রবিবার ‘জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকীতে রেলসেবা ও নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২০’ পালনের অংশ হিসেবে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে পরিদর্শন ও যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় নূরুল ইসলাম সুজন সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে রেলওয়ের গৃহীত কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ৪ ডিসেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী ‘জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকীতে রেলসেবা ও নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২০’ উদযাপন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
তিনি বলেন, সেবা ও নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনের উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে সাতটি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১১টি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। নির্ধারিত উদ্বোধনী স্টেশন (ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, সান্তাহার, ঈশ্বরদী, পার্বতীপুর, লালমনিরহাট) হতে সংশ্লিষ্ট সেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত টাস্কফোর্সের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সেবা সপ্তাহে যেসব বিষয় নিশ্চিত করবে তা হলো- কোভিডকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ ট্রেন চলাচল নিশ্চিতকরণ, রেলওয়ের হাসপাতাল সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান, রেলওয়ে স্টেশন ও স্টেশন অঙ্গন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, ট্রেনসমূহের সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করা, যাত্রীদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, স্টেশনের ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা আপডেট রাখা, প্ল্যাটফর্ম, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, ওয়েটিং রুম, রিটায়ারিং রুম ও টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, ট্রেনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, যাত্রী অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, যাত্রীদের প্রতি সৌজন্যমূলক আচরণ প্রদর্শন, স্টেশনে প্রতারক, টিকেট কালোবাজারী ও অন্যান্য অবাঞ্চিত প্রবেশ প্রতিহত করা, স্টেশন ও ট্রেনে রক্ষিত ফাস্ট এইড বক্স সংরক্ষণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা, ভেন্ডিং শপ ও ক্যাটারিং সার্ভিসে বিক্রিত খাদ্যের মূল্য ও মান বজায় রাখা, যাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষায় রেলওয়ে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি, মহিলা, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও শিশু যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য চলাচলসহ সিড়ি, হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করা।
সিডিউল বিপর্যয় বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ডাবল লাইন না হওয়া পর্যন্ত সিডিউল বিপর্যয় রক্ষা করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, রেলওয়ের মূল উন্নয়ন শুরু হয়েছে ২০১১ সালে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেলখাতের উন্নয়নে আন্তরিক হওয়ায় এখন নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে এবং রেলকে আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শাসসুজ্জামানসহ বিভাগীয় রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।