প্রধান বিচারপতি
দ্বৈত শাসনব্যবস্থার বিলোপ না হলে বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, দ্বৈত শাসনব্যবস্থার বিলোপ না হলে বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা তত দিন পর্যন্ত নিশ্চিত হবে না, যত দিন না বিচার বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান দ্বৈত শাসনব্যবস্থা অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এখতিয়ার সম্পূর্ণরূপে বিলোপ করে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। আর এটিই হবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রথম ধাপ।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘একটি ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থার কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে স্বল্প সময় ও খরচে বিরোধের মীমাংসা নিশ্চিত করে জনগণ, সমাজ, রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দেওয়া। এ জন্য বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা থেকে পৃথক ও স্বাধীন করা সবচেয়ে জরুরি। কেননা শাসকের আইন নয়, বরং আইনের শাসন করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মতো বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তাব প্রস্তুতক্রমে আমরা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। এই প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রধান উপদেষ্টা ও মঞ্চে উপবিষ্ট আইন উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ কার্যকররূপে পৃথক না হওয়া। এর কুফল আমরা সবাই ভোগ করেছিলাম দেড় দশক ধরে। এ ছাড়া আছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব। মামলা অনুপাতে বিচারকের নিদারুণ স্বল্পতা, বার ও বেঞ্চের মধ্যে...মনোভাবের ঘাটতি, আদালতগুলোর অবকাঠামোগত সংকট, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা না থাকা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে কোনো আইন না থাকা এবং প্রথাগত জ্যেষ্ঠতার নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ইত্যাদি বিষয়গুলো, যা আমাদের বারবার পিছিয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: আমরা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি, নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ যেন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে বিচার বিভাগের কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহযোগিতা কামনা করেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘এই সংস্কারের উদ্দেশ্য হবে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট হয়েছে, তা দ্রুত দূর করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী, আধুনিক, দক্ষ ও প্রগতিশীল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বর্তমানে বিচারকদের পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো ঘোষিত নীতিমালা নেই। ফলে পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময়ই বিচারকেরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে যথোপযুক্ত নীতিমালা দ্রুত প্রণয়ন করব। শুধু বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করলেই হবে না, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে সংবিধানের ৯৫(২) অনুচ্ছেদে যে বিধান রয়েছে কেবল সেটুকু নিশ্চিত করে বিচারক নিয়োগের ফলে সুপ্রিম কোর্টে এক অভূতপূর্ব অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনেক ক্ষেত্রেই রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে পালন করেছে। এটি ন্যায়বিচারের ধারণার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’
তাই উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে অন্যান্য দেশে অনুসৃত আধুনিক পদ্ধতিগুলো বিবেচনায় নিয়ে দেশে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে একটি কলোজিয়াম ব্যবস্থা চালু করতে আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের মূল্যবোধকে বিনষ্ট ও বিকৃত করা হয়েছে। শঠতা, বঞ্চনা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। অথচ বিচার বিভাগের সবচেয়ে শক্তির জায়গা হচ্ছে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। তাই নতুন এই বাংলাদেশে আমরা একটা বিচার বিভাগ গড়তে চাই যেটি, সততা ও অধিকারবোধের নিশ্চয়তার একটি নিরাপদ দুর্গে পরিণত হবে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
২ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতিকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
নবনিযুক্ত চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাক্ষাৎকালে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রম রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের নবীন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
জনগণ যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
মামলা জট কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
বৈঠকে আরও ছিলেন- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব নসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী ও প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য-লুটপাট বন্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বললেন রাষ্ট্রপতি
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ: বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি
৩ মাস আগে
আমরা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি, নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে সংঘটিত গণ–অভ্যুত্থানের কারণ আপনারা সবাই জানেন। এছাড়া এই মুহূর্তে আমরা এক ধ্বংসস্তূপের ওপরে দাঁড়িয়ে আছি। এই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই আমাদের নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বিচারপ্রক্রিয়ায় আমাদের বিচারবোধ, ন্যায়বিচারের মূল্যবোধকে বিনষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া সততার বদলে শঠতা, অধিকারের বদলে বঞ্চনা, বিচারের বদলে নিপীড়ন, আশ্রয়ের বদলে নির্যাতনকে স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত করা হয়েছে। অথচ এ রকম সমাজ ও রাষ্ট্র আমরা চাইনি।’
আরও পড়ুন: নতুন প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ
সোমবার (১২ আগস্ট) আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচারকক্ষে (প্রধান বিচারপতির এজলাস) অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শিষ্টের লালন ও অন্যায়ের দমন হলো বিচার বিভাগের শাশ্বত দায়িত্ব। বিচারক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যে কেউ অন্যায় বা শিষ্টাচার লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কেউ ভালো কাজ করলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। কিন্তু কোনো ধরনের বিচ্যুতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা ও গভীর শ্রদ্ধা জানাই গণজাগরণে আত্মদানকারী প্রত্যেক শহীদের স্মৃতির প্রতি। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ছাত্র-জনতার এই অভুত্থানের সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের অনেকেই এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমি তাদের সবার দ্রুত নিরাময় ও সুস্থতা কামনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি সারা দেশের সব ছাত্র-জনতা–শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি আরও অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশের সব স্তরের জনগণকে, যারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন।’
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘আজ থেকে প্রতিটি শ্রেয়, শুভ ও কল্যাণকর কর্মে সবাই বিচার বিভাগকে আপনাদের পাশে পাবেন। আমি সচেতন আছি, আমাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়াও জেলা জুডিশিয়ারি হলো বিচার বিভাগের সবচেয়ে বড় ও বিস্তৃত ক্ষেত্র। অধস্তন জুডিশিয়ারিতে কর্মরত বিচারক সহকর্মীরা আমরা সবচেয়ে বড় শক্তি। দেশের সাধারণ মানুষ বিচার বিভাগ বলতে মূলত ডিস্ট্রিক্ট জুডিশিয়ারিকে বোঝেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত সহকর্মীদের বলছি, আমি আপনাদের পাশে আছি। আপনারা কোনো ধরনের অন্যায়, চাপ ও ভয়ভীতির আশঙ্কা করবেন না। নির্ভয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে বিচারিক কাজ পরিচালনা করুন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ভগ্নদশা থেকে বিচার বিভাগও মুক্ত নয়। কিন্তু ছাত্র–জনতার বিজয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্ত নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে। আমরা যেন এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারি, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
এদিকে বেলা পৌনে ১১টার দিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাম্প্রতিক ঘটনায় নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি ও উপস্থিত আইনজীবীরা।
সংবর্ধনায় প্রথমে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতিসহ আরও দুই উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগ
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
শনিবার (১০ আগস্ট) আইন মন্ত্রণালয়ে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে আসিফ নজরুলের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিও বার্তায় জানান।
ওই ভিডিও বার্তায় আসিফ নজরুল বলেন, 'প্রধান বিচারপতি তার পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তা পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
তিনি বলেন, 'শুধু প্রধান বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, অন্য কোনো বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দেননি।’
দেশের সম্পদ ধ্বংস না করে রক্ষা করতে জনগণের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
এর আগে দুপুর ১টার মধ্যে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৩ মাস আগে
তুচ্ছ ঘটনায় মামলা করা বন্ধ না হলে জট কমানো অসম্ভব: প্রধান বিচারপতি
তুচ্ছ ঘটনায় মামলা দায়ের বন্ধ না হলে মামলাজট কমানো সম্ভব না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর নতুন করা মামলার ২০ শতাংশ থেকে যায়। বিচারকরা সাধ্যমত চেষ্টা করেও সব মামলা শেষ করতে পারেন না।’
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
সোমবার সকালে (২৫ জুন) নাটোর আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য নির্মিত ‘ন্যায়কুঞ্জ’র উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর পুরাতন মামলার সঙ্গে যোগ হয় নতুন মামলা। ফলে মামলাজট থেকেই যায়। এই মামলা নিষ্পত্তি করতে হলে দ্বিগুন বিচারক নিয়োগ করতে হবে। যেটা সম্ভব নয়। তাই জট কমাতে ছোট-খাটো বিষয় সমাজিকভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে।’
এজন্য গণমাধ্যমকর্মীসহ সাবাইকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বাবান জানান প্রধান বিচারপতি।
