মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে অঙ্কিত গ্রাফিতি 'জুলাই বীরত্ব' ও 'জুলাই আত্মত্যাগ'র উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গ্রাফিতির উদ্বোধন করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে অঙ্কিত গ্রাফিতির মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রাখা বীর যোদ্ধা ও শহীদ হওয়া বীরদের আত্মত্যাগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রাফিতিটিতে জায়গা পেয়েছে জুলাই আন্দোলনের বীরযোদ্ধা রিকশা চালক মোহাম্মদ সুজন, আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের বীরত্ব, রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ ও নিহত শহীদ গোলাম নাফিজ।
উদ্বোধনের সময় উপদেষ্টা বলেন, যারা জুলাই আন্দোলন ও গ্রাফিতির বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না। যারা জুলাই আন্দোলনে আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের মনে কখনো সৃন্দেহ রাখবেন না যে এই গ্রাফিতি থাকবে না। সামনে নির্বাচিত সরকার আসলেও এই গ্রাফিতি না রাখার কোনো কারণ নেই বলে উল্লেখ করে তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে অঙ্কিত গ্রাফিতি "জুলাই বীরত্ব" ও "জুলাই আত্মত্যাগ" স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজের আত্মত্যাগের কথা আমাদের জাতিকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিবে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে গ্রাফিতি অঙ্কনের এ উদ্যোগ তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত হতে। আমাদের দায়িত্ব হবে তাদের এ ত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা এবং একইসাথে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তাঁদের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করা।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জুলাই পুনর্জাগরণ ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ম্যুরাল চত্বরে জুলাই বিপ্লবের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে মূল উপজীব্য করে ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টার নির্দেশনা এবং সংস্কৃতি উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে।