রবিবার সকালে হিজলা উপজেলার নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মোশারফ হোসেন হাইমচর থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের অধিবাসী ছিলেন।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মহসিন আলম বলেন, ‘রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি লাশ নদীতে ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয় জেলেরা। পরে তারা থানায় খবর পাঠায়।’
তিনি জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আটক করার জন্য পুলিশের একটি দল শুক্রবার রাতে মেঘনার পশ্চিম পাড়ে চরপোড়ালিয়া এলাকায় অভিযানে যায়। এসময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরতে থাকা সংঘবদ্ধ জেলেরা তাদেরকে আটক করা হবে সন্দেহ করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
এসময় হঠাৎ জেলেদের হামলায় আহত পুলিশ সদস্য মোশারফ নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। আহত হয় সাত পুলিশ সদস্য।
শুক্রবার সারারাত ও শনিবার সারাদিন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি, কোস্টগার্ড সদস্য ও নৌ-পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম চালালেও মোশারফের সন্ধান পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে তার লাশের সন্ধান পায় স্থানীয় জেলেরা।
প্রসঙ্গত, মোশারফের স্ত্রী শামীমা আক্তারও (২৫) পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।