ময়মনসিংহে বালুবোঝাই একটি ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় চারজন নিহতের ঘটনায় সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-ভৈরব রুটে আড়াই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিন দুপুর পৌনে ২টায় শম্ভুগঞ্জ চর রঘুরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেল বিভাগের সদস্যরা জানান, দুর্গাপুরের জারিয়া থেকে আসা বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ রঘুরামপুর রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। তবে সেখানে গেট ব্যারিয়ার বা গেটম্যান না থাকায় বালুবোঝাই একটি ট্রাক ট্রেন লাইনে উঠে পড়ে। এসময় ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ট্রাকটি। আর ট্রেনটি প্রায় তিনশ’ মিটার সামনে এগিয়ে থেমে যায়। এতে ট্রাকের চালক ঘটনাস্থলে নিহত হন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৪
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনাকবলিত স্থানটি একটি অবৈধ লেভেল ক্রসিং। এখানে গেট ব্যারিয়ার না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বালুবোঝাই ট্রাকটি লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঁঞা বলেন, অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ট্রাক চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লেভেল ক্রসিং কেন অরক্ষিত সে বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। নিহতের পরিবারকে আপাতত ২০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা করা হবে। বিষয়টি কী কারণে ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ময়মনসিংহ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী আকরাম আলী বলেন, এটি একটি অরক্ষিত রেলক্রসিং। দুর্ঘটনার কারণ জানতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসে তারা প্রতিবেদন দেবেন।
দুর্ঘটনার আড়াই ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত