এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মান পরীক্ষাসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য জরুরি সেবা চালু রাখারও নির্দেশ দেন তিনি।
আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ভোক্তা সাধারণের জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্যপণ্য নিশ্চিতকরণ, শিল্পখাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ যথাযথ বাস্তবায়ন ও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যকর কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক এক সভায় বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
তিনি আরও বলেন, রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন সুপারশপ এবং চালু থাকা খাদ্যপণ্যের দোকানগুলোতে নজরদারি বাড়িয়ে নিরাপদ খাদ্যপণ্যের যোগান নিশ্চিত করা হবে।
এ মুহূর্তে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে জানান মন্ত্রী।
নিরবচ্ছিন্ন সার সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে কৃষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অধিক পরিমাণে ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। সার নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আপনারা উৎপাদন অব্যাহত রাখুন। শিল্প মন্ত্রণালয় আপনাদের চাহিদামাফিক সারের যোগান দেবে।’
করোনার ফলে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, এসব উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় ও বাজারজাতকরণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হবে। এসএমই শিল্পোদ্যোক্তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ ই-কমার্সের মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ে সহযোগিতা বাড়াতে এসএমই ফাউন্ডেশনকে নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি), বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের (বিএসসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) ও বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।