সম্প্রীতি ফোরাম যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নর্থ ক্যারোলাইনার ক্যারিতে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবসে ‘রঙ তুলিতে বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি অনবদ্য অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের কল্পনায় তাদের মাতৃভূমির ছবিটি কেমন তা জানা এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের জানতে আগ্রহী করে তোলা।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি-আমেরিকান শিশুরা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত শুনে কথাগুলো পড়ে তাদের কল্পনা থেকে নিজের মাতৃভূমির ছবি আঁকে।
বৃষ্টিস্নাত, ঠাণ্ডা মেঘলা দিনে নর্থ ক্যারোলাইনার ট্রায়াঙ্গাল এলাকার ১৪ জন শিশু এই আয়োজনে অংশ নেয়।
এই আয়োজনে আরও ছিল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা ও নর্থ ক্যারোলাইনাবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশিত দেশের গান।
সম্প্রীতি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক এবিএম নাসির সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। অধ্যাপক নাসির তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের আত্মপরিচয়ের মূলে এবং পরের প্রজন্মকে এই গৌরবময় ইতিহাস জানাবার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
আরও পড়ুন: কানাডায় বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটি অব আলবার্টার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
মরিসভিল টাউনের কাউন্সিলম্যান স্টিভ রাও এর বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শিশুদের জানাবার এই রকম আয়োজনে সিটি কাউন্সিলের সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা জানান।
সেক্টর-৬ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা আনওয়ারুল ইসলাম মুকুল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল মাত্র ১৭ বছর বয়েসে যুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ, কষ্ট ও সাহসের গল্পময় তার বক্তব্য ছিল প্রাণস্পর্শী।
স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পী কাকলি ও কেনির পরিবেশনায় হৃদয় ছোঁয়া একটি দেশের গান দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ক্রমে সাত্যকি, অনুরত, তন্ময়, আনিসুর ভুঁইয়া, ড. ফারজাহান শাওন, হালিমা বেবীসহ আরও অনেক শিল্পীদের কোরাস পরিবেশনায় একের পরে এক দেশের গানে অনুষ্ঠানের পরিবেশ হয়ে ওঠে আবেগঘন।
নেপথ্যে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে শিশুরা পেন্সিল আর রঙের আঁচড়ে তাদের কল্পনার মাতৃভূমির ছবি আঁকে আনন্দঘন পরিবেশে, অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে। শিশুদের আঁকা ছবিগুলো নিয়ে সম্প্রীতি ফোরাম শিগগিরই আয়োজন করবে একটি প্রদর্শনীর।
শিশুদের চিত্রাংকন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেলিনা মুন্নি, নাসরিন সুমি, শায়মা ভুঁইয়া, সোনিয়া মিতুসহ অন্যান্যরা। পুরো অনুষ্ঠানের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন ড. শাহ হুদা, আহসান চৌধুরী, ড. কুদরুতে মাওলা, ড. তন্ময় ইসলাম ও অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে জাতি