মেয়র তাপস
বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসির সক্ষমতা বেড়েছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, কোরবানির হাট ও জবাই করা পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদণ্ডে ডিএসসিসি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আগে কোরবানির হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতিতে আমাদের কিছু দূর্বলতা ছিল। কিন্তু এবার আমরা পুরোপুরি সক্ষম।
আরও পড়ুন: ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
তিনি আরও বলেন, বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে ১০ টন সক্ষমতার ২৫টি ডাম্প ট্রাক ও ১০টি পে-লোডার আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আরও ১৫টি ডাম্প ট্রাক সংযোজন করা হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের যানবাহন ও যন্ত্রপাতির বহর এখন অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ডিএসসিসি মেয়র এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কারো কোনো বিড়ম্বনা হবে না। এবার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রতিটি হাটেও আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তাই, কোথাও যদি কোনোরকম কোনো বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়, আমাদের হাটের কিংবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানলে আমরা অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও আমরা প্রতি বছরই আগের বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করি।
এ সময় শেখ তাপস বলেন, গত বছরের ন্যায় এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে আরও বলেন, এছাড়াও জাতীয় ঈদগাহে প্যান্ডেলের অভ্যন্তরে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং অতি বৃষ্টি হলেও প্রধান ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে ও মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের জামাত পড়তে পারবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন।
আরও পড়ুন: ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩-এ ঢাকায় ডেঙ্গুরোগী ৪২ হাজার কম ছিল: মেয়র তাপস
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
৫ মাস আগে
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু হার বেশি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে ভূতের গলি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যু হার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে আরও নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর মৃত্যুর হার খুবই বেড়ে গিয়েছিল। কারণ সে সময় প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই রোগীদের পরিস্থিতি আরও বেশি খারাপ হয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলেও তাকে সেভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যায় না। এতে মৃত্যুর হার বেড়ে যায়।
এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও জানান তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বেই রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা প্রবণ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এডিস মশা বেশি হয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। এতে বুঝা যায় যে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবাটা সঠিকভাবে পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
মেয়র আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজারের মতো হলেও মৃতের সংখ্যা ছিল ২০০-এর নিচে। আর গতবছর ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার। কিন্তু মৃত্যু ১ হাজার ৭০০-এর বেশি। পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে, স্বাস্থ্যসেবাকে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে।’
রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিটি করপোরেশন কাজ করছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমাদের পরিধি অনেক বৃদ্ধি করেছি। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সময় বৃদ্ধি করেছি। কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কিনা, কর্মপরিকল্পনা পরিপালন করছে কিনা সেসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তদারকি করছি। আমাদের প্রয়াস বা কর্মপরিকল্পনা ঠিক আছে কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে একটি মৃত্যুও না ঘটে।’
আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমাতে আরও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়াও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি কঠোরতা দেখানো হবে বলে জানান মেয়র।
আরও পড়ুন: ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
পরে মেয়র তাপস ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুলের সৌজন্যে ওয়ার্ডের ২১টি মসজিদের ১৫০ জন ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব ও খাদেমের মাঝে ২৫ কেজি চাল, ৩ কেজি পোলাও চাল, ৩ কেজি চিনি, ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি ছোলা, ১ কেজি খেজুরসহ ২৪ ধরনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
