রেলপথ মন্ত্রী
যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে রেলে ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করা হবে: মন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্যবস্থাকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও পরিবেশবান্ধব করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে রেলে ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত: রেলমন্ত্রী
ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
রবিবার (১৬ জুলাই) রেলভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং তুমাস তুর্কি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসাল্টিং এন্ড কন্সট্রাক্ট্রিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করে রেল চলাচলের জন্য ট্রাকশন নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম এবং টঙ্গি থেকে জয়দেবপুর অংশের কাজ করার জন্য তুমাস তুর্কি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসাল্টিং এন্ড কন্সট্রাক্ট্রিং কোম্পানিকে যে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এছাড়া তারা নিদিষ্ট সময়ের মধে তা শেষ করবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ইউরোপসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে রেলে গ্যাস ও ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার হচ্ছে। এতে কার্বন নির্গমণ হয় না। এটি পরিবেশবান্ধব তাই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে আমাদের সরাসরি রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
১ বছর আগে
চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ শুরু: মন্ত্রী
চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের এ বিষয়ে মিটিং হবে। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে কবে থেকে রেল লাইন বসানোর কাজ শুরু হবে এবং সেটি আগামী সপ্তাহ থেকেই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
শুক্রবার (১৫ জুলাই) পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনকালীন মাওয়া স্টেশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
এছাড়া ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন লাইনে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই সেতুতে রেল সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সরকারের দশটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। এটি ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হবে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা আছে। সময় মত বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত, দ্বিতীয় অংশ মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং তৃতীয় অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত।
বিভিন্ন অংশের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে নুরুল ইসলাম বলেন, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর সেকশনের কাজের অগ্রগতি ৫১ শতাংশ এবং সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হলে ঢাকা থেকে ফরিদপুর রাজবাড়ী হয়ে খুলনা, যশোর, দর্শনা, বেনাপোল পর্যন্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন লাইন যেটি এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে, ফলে তা মংলা পর্যন্ত চালানো সম্ভব হবে।
প্রকল্প পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসানসহ কনসালটেন্সি সুপারভিশন সার্ভিসের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পদ্মা সেতুর কারণে বাগেরহাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর ভিড়
পদ্মা সেতুতে তিন দিনে ১১ কোটি টাকা টোল আদায়
২ বছর আগে
আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে মানুষের সেবায় বিলিয়ে দিতে হবে: রেলপথ মন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে মানুষের সেবায় বিলিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আন্দোলন সংগ্রামসহ সামাজিক ও মানবিক সকল কার্যক্রমে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। ঢাবিতে পড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। তাছাড়া আমাদের সরকার মেধাবী জাতি ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় জেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ঈদ পূণর্মিলনী ও কৃতিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, দেশের প্রতি দায়বোধ থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সৃজনশীল ও সুশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে হবে।
এই সময় মন্ত্রী শিক্ষাজীবন শেষে পছন্দের পেশা বেছে নিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রেলকে দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে: রেলপথ মন্ত্রী
পঞ্চগড় জেলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সভাপতি মো.এমরান আল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব পঞ্চগড়ের সাধারণ সম্পাদক রিফা জাকিয়া, ঢাবি’র শিক্ষার্থী কায়সার, খালিদ হোসেন খান প্রমুখ।
২ বছর আগে
চীন থেকে ৩১৮ কোটি টাকায় ৫৮০ ওয়াগন কিনছে রেলওয়ে
চীন থেকে ৩১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫৮০ মিটারগেজ ওয়াগন কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশটির একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সিআরআরসি শানডং কোম্পানি লিমিটেড ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে ওয়াগনগুলো সরবরাহ করবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘রেলকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে বর্তমান রেলওয়েকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কারণ বর্তমান সরকারের লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আত্মনির্ভরশীল, মর্যাদাকর দেশ গঠন করার লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জনগণের কথা মাথায় রেখে সুদূরপ্রসারি চিন্তা থেকে রেলওয়েকে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ভারতের সাথে সাতটি চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা সই
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রেলের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রেলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে ।’
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘সারাদেশের রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে বর্তমানে পাঁচটি চালু করা হয়েছে আরও তিনটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খুলনার সঙ্গে মোংলা পোর্টে যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। আগামী বছর ডিসেম্বরে কক্সবাজার রেললাইন চালুর লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে। পর্যায়ক্রমে সকল মিটারগেজকে ব্রডগেজ এ রূপান্তর করা হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাই জিয়েন স্বাক্ষর করেন।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
দেশের ৫৫টি রেল স্টেশনকে আধুনিকায়নের উদ্বোধন
রেল যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে সারাদেশে ৫৫ টি রেলস্টেশন আধুনিকায়ন, প্ল্যাটফর্ম শেড নির্মাণ, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রণ, স্টেশন প্লাটফর্ম উঁচু করাসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন স্টেশন আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ ট্রেন যোগে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে এসব স্টেশনের আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী যেসব রেলস্টেশনের আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন করেন সেগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইল, শহীদ মনসুর আলী, জামতৈল, উল্লাপাড়া, বড়াল ব্রিজ, চাটমোহর, নাটোর, সান্তাহার, জয়পুরহাট বিরামপুর, পার্বতীপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ও ডোমার।
এসব স্টেশনে কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার রেলকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। অনেক নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সারাদেশের সিঙ্গেল লাইনকে পর্যায়ক্রমে ডাবল লাইন করা হবে।
রেলওয়েতে চলমান বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন, খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, যমুনা নদীর উপর আলাদা বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হবে। ফলে উত্তরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সময় ও খরচ কমে যাবে।
জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলে অধিক পরিমাণে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইনে ৯টি আন্ডারপাস নির্মাণ হচ্ছে
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন,বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা রেলওয়েকে একইভাবে আধুনিক উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসাবে গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছি। যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে স্টেশন সমূহের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে,স্টেশনের ওয়েটিং রুম, টয়লেট ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিকভাবে উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছ। রেলকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে মন্ত্রী জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সাথে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যাবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লোকবল সংকট : বন্ধ হলো নাটোরের আজিমনগর রেলস্টেশন
রেল খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক
৩ বছর আগে
রেল খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক
বাংলাদেশে রেল খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক।
রবিবার রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের দপ্তরে তাঁর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান সাক্ষাত করে এই আগ্রহের কথা জানান।
রেলপথ মন্ত্রী এ সময় তাঁর বক্তব্যে বলেন, রেল খাতে আমরা বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছি। বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান আছে এবং আগামীতে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, রেল খাতের উন্নয়নে আমাদের একটি মহাপরিকল্পনা আছে, সেটি ধরে ধরে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: কেমন হবে আমাদের মেট্রোরেল?
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের রেললাইন ছিল তিন হাজার কিলোমিটার আর বর্তমানে ২৮০০ কিলোমিটার হয়েছে। আমাদের রেলপথ যমুনা নদী দিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত। পশ্চিমে ব্রডগেজ আর পূর্বে মিটারগেজ। আমাদের বেশির ভাগই সিঙ্গেল লাইন। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
রেলমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। তখন থেকেই সরকার রেলখাতে বিনিয়োগ শুরু করে। বর্তমানে চলমান কয়েকটি প্রকল্পের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মাণ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণ কাজ চলমান। ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নতুন নতুন লোকোমোটিভ ও প্যাসেঞ্জার কোচ বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করছি।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের আরও ৪ ইঞ্জিন, ৮ কোচ
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কারখানাগুলোকে আধুনিকায়ন করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা ইলেকট্রিক ট্রাকশনের দিকে যাব।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যেকোনো দেশের পরিবেশ বান্ধব, সহজ,ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে রেলওয়ে। বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে রেল খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, তুরস্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইসি উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
৩ বছর আগে
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিয়ে করেছেন
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আবার বিয়ে করেছেন।
শুক্রবার মন্ত্রী নিজেই ইউএনবিকে জানান, গত ৫ জুন বিয়ে করেছি।
আরও পড়ুন: রেলকে দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে: রেলপথ মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কনের বাড়ি দিনাজপুরের দিরামপুর। তিনি ঢাকার উত্তরায় নিজস্ব ফ্ল্যটে থাকেন থাকেন। উনি ডিভোর্সী। এর আগের স্বামীর ঘরের একটি মেয়ে রয়েছে তার। তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: প্রতিটি জেলায় রেল লাইন করা হচ্ছে: মন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, কনে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজে এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার হিসেবে চাকরি করেন। কনের দুই ভাই, এক বোন আছে। সে মেঝো। তার বাবা, মা মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: পটিয়া-দোহাজারি রেলপথের নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হলো: মন্ত্রী
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, তার আগের বউ গত নির্বাচনের আগের দিন মারা যান। দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তার। ছেলে মেয়ে সবার বিয়ে হয়ে গেছে।
৩ বছর আগে
লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
লকডাউনের মধ্যে বুধবার থেকে আটটি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যে জীবন এবং জীবিকা চালু রাখতে হবে। লকডাউনে কৃষক যাতে কৃষি পণ্য সহজে পরিবহণ করতে পারে সে জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ পার্সেল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: পটিয়া-দোহাজারি রেলপথের নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হলো: মন্ত্রী
মঙ্গলবার রেলভবনে করোনাকালীন সময়ে সকল ধরণের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য ও পার্শ্বেল মালামাল পরিবহণের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বিভিন্ন রুটে কয়েকটি বিশেষ পার্শ্বেল ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে ব্রিফিং এ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ে অতীতে বিভিন্ন সময় ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন, ক্যাটল ট্রেনসহ পার্শ্বেল ট্রেন পরিচালনা করেছে। রেলওয়ে বর্তমানে তেল, সারসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন করছে। কৃষিপণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে আগামীকাল থেকেই আটটি পার্সেল ট্রেন চলাচল করবে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি জেলায় রেল লাইন করা হচ্ছে: মন্ত্রী
তিনি জানান, ঢাকা-সিলেট (প্রতিদিন), সিলেট-ঢাকা (প্রতিদিন), চট্টগ্রাম-সরিষাবাড়ী (প্রতিদিন) সরিষাবাড়ী-চট্টগ্রাম (প্রতিদিন), খুলনা-চিলহাটি (শনি, সোম, বুধ), চিলহাটি-খুলনা (রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার), পঞ্চগড়-ঢাকা (শনি, সোম বুধ), ঢাকা-পঞ্চগড় (রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার) পার্সেল ট্রেন চলাচল করবে।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সরিষাবাড়ী ও চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে পরিবাহিত পার্সেল মালামাল ভৈরববাজার ও আখাউড়া স্টেশনে ল্যাগেজ ভ্যান সংযোজন/বিয়োজনের মাধ্যমে গন্তব্যে পাঠানো হবে। খুলনা-ঢাকা রুটের মালামাল পরিবাহিত লাগেজ ভ্যান ঈশ্বরদী স্টেশনে বিয়োজন করত: বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনে সংযোজন/বিয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: রেলকে দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে: রেলপথ মন্ত্রী
বিশেষ পার্সেল ট্রেনে কৃষিজাত পণ্য যেমন, শাক-সবজি, দেশিয় ফলসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যাদি পরিবহনের ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার উপর ২৫ শতাংশ রেয়তী ও অন্যান্য সকল প্রকার চার্জ রহিত থাকবে।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন সরদার শাহাদত আলী উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
প্রতিটি জেলায় রেল লাইন করা হচ্ছে: মন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বৃহস্পতিবার বলেছেন, সারা দেশের ট্রেন সার্ভিস বৃদ্ধি করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় রেল লাইন করা হচ্ছে।
৩ বছর আগে
যাত্রী সেবা বৃদ্ধি করাই রেলসেবা সপ্তাহ পালনের মূল লক্ষ্য: মন্ত্রী
যাত্রীদের রেলসেবা আরও বৃদ্ধি করাই সেবা সপ্তাহ পালনের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
৩ বছর আগে