তিনি বলেন, ‘দেশে অর্থকরী ফসল মাশরুম চাষের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে।’
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের সাথে ‘মাশরুম চাষের সমস্যা, সম্ভাবনা ও সমাধান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশের বেশির ভাগ মানুষ হচ্ছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং ভূমিহীন। তাদের মাশরুম চাষে সম্পৃক্ত করতে পারলে কর্মসংস্থান ও আয়ের পথ তৈরি হবে। মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে পারলে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
‘দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক রয়েছে যারা চাকরির জন্য চেষ্টা করছে। তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা করতে পারলে মাশরুমের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হবে,’ বলেন মন্ত্রী।
মাশরুম চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে শিগগিরই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে গবেষণা বাড়াতে হবে। গবেষণা করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও সিজনভিত্তিক নতুন জাতের মাশরুম উদ্ভাবন করতে হবে এবং চাষ সম্প্রসারণ করতে হবে। সেজন্য মাশরুম বিষয়ে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের আমরা কাজে লাগাব। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটকে শক্তিশালী করব। শিগগরই প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে আমরা দেশের হর্টিকালচার সেন্টার, মাশরুম সেন্টার প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করব যাতে করে তারা নতুন জাত উদ্ভাবন করতে পারে। কর্মকর্তা, চাষি এবং উদ্যোক্তাদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’
মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, দেশে মাশরুম উৎপাদন দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাশরুম প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। প্রায় দেড় লাখ মানুষ মাশরুম ও মাশরুমজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত হয়েছেন।
সভায় জানানো হয়, বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ প্রায় সব দেশই মাশরুম আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাশরুম রপ্তানির অনেক সুযোগ রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল মুঈদের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্তি সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সারা দেশ থেকে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিরা অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।