ভুক্তভোগীদের কর্মহীনতার ধারা অনিয়মিত হলেও বছরের বিভিন্ন সময়ে শারীরিক দুর্বলতা এবং নানা সমস্যার কারণে তারা কর্মহীন থাকতে বাধ্য হন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে।
শনিবার সকালে ‘সপ্তম বর্ষে রানা প্লাজা দুর্ঘটনা এবং কোভিড-১৯’ শীর্ষক একটি অনলাইন ডায়ালগে এসব তথ্য তুলে ধরেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ।
একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত এ ডায়ালগে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ জন পোশাক শ্রমিকের উপর মোবাইল ফোনকলের মাধ্যমে পরিচালিত একটি জরিপের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
জরিপে দেখা যায়, রানা প্লাজা দুর্ঘটনা ভুক্তভোগী যারা কর্মরত রয়েছেন, তাদের মধ্যে ১২ শতাংশই পোশাক কারখানায়। এ বছরের জরিপে দেখা যায়, রানা প্লাজা ঘটনার ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই পোশাক শিল্পের সাথে যুক্ত রয়েছেন এবং সেখান থেকেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন।
তবে, গত কয়েক বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ পোশাক শ্রমিকের তীব্র মাথা ব্যাথা, হাত-পায়ের ব্যাথা ও অসাড়তা এবং মেরুদন্ডের ব্যথাসহ স্বাস্থ্যে অবনতি হচ্ছে।
অন্যদিকে, ৫৮.৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে তারা মোটামুটি সুস্থ আছেন এবং ২৭.৫ শতাংশ নিশ্চিত করেছেন যে তারা পুরোপুরি সুস্থ আছেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর ১২.৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা এখনও স্বাভাবিক নয়। এখনও অনেকের মধ্যে ভয়-আতংক-উৎকণ্ঠা কাজ করে।
আলোচনায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি তোমা পতিয়াইনেন, আইন ও শালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন ড. হামিদা হোসেন ও একশনএইড বাংলাদেশ কমকতারা অংশ নিয়েছিলেন।