তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা আপনার পাশে আছি, এটা বাংলাদেশের জন্য একটা বড় বোঝা।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সংসদ ভবন কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রিভা এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বীকৃতি দিয়েছে, কারণ তিনি বাংলাদেশে এক লাখেরও বেশি মিয়ানমার রোহিঙ্গা নাগরিক আশ্রয় দিয়েছেন।
রিভা বলেন, সহযোগিতার নতুন দ্বার খোলার সুযোগ দুই দেশেরই রয়েছে।
তিনি বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং তার দেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অভিহিত করেন।
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমিশন সক্রিয়করণের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
অঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে রিভা বলেন, আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সকল দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।
রিভা গাঙ্গুলী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, তিনি আগেও বাংলাদেশে নিযুক্ত ছিলেন এবং এখন তিনি ব্যাপক উন্নয়ন এবং দেশের পরিবর্তনগুলো দেখে অবাক হয়েছেন।
‘আপনি নারী ক্ষমতায়নে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন,’ যোগ করেন তিনি।
রিভা গাঙ্গুলিকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাকে স্বাগত জানাতে পেরে তিনি আনন্দিত এবং তার দায়িত্বপালনকালে সরকারের পক্ষ থকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভারত সরকার এবং তাদের জনগণ সবসময়ই বাংলাদেশকে সহায়তা করে যেমনটি করেছিল ১৯৭১ সালে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত সমস্যা সমাধানে ভারতের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলন, ‘সকল রাজনৈতিক দল যেভাবে তাদের মধ্যকার ভেদাভেদ ভুলে ১৯৭১ সালে সহায়তা করেছিল, তা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
জবাবে নতুন হাইকমিশনার বলেন, এটি সম্পর্কের একটি মডেল হতে পারে।
শেখ হাসিনা আবারও পরিষ্কারভাবে বলেন যে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীকে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, সরকারের মূল লক্ষ্য হলো দেশের উন্নয়ন করা।
মুখ্য সচিব এম নজিবুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।