করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত নতুন ৫টি অঞ্চলের জন্য আজ পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হলো।
আরও উল্লেখ যে, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ১৮টি নতুন ওয়ার্ডকে পাঁচটি অঞ্চলে বিভাজন করে নতুন পাঁচটি অঞ্চল সৃষ্টি করা হয়। ফলে পুরোনো ৫টিসহ দক্ষিণ সিটিতে মোট অঞ্চলের সংখ্যা বেড়ে ১০টি অঞ্চলে উন্নীত হয়। নতুন অঞ্চলগুলোর সেবা এতদিন ধরে পুরোনো পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে দেওয়া হতো।
পরে মেয়র দক্ষিণগাঁও এলাকায় আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের পিএ-৬ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
১ বছর আগে
ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুসরণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে।
তিনি জানান, আমরা পরিকল্পিত নগরায়নের দিকে নজর দিয়েছি। এজন্য আমরা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছি। এরই মধ্যে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় তা (ড্যাপে) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
রবিবার (২৫ জুন) সকালে ডেমরার কয়েতপাড়া এলাকায় ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে মেয়র তাপস গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান।
মেয়র বলেন, সেটা অবলম্বন করে আমাদের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনা বা সড়ক অন্তর্জাল (নেটওয়ার্ক) সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের প্রস্তুতি আমরা প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে আমরা এ নতুন ১৮টি এলাকায় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় যে সড়কগুলো চিহ্নিত করা আছে, যেভাবে প্রশস্ততা চিহ্নিত আছে এবং আরএসটিপির মাধ্যমে যেভাবে চিহ্নিত আছে এগুলো আমরা আমাদের পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে এসেছি।
রাজস্ব আয় বাড়ার কারণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের জন্যও নিজস্ব অর্থায়নে অনেক কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এরই মধ্যে আজ পর্যন্ত এক হাজার কোটি টাকার ঊর্ধ্বে (রাজস্ব) আয় করেছে।
সুতরাং এ কার্যক্রমগুলো (সড়ক প্রশস্তকরণ, নতুন সড়ক নির্মাণ) করতে এখন আমরা স্বাবলম্বী। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা এখন অনেক কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। সে প্রেক্ষিতে আমাদের আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে ১৮টি ওয়ার্ডে সড়ক অন্তর্জাল (নেটওয়ার্ক) সৃষ্টি করতে আমরা আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখব।
ধাপে ধাপে সব ওয়ার্ডের জন্যই বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আজ আমরা ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র উদ্বোধন করলাম।
এর ফলে আর মাত্র ১২টি ওয়ার্ডে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ কার্যক্রম বাকি রয়েছে। ধাপে ধাপে আমরা সেটিও সম্পন্ন করতে পারব।
দীর্ঘ ৫০ বছরে মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তরকেন্দ্র নির্মাণ হয়েছিল। এ যাবৎ আমরা সব মিলিয়ে ৬৩টি ওয়ার্ডের জন্য বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
১ বছর আগে
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন।
তিনি বলেন, কোনো দুর্যোগ হলে প্রথম কাজ হলো উদ্ধার তৎপরতা। সেটি গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা মানবিক দিকগুলো বিবেচনা করে পরিপূর্ণভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এবং বিনিয়োগকারীদের পাশে থাকব।
আরও পড়ুন: খালের বর্জ্যের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের দুর্নীতিও অপসারণ করা হচ্ছে: মেয়র তাপস
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে নগরীর খিলগাঁও এলাকায় গোড়ান খেলার মাঠ এর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আজ সকালে কথা হয়েছে। উনি বলেছেন, আমরা তালিকা করে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার পরেই সকল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্তভাবে তিনি অনুদান দিবেন।
মেয়র বলেন, যাতে করে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তারা যেন আবার এই ব্যবসায় নামতে পারে। তাদের পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। সেই দিকটাই এখন আমাদের সকলের অগ্রাধিকার।
বঙ্গবাজারে বহুতল ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও মামলার কারণে তা করা যায়নি উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। মামলার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এখন বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। কিছুদিন সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, মানবিক দিক নির্ণয় করে তারা যাতে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে তাদেরকে অনুদান দিয়ে আমরা সেটা নিশ্চিত করব। তারপর তারা যাতে সেখানে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আমরা নতুন একটি পরিকল্পনা নিয়ে তাদের সঙ্গে বসব। সেটা নিশ্চিত করার পরেই আমরা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করব।
এই অগ্নিকাণ্ড কোনো ধরনের পরিকল্পিত নাশকতা কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এখন পর্যন্ত এটি একটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তারপরেও, এটি কোথা থেকে শুরু হয়েছে এবং কিভাবে শুরু হয়েছে তা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।
পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবাজারে নতুন করে পাইকারী মার্কেটই নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে তাপস বলেন, আমরা তাদেরকে নিয়ে বসব। তারা কিভাবে চায় (তা জানব)। প্রধানমন্ত্রীকেও আমরা ভবনের নকশাটি দেখাব। এটা পাইকারী বাজার। আমরা এটাকে পাইকারী মার্কেট হিসেবেই তৈরি করব এবং যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত নতুন ভবনে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাদেরকেই আগে পুনর্বাসিত করা হবে।
আরও পড়ুন: লালে নয়, হকাররা হলুদ-সবুজ চিহ্নিত এলাকায় ব্যবসা করবে: মেয়র তাপস
খালের দখলদারিত্বের আগ্রাসন আমাদের কাজকে ব্যাহত করছে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, অতিবৃষ্টি হলেও আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর ওয়ারী এলাকার র্যাংকিন স্ট্রিট সংলগ্ন সড়কের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পুরানা মোগলটুলী স্কুল: ডিএসসিসি মেয়র
তাপস বলেন, প্রথম বছরে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি। গত বছর আমরা আধা ঘন্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি এবং সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরেও ঢাকায় মাত্র নয়টি জায়গায় ব্যতীত আর কোথাও পানি জমে থাকেনি। এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো, অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যেই যেন ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারি।
বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে খাল, নর্দমা ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করার কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন সহজ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে হস্তান্তর হওয়ার পর থেকে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমরা বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী প্রত্যেক বছরই সকল নর্দমা, নালা পরিষ্কার করি। সে কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে আজ আমরা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এসেছি। আমরা লক্ষ্য করি, এই নর্দমাগুলো প্রত্যেক বছরই একদম ভরে যায়। এখানে যেমনি বিভিন্ন ধরনের (গৃহস্থালি) সামগ্রী পাওয়া যায় তেমনি পয়:প্রণালী সামগ্রী-বর্জ্যও পাওয়া যায়। আমরা নিয়মিত পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যার সুফল আমরা গত দুই বছর ঢাকাবাসীকে দিতে পেরেছি। এই নর্দমা, বক্স কালভার্ট ও খালগুলো পরিষ্কার করার কারণে পানি নিষ্কাশন এখন সহজ হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতা কামনা মেয়র বলেন, আমাদের নর্দমাগুলোতে আমরা কাঠের টুকরো, টাইলস, কমোড, বালিশ, ফুটবল, প্লাস্টিক সামগ্রী থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা পাওয়া যায় না। আমাদের নর্দমাগুলো পানি নিষ্কাশনের জন্য। আমি এলাকাবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ করব। আপনারা দয়া করে এসব বস্তু আমাদের নর্দমায় ফেলবেন না।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে: ডিএসসিসি মেয়র
১ বছর আগে