হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ রবিবার এ আদেশ দেন।
ফলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিল তা বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন শহিদুল আলমের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা এ মামলার কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে শহিদুল আলমের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ মার্চ হাইকোর্ট মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেয়।
রুলে মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রমনার থানার ওসি, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তর) পরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তর) পরিদর্শক আরমান আলী ও ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ৪ এপ্রিল লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা রবিবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন এএফ হাসান আরিফ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়না হাসান, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।
পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হাইকোর্ট মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে যে আদেশ দিয়েছিল তা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে পক্ষগণকে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত বছরের ৩ ও ৪ আগস্ট জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন শহিদুল আলম। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন।
পরে ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নেয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ৬ আগস্ট পুলিশ তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।