এছাড়াও শ্যামপুর এলাকায় ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাসুদের সৌজন্যে ওয়ার্ডের ২ হাজার ৫০০ বাসিন্দার মাঝে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি চিনি, ১ লিটার তেল, ১ কেজি ডালসহ ৮ ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ডিএসসিসি মেয়র।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নারগিস মাহতাব প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডের বিচার হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রাণহানি আর ঘটবে না: তাপস
৮ মাস আগে
ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সেগুনবাগিচা কমিউনিটি সেন্টারে ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের উদ্যোগে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ‘বঙ্গবাজারে আগামী ঈদুল ফিতর পর্যন্ত এখনকার মতোই ব্যবসা পরিচালিত হবে। ঈদের পরপরই সেখানে নতুন মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’
দুর্ভোগ লাঘবে প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের পাশে আছেন উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মমতা দিয়ে বাংলাদেশকে আলিঙ্গন করে রেখেছেন এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। শুধু অবকাঠামো উন্নয়নই নয় সকল ক্ষেত্রেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কী প্রয়োজন, কী চাহিদা তিনি সেগুলো বিবেচনা করেন।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, ‘যখন করোনা মহামারী ও যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্যের নাভিশ্বাস, তখন তিনি সারা বাংলাদেশে এক কোটি পরিবারকে টিসিবি কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে তিনি ন্যায্যমূল্যে সাধারণ মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দিয়ে চলেছেন। এভাবেই সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে তিনি ব্যবস্থা নিয়ে চলেছেন এবং তা চলমান রেখেছেন।’
৮ মাস আগে
যেন দখল না হয় সেভাবেই উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে: ঢাদসিক মেয়র
ভবিষ্যতে যেন আর কেউ দখল করতে না পারে সেভাবেই পর্যায়ক্রমে মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে সায়েদাবাদ থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মেয়র হানিফ উড়ালসেতু সেতুর নিচের অংশে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের জায়গাগুলো বিভিন্নভাবে দখল হয়ে গেছে। ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই উড়ালসেতুর নিচের পুরো অংশকে আমরা আট ভাগে ভাগ করেছি। এই অংশগুলোর সৌন্দর্যবর্ধনে আমরা পরামর্শক নিয়োগ করেছি। কোন অংশে কী চাহিদা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কী হতে পারে, কোথায় পথচারী পারাপার দরকার, কীভাবে ল্যান্ডস্কেপিং করা হলে সৌন্দর্যবর্ধন হবে, সবকিছু বিশ্লেষণ করে সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে যাতে আবার এখানে কেউ দখল করতে না পারে, সেভাবেই আমরা মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশে পর্যায়ক্রমে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
ইতোমধ্যে চার ভাগের পরিকল্পনা শেষ হয়েছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ‘আটটি ভাগে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে আমরা প্রত্যেকটির আলাদাভাবে নকশা করছি। ইতোমধ্যে চানখারপুল হতে চারটি অংশের নকশা প্রায় সম্পন্ন। আমরা দরপত্রে যাব। আজকে আমরা বাকি চারটি অংশ পরিদর্শনে এসেছি। এটা শেষ করে আমরা এই অংশগুলোরও নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ করব। এভাবে আমরা পর্যায়ক্রমে একেকটি অংশের সৌন্দর্যবর্ধন সম্পন্ন ও কার্যকর করব।’
জনগণের চাহিদা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনই তা রক্ষণাবেক্ষণ করবে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়াও ল্যান্ডস্কেপিং এ মৌসুমি ফুল গাছের প্রাধান্য থাকবে বলেও জানান ঢাদসিক মেয়র।
পরে ঢাদসিক মেয়র পুরানা মোগলটুলি উচ্চ বিদ্যালয়ের চলমান ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।
আজকের পরিদর্শন কার্যক্রমে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টির পরেও জাতীয় ঈদগাহে নির্বিঘ্নে জামাত আদায় হয়েছে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
কামরাঙ্গীরচরকে আধুনিক ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ঢাদসিক মেয়র
কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ থেকে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত 'বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল সরণি'র নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে ঢাদসিক মেয়র গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরে অপরিকল্পিত নগরায়ন হয়েছে। আমরা ঢাকা শহরকে একটি বাসযোগ্য, পরিকল্পিত নগরীতে রূপান্তর করার যে মহাপরিকল্পনা নিয়েছি, সেই পরিপ্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। উন্নত দেশে আমরা দেখি, একটি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক বা ফিনান্সিয়াল হাব থাকে। সেভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।’
ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘আমরা আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন করছি। আদি বুড়িগঙ্গা তার রূপ আবার ফিরে পাচ্ছে। এর পাশ দিয়েই আমরা নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। এই লোহারপুল সেতুর জায়গায় আমরা ছয় সারি বিশিষ্ট একটা আধুনিক সেতু নির্মাণ করব। এর উত্তরদিকে যে এলাকা রয়েছে আমরা সেখানে আধুনিক মানের একটি ফাইভ স্টার হোটেল, কনভেনশন হল, ৫০তলা বিশিষ্ট নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করব।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ দিকে সুন্দরভাবে আবাসন গড়ে তুলব। এ ছাড়াও বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় দিয়ে নিজামবাগ থেকে ঝাউচর পর্যন্ত আরও ৪ সারি সড়ক নির্মাণ করা হবে। এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে আজ এই নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের উপর যে আস্থা রেখেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি এখানে যেসব সরকারি জমি রয়েছে সেগুলো অবশ্যই দখলমুক্ত করা হবে। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন যেসব জমির প্রয়োজন হবে, আমরা তাদের পূর্ণরূপে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করব। কেউ বঞ্চিত হবে না। যথাসময়ের পূর্বে আপনারা ক্ষতিপূরণে অর্থ পেয়ে যাবেন।’
আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার আধুনিক প্রাণকেন্দ্র হবে কামরাঙ্গীরচর। দুই পাশে নদী পরিবেষ্টিত এই ধরনের নান্দনিক পরিবেশ শুধু ঢাকা শহরই নয়, সারা বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে না। সেভাবেই আমরা কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তুলছি। ইনশাল্লাহ আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই কামরাঙ্গীরচরের চেহারা পাল্টে যাবে। পরিকল্পিত নগরায়নের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা কামরাঙ্গীরচরবাসী পাবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, অগ্রগতি হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাকে আমরা যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, এই অর্জনগুলোকে আমরা যাতে রক্ষা করতে পারি, কোনো হায়েনার দল যেন এই অর্জনগুলোকে নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই শেখ হাসিনার পাশে ঐক্যবদ্ধ থাকব।’
এ সময় আইনজীবী কামরুল ইসলাম কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়নে বিশেষ নজর রাখায় ঢাদসিক মেয়রকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
পরে সিদ্দিক বাজার আধুনিক নগর বিপনী বিতানের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।
উল্লেখ্য যে, ঢাদসিকের নিজস্ব অর্থায়নে এই সড়কটি নির্মাণ করা হবে। ২ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০৪ ফুট গড় প্রশস্ততার এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৯ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ৩ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরে আলম, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ এবং সংরক্ষিত আসনের শেফালী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টির পরেও জাতীয় ঈদগাহে নির্বিঘ্নে জামাত আদায় হয়েছে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নির্মাণ কাজ শেষ হলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে।
বুধবার (৯ আগস্ট) কাঁচপুরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, আমরা বুধবার কাঁচপুরে ঢাকা মহানগর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছি। ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থাপনাকে সুশৃঙ্খল করতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা একটা দীর্ঘ অপেক্ষা। ১৯৮৪ সালের পর কোনো আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মিত হয়নি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এখানে সাড়ে ১২ একর জমি দিয়েছে। টার্মিনালটি সম্পন্ন হলে এখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬টি জেলায় আন্তঃজেলা বাস চলাচল করবে।
ডিএসসিসি নিজস্ব অর্থায়নে টার্মিনালটি নির্মাণ করছে এবং এটি পরিচালনার পুরো দায়িত্ব নেবে বলে জানান তাপস।
এ সময় তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এ কাজে ব্যয় হবে ২৮ কোটি টাকা। আমরা আশাবাদী আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হবে।
মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, বাসে প্রবেশ ও প্রস্থান এবং শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
শুধু কীটনাশক দিয়ে নয়, ডেঙ্গুকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, শুধু কীটনাশক দিয়ে নয়, ডেঙ্গুকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে মাথায় নিয়ে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেতনতামূলক গণ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণ করতে চাই।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ডেঙ্গুকে আমরা সামাজিকভাবে মোকাবিলা করতে চাই, প্রতিরোধ করতে চাই। কারণ, শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলা করা সম্ভব না। এডিস মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব না।
আরও পড়ুন: নগর পরিবহনের ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করা হবে: মেয়র তাপস
বুধবার (৩১ মে) রাজধানীর বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ সড়ক এর নামফলক উন্মোচন, সড়ক উদ্বোধন এবং বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ঢাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার বাসা-বাড়ি, স্থাপনার অভ্যন্তরে যে পানি জমে, থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে যে পানি জমে, আগে আমরা বলতাম ৩ দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন।
