২৭ থেকে ২৯ মার্চের এ সফরকালে তিনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন আমেরিকান কর্নার উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশে এখন নতুনটিসহ চারটি আমেরিকান কর্নার আছে যেগুলো ঢাকার আমেরিকান সেন্টারের সম্প্রসারিত অংশ।
এছাড়া, মিলার স্থাপত্য ও প্রদর্শনী বিষয়ক সংস্কার এবং সংরক্ষণের কিছু কাজ দেখতে রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘ইউএস অ্যামব্যাসেডর’স ফান্ড ফর কালচারাল প্রিজারভেশন’ তহবিলের আওতায় মোট এক লাখ ৯৩ হাজার ডলারের (১ কোটি ৬২ লাখ ১২ হাজার টাকা) তিনটি মঞ্জুরি সহায়তা দিয়েছে।
তিনি রেডিও ‘পদ্মা’য় গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ‘আমেরিকান ইংলিশ রেডিও প্রোগ্রাম’ নিয়ে আলোচনা করেন। এর প্রতি পর্বের শ্রোতার সংখ্যা ১৩ লাখ। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সহিংসতা প্রশমন বিষয়ক একটি কর্মসূচিতে অংশ নেয়া তরুণদের সঙ্গে সাক্ষাতও করেন তিনি।
সেই সাথে মিলার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থায়নে পরিচালিত ইংলিশ অ্যাকসেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রামে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। ইংরেজি ভাষা ও নেতৃত্বের দক্ষতা সংক্রান্ত দুই বছরব্যাপী এ কর্মসূচিতে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী বাংলাদেশিরা অংশ নেয়।
রাষ্ট্রদূত সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি পরিদর্শনেও যান। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অগ্রগতি দেখেন। এতে ১৩ হাজার ৭৭০ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি নতুন প্রশিক্ষণ কৌশল অনুযায়ী প্রথম কোনো বাংলাদেশি প্রশিক্ষকের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি জরুরি ফার্স্ট এইড কোর্স দেখেন।
মিলার রাজশাহীতে বসবাস ও কর্মরত আমেরিকানদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে প্রবাসীদের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি পুঠিয়া প্রাসাদ ও রাজশাহী কলেজসহ কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করে সফর শেষ করেন।