গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় অবস্থিত মাহমুদ জিনস কারখানায় কর্তৃপক্ষের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিজিএমইএ।
সংগঠনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পোশাক শিল্প একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে। এ সময় এমন একটি ঘটনা কাম্য নয়।
মাহমুদ জিনস লিমিটেড কমপ্লায়েন্ট করখানা।কোভিড পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০২২ সালে মাহমুদ জিনস লিমিটেড কারখানার ১২০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ ৫২ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেতা কোলস। এছাড়া কারখানাটি আগে থেকেই গ্যাসের পর্যাপ্ত চাপও পাচ্ছিল না। এ পরিস্থিতেতে একটি ভালো মানের কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এরপরে গত ৯ অক্টোবর শ্রম ভবনে অনুষ্ঠিত কলকারখানা অধিদপ্তরের নেতৃত্বে ত্রি-পক্ষীয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৩ অক্টোবর কারখানার শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি বাবদ ৩কোটি ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। ১৬ নভেম্বর স্টাফদের বকেয়া মজুরি থেকে ২ কোটি টাকাও পরিশোধ করা হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, শ্রমিক ও স্টাফদের চূড়ান্ত পাওনা, সার্ভিস বেনিফিট, ছুটির টাকা বাবদ প্রায় ২০ কোটি টাকা গত ২৮ নভেম্বর পরিশোধ করার কথা ছিল।
তবে না পারায় আগামী ২৮ ডিসেম্বর এবং ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ পরিশাধ করবে বলে সব পক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে পাওনা পরিশোধ নিয়ে কারখানা মালিকের ছেলে মো. রাফি মাহমুদ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শ্রমিক নামধারী কিছু উসকানিদাতা, দুষ্কৃতিকারী হঠাৎ করে তার ওপর আক্রমণ করেন এবং আহত করে কারখানায় নিয়ে আটকে রাখেন। পরে টহলরত সেনা সদস্য ও শিল্প পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। আলোচনার মধ্যে এরকম হামলা অনভিপ্রেত।
বিজিএমইএ বলছে, যে শিল্প দেশের ৫ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার সুরাহা করেছে, তার ওপর এ আঘাত মোটেও কাম্য নয়, এ ঘটনা বিশ্বে এদেশের শিল্প সম্পর্কে ভুল বার্তা দেবে।
পোশাক শিল্পে সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা বজার রাখার জন্য সক্রিয় থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানায় বিজিএমইএ। প্রতিটি পোশাক কারখানার নিরাপত্তার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
যারা উসকানি দিয়ে শিল্পকে অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে, শিল্প ও অর্থনীতিকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, বিজিএমইএ তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছে।