ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
স্ত্রী-ছেলেসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাপসের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তার স্ত্রী আফরিন তাপস শিউলী ও তাদের ছেলে শেখ ফজলে নওয়ানের ব্যাংক হিসাবও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সারাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চিঠিতে এসব ব্যাংক হিসাব থেকে লেনদেন অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ।
তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থের হিসাবও সাময়িক বরখাস্তের আদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির ২৯ ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান
নির্দেশ অনুসারে, এই স্থগিতাদেশ কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য কার্যকর থাকবে, এই সময়ে কোনো আর্থিক লেনদেনের অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রয়োজনে এই মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে উল্লেখ করে বিএফআইইউ জানিয়েছে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিধান অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বিএফআইইউ আরও বলেছে, চিঠি জারির দুই কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব খোলার ফরম, নো ইয়োর কাস্টমার (কেওয়াইসি) বিস্তারিত বিবরণ এবং লেনদেনের ইতিহাসসহ জব্দ করা হিসাবের সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির ১৪ ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান
১ মাস আগে
ডিএসসিসির ২৯ ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান
মশা নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ২৯টি ওয়ার্ডে ‘বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধন’ কার্যক্রম তথা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির ১৪ ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান
ডিএসসিসির সব ওয়ার্ডে দৈনন্দিন নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি সংস্থার স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সমন্বয়ে ০৭, ১৬, ২৭, ২৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৯, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৪, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে এসব চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সকালে লার্ভিসাইডিং, বিকালে অ্যাডাল্টিসাইডিংয়ে ২২৯ মশককর্মী এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২৬২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নেয়।
এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পাঠানো ২৮ সেপ্টেম্বরের তালিকা অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল ও চারপাশে বিশেষ লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির ৭ ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান
১ মাস আগে
রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘রাজস্ব আদায়ে আবারও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিএসসিসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নতুন এই মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে।’
সোমবার (১ জুলাই) মেয়রের কাছে ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণী হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
এসময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গৃহ কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাবদ ৪০৩ কোটি ১৮ লাখ, বাজার সালামি খাতে ১৪৮ কোটি ৪০ লাখ, বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) ফি বাবদ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ এবং স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর থেকে ১৩২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছে ডিএসসিসি।
এসময় করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘কোনো ধরনের কর বৃদ্ধি না করার যে ওয়াদা আমি করেছিলাম, তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে এবং দুর্নীতি, অনিয়ম ও গাফিলতি রোধের মাধ্যমে আমরা ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে রাজস্ব আদায়ে নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে চলেছি।’
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় ও সকলের কর্মতৎপরতায় এবার আমরা গত বছরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আগের চাইতে আরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণ এবং কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
এর ফলে ঢাকাবাসীকে আরও বড় পরিসরে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও জানান মেয়র তাপস।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫১৩ কোটি ৯৬ লাখ, ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ, ৮৭৯ কোটি ৬৬ লাখ এবং ১ হাজার ৩১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
৪ মাস আগে
এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডিএসসিসির ১১ স্থাপনাকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১১টি স্থাপনাকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে করপোরেশন পরিচালিত ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করে।
