শনিবার সার্কিট হাউসে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, শিক্ষক, সুশীল সমাজ ও শিক্ষার্থীদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
রবিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম চালু এবং শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে হল খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান।
বৈঠক শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকে যে ২২ দফা দাবির কথা বলে আসছিলেন তা মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। পাশাপাশি উপাচার্য ইমামুল হককে ছুটিতে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বৈঠক থেকে এবং এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তিনিই গ্রহণ করবেন।
বৈঠকে উপস্থিত আন্দোলনরত ছাত্র নেতা সিফাত বলেন, ‘বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সাথে একমত হয়েছি আমরা। তাই বৈঠকে আমরা শিক্ষার্থীদের যেসব প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলাম তারা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হানিফ, বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান, ডিজিএফআই কর্মকর্তা কর্নেল শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন নিজেদের না জানানোর কারণে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন।