রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ মঙ্গলবার। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী বিধি মোতাবেক নির্বাচনের প্রচারণা গতকাল রবিবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে।
মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের মো. তউহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় পার্টির মো. মোস্তাফিজার রহমান, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল-জাসদের মো. শফিয়ার রহমান, আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাকের পার্টির মো. খোরশেদ আলম এবং স্বতন্ত্র মো. লতিফুর রহমান, মো. মেহেদি হাসান (বনি)।
আরও পড়ুন: রংপুরে সংরক্ষিত ইভিএমের ৬০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ
নির্বাচন কমিশন বলছেন, রংপুর সিটি করপোরেশনে ২০১৭ সালের নির্বাচনে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এবার নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৪৭৬ জন। বর্তমানে সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটারের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের একজন আছেন।
রবিবার বিকালে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। রবিবার রাতে প্রচারণা শেষ । ২১৯টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে সাড়ে তিন হাজারের বেশি ইভিএম মেশিন এসেছে। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে মক ভোটিং শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে।
কোনও প্রার্থীই যাতে নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে না পারেন সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রে মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৯টি। নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ২২৯ জন এবং সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা থাকবেন এক হাজার ৩৪৯ জন। মোট পোলিং অফিসার থাকবেন দুই হাজার ৬৯৮ জন।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন: ভোট কক্ষে ২ জনের বেশি সাংবাদিক নয়
জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।
সর্বশেষ এই সিটিতে নির্বাচন হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যেহেতু কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর, তাই এ সিটিতে নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রে এই সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট। আর রসিক সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির থেকে আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।
রংপুর সিটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিটি করপোরেশন। ২০৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা