বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে সর্বকালের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ‘রানা প্লাজা’ ধসের আট বছর পূর্তি শনিবার। করোনা মহামারির মধ্যেই নিহতদের স্মরণে পালিত হচ্ছে দিনটি।
নিহতদের স্মরণে এবছর করোনা মহামারির কারণে খোলা স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে না।
এই দিনটি স্মরণে প্রতিবছর বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, বাম রাজনৈতিক দল এবং রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অবৈধভাবে নির্মাণ করা রানা প্লাজা ভবনটি ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল ধসে পড়ে। এই দুর্ঘনায় ভবনটিতে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানার ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক মারা যায়। প্রায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশে পরিচালিত জরিপ মতে, বেঁচে ফেরা প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্যের দিন দিন অবনতি হচ্ছে।
রানা প্লাজা দুর্ঘনায় জীবিতদের মধ্যে প্রায় ৫৮.৫ শতাংশ মোটামুটি সুস্থ এবং ২৭.৫ শতাংশ ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। কিন্তু ১৪ শতাংশ আক্রান্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন এখনও তারা মাথা ব্যথা, হাত-পা এবং পিঠে ব্যথা অনুভব করেন।
মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায়, এখনো ১২.৫ শতাংশ দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি মানসিক অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ৬২ শতাংশ ব্যক্তি স্বল্পমাত্রায় মানসিক অসুস্থতার শিকার এবং ২৫.৫ শতাংশ ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। গতবছরের তুলনায় এই বছর ৪.৫ শতাংশ ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক ভার্চুয়াল সভায় অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ জরিপে প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করে। দুর্ঘটনার শিকার ২০০ ব্যক্তি এই জরিপে অংশ নেয়।