এই সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের অবস্থানকে লিথুয়ানিয়ার কাছে তুলে ধরে প্রয়োজনীয় সমর্থন বাড়ানোর বিষয়ে লিথুয়ানিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ভিলনিয়াসে বাংলাদেশ ও লিথুয়ানিয়ার মধ্যকার পররাষ্ট্র বিষয়ক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে দু’দেশ।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিক ও কনস্যুলার বিষয়ক সচিব ও রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান। অন্যদিকে লিথুয়ানিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার অ্যালবিনাস জানানা ভিসিয়াস।
বৈঠকে মস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং একইসাথে লিথুয়ানিয়াতে নিযুক্ত ড. এসএম সাইফুল হক এবং লিথুনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উভয় প্রতিনিধিদল সম্মত হয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর লিথুয়ানিয়া সফর স্থায়ী এবং লিথুয়ানিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর শিগগিরই আয়োজন করা হবে।
উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের জন্য বাংলাদেশ ও লিথুয়ানিয়া বেশ কিছু চুক্তি সই করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর চুক্তি সইয়ের বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) এর মধ্যকার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), বাংলাদেশ ও লিথুনিয়ান শিল্পপতিদের কনফেডারেশনের (এলপিকে) মধ্যে শিগগিরই এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের জন্য লিথুয়ানিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি লিথুয়ানিয়ান ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে যৌথ উদ্যোগে বিশেষ করে উৎসাহিত করেন। এছাড়া বাংলাদেশের হাইটেক পার্কে জমি পাওয়ার জন্য লিথুয়ানিয়াকে উৎসাহিত করা হয়।