তিনি বলেন, আমরা এখন বলছি, পারলে নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন। কোথাও যদি আমরা পানি জমতে না দেই, তাহলে আমরা এই এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে পারব। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে পারব।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সড়কগুলোকেও আরও উন্নত ও প্রশস্ত করার পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। আপনারা দেখেছেন, এটি দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় নিমগ্ন ছিল। আমরা এ সড়কের সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছিলাম এবং ড্যাপের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এই সড়কটি প্রশস্থ করেছি। এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা নর্দমা নির্মাণ করেছি, দু`পাশে হাঁটার পথের ব্যবস্থা করেছি। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির এবং উপাসনালয়।
আমরা এই মন্দিরের প্রয়াত সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দের নামে আমরা এই সড়কটির নামকরণ করেছি। এই সড়কটি প্রশস্ত করার ফলে অত্র এলাকার মানুষ উপকার পাবেন। আমরা যে নকশা করেছি তা পরিপালন করে পর্যায়ক্রমে ঢাকা-৯ আসনের মুগদা সড়কসহ মূল সড়কগুলোকে আরও উন্নত করব।
এর মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে দুই সিটি করপোরেশনেরই কীটনাশক কমিটি রয়েছে। কমিটিতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। কমিটির বিশেষজ্ঞদের মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা পুরো বছরের কীটনাশক আমদানি ও মজুত করেছি।
এছাড়াও ২০২০ সালের পর থেকে আমাদের কীটনাশকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
আরও পড়ুন: ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চাইতে সুন্দর ও নান্দনিক হবে: মেয়র তাপস
মার্কেট ঝুঁকিমুক্ত করতে সম্মিলিত-দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেওয়া হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
মার্কেট ঝুঁকিমুক্ত করতে সম্মিলিত-দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেওয়া হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, মার্কেট ঝুঁকিমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রমে যেতে হবে। শুধু ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা নয়, ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তা যেন আর ব্যবহৃত না হয় তাও নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে 'বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ঘোষিত দুই কোটি টাকার চেক হস্তান্তর'- অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই পূর্ণ কার্যক্রম এর আগে নেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আমরা স্থায়ী কমিটি গঠন করেছি। তারা এই বিষয়গুলো পরিপূর্ণভাবে খতিয়ে দেখবে। নির্মাণ কাঠামোগতভাবে ঝুঁকি, অগ্নি নির্বাপণ সংক্রান্ত ঝুঁকি-এসব বিষয় তারা খতিয়ে দেখবে।
মেয়র বলেন, প্রত্যেকটি মার্কেটকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে পর্যায়ক্রমে আমরা তা করব। যদি সেটা ভেঙে ফেলতে হয় তবে সেটা ভেঙে ফেলা হবে এবং নতুন করে নির্মাণ করা হবে। যদি সেটা সংস্কারযোগ্য হয় তাহলে পর্যাপ্ত সংস্কার করতে বাধ্য করা হবে। সে মালিক হোক, মার্কেট ব্যবসায়ী হোক অথবা সিটি করপোরেশন হোক-যে কর্তৃপক্ষ হোক না কেন এই ব্যবস্থা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদেরকেই সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মাঝে বিডাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে করে তারাও এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নেয়। সুতরাং আমরা সম্মিলিতভাবে এখন থেকে কার্যক্রমগুলো নিব। এখন আমরা আগামীতে ১০ বছর বা দীর্ঘমেয়াদী একটি সময় নির্ধারণ করব। পর্যায়ক্রমে দীর্ঘ মেয়াদে ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে, মার্কেটগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করতে আমরা প্রয়োজনীয় ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করব।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত করতে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে যে অগ্নিকাণ্ডগুলো যোগ হচ্ছে তাতে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত, মর্মাহত। প্রায় প্রতিদিনই আগুন লেগে চলেছে। বঙ্গবাজার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি বৃহৎ পাইকারি মার্কেট। গত শনিবার আমরা দেখলাম, নিউ সুপার মার্কেটেও আগুন লেগেছে, সেটিও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আরেকটি বড় মার্কেট।
তিনি বলেন, এ দুটো মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড হওয়াতে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন এবং তিনি এরই মাঝে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এর কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, এটি কোনও নাশকতা কিনা? গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন তৎপর। তারা এসব দুর্ঘটনার পেছনের কারণগুলো ও রহস্য উদঘাটনে কার্যক্রম গ্রহণ করছে। এছাড়া আমরা মনে করি, অবশ্যই এই রহস্য উদঘাটন হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের অনুদান দেওয়া হবে ২ কোটি টাকা: মেয়র তাপস