এছাড়া একই রকম মামলা একসঙ্গে করে নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস, জেলা ও দায়রা জজ অম্লান কুসুম জিষ্ণু, জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঞাঁ, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামকসহ অন্যান্য বিচারকরা।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জুডিশিয়ালি স্মার্ট হওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সৎ হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
৪ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জুডিশিয়ালি স্মার্ট হওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জুডিশিয়ালি স্মার্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুন হাসান।
স্মার্ট জুডিশিয়ালি করার ক্ষেত্রে দেশের ৬৪ জেলার আদালত চত্তরে ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা সাধারণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
শুক্রবার বিকালে দিনাজপুরের আদালত চত্বরে নব নির্মিত ‘ন্যায়কুঞ্জ’ (বিশ্রামাগার) উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচারকরা নিবেদিত।
বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং নব নির্মিত ন্যায়কুঞ্জের ফলক উম্মোচন করেন প্রধান অতিথি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
প্রায় পৌনে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বিশ্রামাগারে প্রায় ৭০ জনের স্থান সংকুলান সম্ভব। ন্যায়কুঞ্জের মধ্যে নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্হা রয়েছে। পাশাপাশি কোলের শিশুদের জন্য মাতৃদুগ্ধ পানের কর্নার ছাড়াও হালকা নাস্তা পানির জন্য স্টল রাখা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, জেলা ও দায়রা জজ যাবিদ হোসেন, স্পেশাল জজ রেজাউল করিম সরকার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সৎ হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
৫ মাস আগে
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সৎ হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সৎ হতে হবে।
তিনি বলেন, মামলার জট কমাতে আইনজীবীদের ভূমিকা রয়েছে। সঠিক আইনি পরামর্শের মাধ্যমে মামলার জট কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
বুধবার (২২ মে) বেলা ১১টায় লালমনিরহাট আদালতে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ বিশ্রামাগার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মামলা করে। এসব বিষয় সামাজিকভাবে মিমাংসা করাই ভালো, তবে তা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা এসব বিষয়ে পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে সচেতন করতে পারেন। ছোট ঘটনাগুলো মিমাংসার মধ্যে দিয়ে মামলার জট ও মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমানো সম্ভব।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইকবাল কবীর বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সাইফুল ইসলাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেনসহ আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
৫ মাস আগে
ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, সবাই ন্যায়বিচার পাবেন। বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মায়ের ইন্তেকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের দ্রুত বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। দ্রুত বিচার পাওয়ার যেমন সাংবিধানিক অধিকার, তেমনি দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা বিচারপতিদের নৈতিক দায়িত্ব।
এই আদালতে বিচার প্রার্থীদের বসার জন্য তেমন স্থান নেই। তাই প্রতিটি আদালতে এই রকম ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্রামাগারে বিচার প্রার্থীরা ছাড়াও অন্যরাও বসতে পারবেন।
ওই সময় গণপূর্ত অধিদপ্তরের অর্থায়নে সাড়ে ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে বিচারপ্রার্থী-বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন নির্মাণের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
৬ মাস আগে
মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জানিয়েছেন, মামলা জোট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিচারক থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই, তাই মামলার জট থাকবেই।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙ্গণে আসা বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
তিনি বলেন, দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একজন বিচারক। এছাড়া সরকারকে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
বিচাপতি আরও বলেন, মানুষ সামান্য বিষয়েও কারণে-অকারণে আদালতে মামলা করে, যা বাড়িতে বসেই সামাজিকভাবে সমাধান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মামলার জট কমাতে হলে আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক বিচার বা সালিশে জোর দিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ বিচারক ও আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন খারিজ
৮ মাস আগে
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু তার মক্কেলরা তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলায় জামিন পেয়েছেন তাই জেল থেকে বের হতে আর কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
৯ মাস আগে