বুধবার শহিদুলের আইনজীবী সারাহ হোসেনের রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি বোরহানউদ্দিন এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন জানান, এর আগে তারা নিম্ন আদালতে শহিদুলকে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দিতে রিট আবেদন দায়ের করেন এবং আদালত জেল কোড অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আদেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আদালতের আদেশ সত্ত্বেও শহিদুলকে কারাগারে ডিভিশন সুবিধা প্রদান করা হয়নি। তাই আমরা হাইকোর্টে আবার রিট আবেদনটি দায়ের করেছি।’ আজ ওই আবেদনের শুনানির পর শহিদুলকে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ।
গত মঙ্গলবার আইসিটি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার শহিদুল আলমের জামিন আবেদনের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন দুই সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চের এক বিচারপতি।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সেটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়।
গত ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে ধানমন্ডিস্থ নিজ বাসা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ৬ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে (আইসিটি) তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা হয়। ওই দিনই পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
পুলিশের দাবি, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুকের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালিয়েছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণকে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। তিনি সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।