বুধবার থেকে ব্যবসায়ীরা চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের অনুদান দেওয়া হবে ২ কোটি টাকা: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে দুই কোটি টাকা অনুদান দেয়া হবে।
তিনি বলেন, এই পুনর্বাসনে সহযোগিতা ছাড়াও আমরা আর্থিকভাবে মানবিক সহায়তা দিবো। আমরা মঙ্গলবার করপোরেশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে গঠিত তহবিলে করপোরেশন নিজস্ব অর্থ হতে দুই কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দিবো।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বিছিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধনী আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আজ থেকেই ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শুরু করতে পারছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমার (গত) রবিবারে ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকল নেতাদের সঙ্গে বসেছিলাম।
আমাদের মূল লক্ষ্য ছিলো-ঈদের আগে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে করে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাদের পুনর্বাসন যেন করা যায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সোমবার ভোর থেকে কাজ আরম্ভ করেছি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়েক হাজার মেট্রিক্স টন বর্জ্য আমরা পরিষ্কার করেছি।
রাতের মধ্যে আমরা ইট বিছিয়ে দিয়েছি। এই প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও আমরা স্থির করেছিলাম, লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলাম যে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই যেন আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায় আবার ফিরে আসতে পারে।
সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি এবং আল্লাহর রহমতে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী নেতাদের সহযোগিতায় বুধবার সকাল থেকেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে।
তাপস এ সময় এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে যে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটাই বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় ঐক্যের জায়গা। দুর্যোগকালে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াই, একে অপরকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। আমি আন্তরিকভাবে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পূর্ণাঙ্গরূপে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মার্কেটগুলোর দোকান মালিক সমিতি, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ঈদের পরে বৈঠক করা হবে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতি বাজেটেই অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে: মেয়র তাপস
বুধবার থেকে ব্যবসায়ীরা চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
বুধবার থেকে ব্যবসায়ীরা চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আগামী বুধবার থেকে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে।
তিনি বলেন, সোমবার সকাল থেকে পূর্ণোদ্যমে পরিষ্কার কার্যক্রম আরম্ভ করব। যাতে করে আগামী এক থেকে দুদিনের মধ্যে সেখানে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে তালিকা প্রণয়ন শুরু হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করা যায়নি। আমরা আশা করছি আগামীকালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকার সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না: মেয়র তাপস
এ ছাড়া তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সব মহল থেকেই আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।
রবিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে নগর ভবনে বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, এরই মাঝে দুই কোটি টাকা তহবিলে জমা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারে আমাদের করপোরেশন সভা আছে। সেখানে আমরাও সিদ্ধান্ত নেবো। আমরাও এই তহবিলে অংশগ্রহণ করব। যাতে করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসিত হতে পারে এবং আমরা আশা করছি যে আগামী মঙ্গলবারে না হলেও বুধবার নাগাদ যেন তারা সেখানে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে।
এজন্য পরিষ্কার করার পরে সেই জায়গাটা সমতল করব। পুরো ব্যবস্থাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশন করে দেবে। তারপর চৌকি বিছিয়ে তারা সেখানে ব্যবসা শুরু করতে পারবে।
এ সময় সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা সকলের কাছে আবেদন করছি মানবিক দিক বিবেচনা করে, এত সংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনযাপন বিবেচনা করে সকলেই যেন এগিয়ে আসে। এই তহবিলে যেন অংশগ্রহণ করে।
এছাড়া এটা যেহেতু রমজান মাস, তাই মানবতার খাতিরে সকলেই যেন এগিয়ে আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত অনুদানের ব্যবস্থা করবেন।
আমরা আশাবাদী, যেভাবে আমরা সাড়া পাচ্ছে তাতে অচিরেই হয়তোবা এই সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রূপ আমরা দিতে পারব। সকলে মিলে তহবিল গঠন করবে। এতে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
আরও পড়ুন: নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
নগর পরিবহনের ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করা হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে