রবিবার বিএনপির একাধিক নেতা মুঠোফোনে ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ।
দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের শামছুল উলুম হাফিজিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন চর মোনাই মনোনিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী এ্যাড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম খান ওরফে জাহিদ হাসান।
পরিদর্শন শেষে তিনি কেন্দ্রের বাইরে আসলে সাংবাদিকরা কেমন নির্বাচন হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন, রাজবাড়ী-১ আসনের সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের একাধিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ইসলামী আন্দোলনের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এমনকি কিছু স্থানে ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। রাজবাড়ী-২ আসনেরও একই ধরনের অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন সরকার দলের এজেন্ট যারা ছিলেন তারা আমাদের কোনো এজেন্ট রাখেননি।
তিনি আরও বলেন, আমি খবর পেলাম গোয়ালন্দর মঙ্গলপুর এবতেদায়ী মাদ্রাসা কেন্দ্রের আমার এজেন্টকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এমনকি তাকে বাড়ি থেকে বের হতে বাধা দেয়া হয়েছে। এসে দেখলাম ভোট কেন্দ্রে আমার কোনো এজেন্ট নেই এমনকি ওই এজেন্টকে খুঁজে পাচ্ছি না। এখন কেমন নির্বাচন হচ্ছে আপনারা বুঝতেই পারছেন।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, সারাদিন কেন্দ্র কেন্দ্র ঘুরে বেড়াচ্ছি। তবে লিখিত অভিযোগ দিব।
এদিকে গোয়ালন্দ উপজেলার ৩৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দুই-তিনটি ছাড়া কোথাও বিএনপির এজেন্ট পাওয়া যায়নি। তবে সকাল থেকে বিএনপির একাধিক নেতা মুঠোফোনে তাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন।
পৌরসভার কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা জাজিউর রহমান বলেন, সকালেই গোয়ালন্দ পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবলুর স্ত্রীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এমনকি বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা দিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়।
গোয়ালন্দ বাজার মনিহারি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ববি আক্তার অভিযোগ করেন, সকালে জেএন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে গেলে কেন্দ্রে প্রবেশের আগেই স্থানীয় কিছু ছেলেপেলে ভোট দিতে বাধা প্রদান করেন। এমনকি আমার হাতে থাকা ভোটের স্লিপটি পর্যন্ত তারা কেড়ে রেখে দিলে বাধ্য হয়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে আসি।
উপজেলার অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনকালে এক-দুটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও বিএনপির কোন এজেন্টকে পাওয়া যায়নি। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টকে দায়িত্বপালন করতে দেখা যায়। এমনকি এক প্রকার শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করতে দেখা যায়।
এ প্রসঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কোনো প্রার্থী,এজেন্ট বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাও করেনি। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।