অভিযানে সর্বমোট ৪৪৯টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ১১টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১০ মামলায় সর্বমোট ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএসসিসির বাসাবো ও শাফিয়া এলাকার আশপাশ, নিউ পল্টন লাইন, ইরাকি গোরস্তান সংলগ্ন মাঠ, উত্তর যাত্রাবাড়ীর ডেমরা সড়ক ও বালুর মাঠ, দাসপাড়ার ১ ও ২ নম্বর রোড, বাসাবো দক্ষিণ গাঁও, যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ি, মেরাজনগর এ ও বি ব্লক এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো এবং শাফিয়া পল্লী ও আশপাশ এলাকায় ১১৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ পল্টন লাইন ইরাকি গোরস্তান সংলগ্ন মাঠ এলাকায় ৬৪টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ ইভা ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর যাত্রাবাড়ীর ডেমরা সড়ক, বালুর মাঠ এলাকায় ৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ২টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাসপাড়ার ১ ও ২ নম্বর রোড, বাসাবো দক্ষিণ গাঁও এলাকায় ৮৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। তাছাড়া আদালত আরও ১০টি বাড়িতে সামান্য পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিকদের সতর্ক করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল বিছিল ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ি এলাকায় ১০৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দশ নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেরাজনগর এ ও বি ব্লক এলাকায় ৩৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।
৪ মাস আগে
বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসির সক্ষমতা বেড়েছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, কোরবানির হাট ও জবাই করা পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদণ্ডে ডিএসসিসি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আগে কোরবানির হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতিতে আমাদের কিছু দূর্বলতা ছিল। কিন্তু এবার আমরা পুরোপুরি সক্ষম।
আরও পড়ুন: ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
তিনি আরও বলেন, বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে ১০ টন সক্ষমতার ২৫টি ডাম্প ট্রাক ও ১০টি পে-লোডার আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আরও ১৫টি ডাম্প ট্রাক সংযোজন করা হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের যানবাহন ও যন্ত্রপাতির বহর এখন অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ডিএসসিসি মেয়র এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কারো কোনো বিড়ম্বনা হবে না। এবার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রতিটি হাটেও আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তাই, কোথাও যদি কোনোরকম কোনো বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়, আমাদের হাটের কিংবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানলে আমরা অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও আমরা প্রতি বছরই আগের বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করি।
এ সময় শেখ তাপস বলেন, গত বছরের ন্যায় এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে আরও বলেন, এছাড়াও জাতীয় ঈদগাহে প্যান্ডেলের অভ্যন্তরে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং অতি বৃষ্টি হলেও প্রধান ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে ও মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের জামাত পড়তে পারবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন।
আরও পড়ুন: ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩-এ ঢাকায় ডেঙ্গুরোগী ৪২ হাজার কম ছিল: মেয়র তাপস
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
৫ মাস আগে
প্রায় ৭ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আগামী শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বুধবার (২৯ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ‘জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ডিএসসিসির ৯১ দল
সভায় করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১৫০ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৬৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহযোগিতায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
নির্ধারিত কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে নেওয়ার জন্য পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের আহ্বান জানান ডা. ফজলে শামসুল কবির।
আরও পড়ুন: জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান: ডিএসসিসি মেয়র
ঈদুল ফিতরের পরে পুরান ঢাকার অবৈধ রাসায়নিক গুদামগুলোর বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) উদ্যোগে মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘পুরোনো ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ‘পুরাতন ঢাকায় আমরা আর ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে পারি না। কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ও এটা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ইতোমধ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি স্থানান্তরের জন্য যে গুদামঘর ও কারখানা প্রয়োজন তা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শ্যামপুরে শিল্পাঞ্চল করে দেওয়া হয়েছে। পুরান ঢাকায় যারা রাসায়নিক ব্যবসা করছেন তাদের প্রতি আমার নিবেদন এবং কঠোর হুঁশিয়ারি থাকবে। আপনারা আইন অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে সেখানে স্থানান্তরিত হোন। না হলে ঈদের পরে আমরা চিরুনি অভিযান করব।’
রাসায়নিক দ্রব্যাদির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এমন ভবনগুলো সিলগালা করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, সেখানে তালিকাভুক্ত ১৯২৪টি রাসায়নিক দ্রব্যাদির গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০১৭ সালের পর থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আপনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সেখানে ব্যবসা করছেন। আমরা ঈদের পরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে সবগুলো বন্ধ করে দিব। সেসব ভবনের উপরে অনেকেই আবাসন হিসেবে ব্যবহার করেন আবার নিচে গুদামঘর। এটি অত্যন্ত বিপদজনক। তাই প্রয়োজনে সেসব ভবন সিলগালা করে বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ করে দেব। এতে পুরো ভবন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন যে ভোগান্তি হবে সেজন্য আপনারা আমাদের দোষারোপ করতে পারবেন না।’
ডিসিসিআইর সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক মো. আব্দুল বাকী মিয়াসহ পুরান ঢাকা কেন্দ্রিক ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতারা।
৭ মাস আগে
ধানমন্ডির দুটি বহুতল ভবনকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' ঘোষণা
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) যৌথ অভিযানে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার দুটি বহুতল ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া ফায়ার লাইসেন্স না নেওয়ায় এবং ফায়ার লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করায় চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার বিকেলে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। ভবন দুটির একটি জিগাতলার কেয়ারি ক্রিসেন্ট বিল্ডিং এবং অপরটি সাত মসজিদ রোডের রূপায়ন জেড আর প্লাজা।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অগ্নিনিরাপত্তা না থাকায় কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবন সিলগালা এবং একই কারণে 'ভিসা ওয়ার্ল্ডওয়াইড' নামে একটি ছাত্র পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া রূপায়ন জেডআর প্লাজার ভেতরে বুফে লাউঞ্জ ও বুফে প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টকে লাইসেন্সের শর্ত না মানায় ১ লাখ টাকা করে এবং অগ্নিনির্বাপণের লাইসেন্স না পাওয়ায় একই ভবনের ভেতরে থাকা বুফে এম্পায়ার রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৮ ইউনিট
এছাড়া অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩ অনুযায়ী যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় ভবন দুটিকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' ঘোষণা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে ভবন দুটিতে 'ঝুঁকিপূর্ণ' ব্যানার লাগানো হয়। ভবন দুটির অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট, শোরুম ও অফিস খালি পড়ে আছে।
অভিযানে ঢাকা-২ এর জোন কমান্ডার মো. তানহারুল ইসলাম, ওই এলাকার ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
৮ মাস আগে
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার নজির স্থাপন করেছি: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা সুশাসন নিশ্চিত ও (প্রশাসনিক) সংস্কার করা এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলাম।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অন্তর্ভুক্ত নতুন পাঁচটি অঞ্চলের জন্য পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা তার একটি নজির স্থাপন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধলপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ৪ ও ৫ তলা দুটি ভবনে দক্ষিণ সিটিতে অন্তর্ভুক্ত নতুন পাঁচটি অঞ্চলের জন্য পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এ স্থাপনাগুলো ২০০৮ সাল থেকে র্যাবের দখলে ছিল। আমরা এটাকে প্রথমে দখলমুক্ত করি। তারপর সংস্কার করে আজ এটাকে আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারলাম। ফলে দীর্ঘ ছয় বছরের অধিক সময়ে জনগণ, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, তার নিরসন হবে। তারপরও আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে নিষ্ঠার সঙ্গে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো চালু হওয়ায় জনগণের আর ভোগান্তি থাকবে না।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমাদের ১১টি স্থাপনা পুলিশ-র্যাবের দখলে ছিল। আমরা এ যাবৎ চারটি স্থাপনা দখলমুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের একটা সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র দখল অবস্থায় ছিল। তারা সেটা আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। লালবাগে আমাদের আরেকটি স্থাপনা র্যাব ছেড়ে দিয়েছে। সেটাতেও আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। বাকি স্থাপনাগুলোও দখলমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা প্রতিনিয়তই তাদের সঙ্গে দেন-দরবার ও আলোচনা করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। এগুলো জনগণের স্থাপনা। জনকল্যাণেই এসব স্থাপনা ব্যবহার করা হবে। আমরা আশা করছি, অচিরেই বাকি স্থাপনাগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, আমাদের নতুন পাঁচটি অঞ্চল ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সংলগ্ন এলাকাগুলোকে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনেছিলেন। এর দীর্ঘ ছয় বছর পরে সেসব অঞ্চলের জন্য আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করছি। পরে ধাপে ধাপে পাঁচটি অঞ্চলের জন্য অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করা হবে।
উল্লেখ যে, ধলপুরে অবস্থিত করপোরেশনের মালিকানাধীন ৩, ৪ ও ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনগুলো র্যাব-১০ ব্যবহার করে আসছিল। এ বছরের ৪ জুন র্যাব-১০ ভবনগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়। এরপর সেসব ভবন সংস্কার করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত নতুন ৫টি অঞ্চলের জন্য আজ পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হলো।
আরও উল্লেখ যে, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ১৮টি নতুন ওয়ার্ডকে পাঁচটি অঞ্চলে বিভাজন করে নতুন পাঁচটি অঞ্চল সৃষ্টি করা হয়। ফলে পুরোনো ৫টিসহ দক্ষিণ সিটিতে মোট অঞ্চলের সংখ্যা বেড়ে ১০টি অঞ্চলে উন্নীত হয়। নতুন অঞ্চলগুলোর সেবা এতদিন ধরে পুরোনো পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে দেওয়া হতো।
পরে মেয়র দক্ষিণগাঁও এলাকায় আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের পিএ-৬ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
১১ মাস আগে
দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন মার্কেটগুলোতে অবৈধ দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বিপণী বিতান এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘দোকান বরাদ্দ লটারি’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা দেখি এখনো বেশিরভাগ মার্কেট অবৈধ দখলদারেরা নিয়ন্ত্রণ ওপরিচালনা করছে। আমরা সেটা ভাঙার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, প্রতিটা মার্কেটে নিয়মিত নির্বাচন হবে। নিয়মিত দোকানদার প্রতিনিধিরা ভোটার হবে। তারা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত করবে।’
মেয়র বলেন, ‘প্রত্যেকটা মার্কেটে যথারীতি যথানিয়মে নির্ধারিত মেয়াদেই নির্বাচন সম্পন্ন করে দোকানদার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মার্কেটগুলো পরিচালনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইনশাআল্লাহ এটা আমরা নিশ্চিত করব। তাহলে শুধু আমাদের অংশেই নয় মার্কেট অংশেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সবাই জবাবদিহির মাঝে আসবে।’
দোকান বরাদ্দে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘দোকান বরাদ্দে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। তাদের নির্ধারণ করার পরেই বাকি যেগুলো নির্মাণের জন্য প্রস্তুত হয়, সেগুলো আমরা বাকি বরাদ্দ প্রত্যাশীদের দিয়ে থাকি।
আপনারা যারা দোকান বরাদ্দ পাবেন তাদের অগ্রিম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর যারা পাবেন না, তারা ৩০ দিনের মধ্যেই আপনাদের (জামানতের) অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন। এটাও কিন্তু একটি নতুন সংযোজন।
অর্থ ফেরত পেতে কোনো রকম কোনো হয়রানি বা সমস্যা হয়েছে এরকম কোনো নজির নাই। আগে দেখা গেছে, যে (জামানতের) অর্থ জমা দেওয়া আছে ১২ বছর হয়েছে। কিন্তু সে অর্থ ফেরত পায়নি, মার্কেটও নির্মাণ হয়নি। স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে আমাদের রাজস্ব বিভাগ কাজ করছে, এটি তারই একটি প্রতিফলন।
শুধু নতুন নির্মাণই নয় পুরোনো মার্কেটও দ্রুত সংস্কার করে তা বরাদ্দপ্রাপ্তদের যথাযথভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো মার্কেট নির্মাণ করছি। ইতোমধ্যে সিদ্দিক বাজার মার্কেটের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে বরাদ্দকারীদের বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। লটারিসহ সব কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আশা করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা বরাদ্দপ্রাপ্তদের মাঝে সেটা হস্তান্তর করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘মেরাদিয়া কাঁচা বাজারও নির্মাণ করছি। এভাবেই সূচি অনুযায়ী আমরা একেকটি মার্কেটের নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করছি এবং সেগুলোর অগ্রগতি আমরা বারবার খেয়াল রাখছি। এছাড়াও আমরা নতুন মার্কেটগুলো যেভাবে নির্মাণ করছি তার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো মার্কেটগুলোও দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে আমাদের দোকানদারদের মাঝে আমরা সেগুলো হস্তান্তরের কার্যক্রম নিয়ে চলেছি।’
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বহুতল বিপণী বিতানে ৩৫১ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ মোট ৪২৬ জন এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে ২৬৬ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ ৩৫৫ জন বরাদ্দগ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
সিসিকের মেয়রের দায়িত্ব নিলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
১ বছর আগে