প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সাক্ষাৎ
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
মঙ্গলবার(১৯ আগস্ট) দুপুরে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে এ সাক্ষাতটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা পারস্পারিক কুশলাদি বিনিময় করেন এবং বিচার বিভাগের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান বিচারপতি বিগত এক বছরে বাংলাদেশের বিচারবিভাগের উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার প্রধান বিচারপতির এক বছর পূর্তিতে তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বিগত এক বছরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রধান বিচারপতির প্রচেষ্টা ও কর্মপরিকল্পনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে, প্রধান বিচারপতির একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচারবিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিচার সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা আনয়নে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া, মামলায় বিবাদী পক্ষকে লিগ্যাল এইড প্রদানে ক্যাপাসিটি টেস্ট চালু, সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ আইন প্রণয়ন, বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন চালু এবং অধস্তন আদালতের সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলোকে কার্যকরী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্যের শিল্প কৌশল: সারা কুক
আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়া, বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী বিচার বিভাগ গঠনে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সারাহ কুক।
১০৭ দিন আগে
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কমিশনের আজকের আলোচনায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে—সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন।’
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের এগারোতম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘বিদ্যমান সংবিধানে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, প্রধান বিচারপতি হিসেবে কর্মে নিযুক্ত জ্যেষ্ঠতম একজনকে না করে কর্মে জ্যেষ্ঠ দুজনের মধ্যে একজন নিয়োগ করা হবে—এই বিষয়ে দুটি মত উপস্থিত আছে। কমিশন এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,’ যোগ করেন আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে গত ৭ জুলাইয়ের আলোচনায় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪১(ক) সংশোধন এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা যেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার না হয়—এই দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন: সংবিধান কোনো ‘সাহিত্য’ নয়
আলোচনায় অনুচ্ছেদ ১৪১(ক) সংশোধনের ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগের’ জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান অপসারণ এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে, এ বিষয়টা আরও সুনির্দিষ্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে আরও কী কী বিষয় সংযুক্ত করা যায়, সেসব আগামী সপ্তাহের আলোচনায় সুস্পষ্ট হবে, বলেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে রীয়াজ বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দল এমন একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা কার্যত যতদূর সম্ভব ত্রুটিহীন হয় এবং যে ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান আন্দোলন-সংগ্রামের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে। এই বিষয়েও আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৪৭ দিন আগে
হেল্পলাইন চালু হচ্ছে দেশের সব আদালতে
সুষ্ঠু বিচার সেবা নিশ্চিত ও অনিয়ম দূর করতে দেশের সব আদালতে হেল্পলাইন সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) সুপ্রিমকোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার ও বিচার সংক্রান্ত অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিতে দেশের ৬৪টি জেলা ও ৮টি মহানগরীতে সুপ্রিমকোর্টের আদলে হেল্পলাইন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সব নিম্ন আদালত, ট্রাইব্যুনালে নাগরিকের বিচারিক সেবা পাওয়ার বাধা ও অনিয়ম দূর করতে তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ও বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালকে ধাপে ধাপে হেল্পলাইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এতে বলা হয়, জেলা পর্যায়ে হেল্পলাইন সেবা ফলপ্রসূ করতে প্রতি জেলায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: জাতিসংঘের রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল
হেল্পলাইনের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন একজন বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা। হেল্পলাইনের মাধ্যমে দেওয়া সেবার প্রতিবেদন মাসের সাত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা ও দায়রা জজের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টে পাঠাবেন তিনি।
গেল ২৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টে হেল্প লাইন সেবা চালু করা হয়। শুরুতে একটি হেল্পলাইন নম্বর (০১৩১৬১৫৪২১৬) চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বিচারপ্রার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পর আরেকটি হেল্পলাইন নম্বর (০১৭৯৫৩৭৩৬৮০) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এসব নম্বরে সরাসরি ফোনকল অথবা হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) মাধ্যমেও যোগাযোগ করা যাবে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই সেবা পাওয়া যাবে।এছাড়া [email protected] ইমেইল ঠিকানা ও সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে (https://www.Supremecourt.gov.bd) ঢুকে অভিযোগ (Online Complain Register) কিংবা পরামর্শ দেওয়া যাবে।
২০৪ দিন আগে
দুবাই সামিটে এআই নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতায় জোর প্রধান বিচারপতির
দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ (এআই) অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন ভবিষ্যতের কথা ভাবি, তখন অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জগুলোর বৈশ্বিক প্রকৃতিও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। এআই ও আধুনিক প্রযুক্তিগুলো কোনো দেশের সীমা বা নিয়ন্ত্রণ মানে না। তবে বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এআই নিয়ন্ত্রণে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি, যা একই সঙ্গে উদ্ভাবনী ও ন্যায়সঙ্গত।’
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গভর্নমেন্ট সামিটের ওয়ার্ল্ড রেগুলেটরি ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে এআইয়ের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়ে নিজের অভিমত তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরিতে রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘এআই ব্যবহার করে কঠোর রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ও রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে পারি, যা নমনীয়, স্থিতিশীল ও দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে।’
‘শুধু কারিগরি বা আইনি চ্যালেঞ্জ নয়, এটি নৈতিক দায়িত্বও বটে। আমরা যখন ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রক কাঠামো গড়ে তুলছি, তখন আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে এটি শুধু বর্তমানের স্বার্থ রক্ষা করবে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজনও মেটাবে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আধুনিক রেগুলেটরি মেকানিজম এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন তা সচল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত জটিলতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হয়।
বিভিন্ন খাতে এআইয়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, এআই ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অর্থনীতি ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তবে এর পাশাপাশি এটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক, আইনি ও নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, এআইয়ের প্রয়োগ বৈশ্বিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম বিধায় এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজন। তাই এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক ও নেতাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সময়ের আবর্তে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তা যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে বিষয়ে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি।
নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোর পরিমার্জনে রেগুলেটরি মেকানিজম অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আইন প্রণয়নের জন্য উদ্ভাবনী রেগুলেটরি টুলগুলো ব্যাপকভাবে গ্রহণের আহ্বানও জানান প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, এআই কিংবা এ ধরনের অন্য কোনো আধুনিক প্রযুক্তির জটিলতা মোকাবিলায় এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট দেশীয় আইনি কাঠামো যথেষ্ট নয়।
এ বিষয়ে সিভিল ও কমন ল’ফ্রেমওয়ার্কের সমন্বয়ে অভিযোজনযোগ্য আধুনিক আইনি কাঠামো গঠনে বিশ্বের আইনজ্ঞ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সেক্রেটারি জেনারেল মরিয়ম আল হাম্মাদি।
২৯৪ দিন আগে
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিচার বিভাগীয় উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণে চীনের সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক ও শক্তিশালী করতে প্রধান বিচারপতির সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং উভয় দেশের বিচারকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও বিনিময়ে সহযোগিতা করতে চীনের প্রস্তুতির কথা জানান।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জবাবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের বিপ্লব পরবর্তী সময়ে।
চীনের সঙ্গে বিচার বিভাগীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধান বিচারপতি।
৩৩৯ দিন আগে
প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি গণমুখী বিচার বিভাগের প্রতিশ্রুতি প্রধান বিচারপতির
বিচার বিভাগ জনগণের পাশে দাঁড়াবে বলে আশ্বাস দিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য এরই মধ্যে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে 'সুশাসনের জন্য জনকেন্দ্রিক সংস্কার: সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা' শীর্ষক নাগরিক সম্মেলন ২০২৪-এর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা একদম ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছি। বিগত বছরগুলোতে বিচার প্রক্রিয়ায় আমাদের বিচারবোধ ও ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ বিনষ্ট করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সততার বদলে অসততা, অধিকারের বদলে বঞ্চনা, বিচারের বদলে নিপীড়ন, আশ্রয়ের বদলে নির্যাতনকে স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত করা হয়েছে। অথচ এরকম সমাজ ও রাষ্ট্র আমরা চাইনি। এই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আমাদের নতুন করে যাত্রা শুরু করতে হবে। আমি যে মূল্যবোধের বিকৃতি ও দূষণের কথা বলেছি, সেগুলো আমাদের আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজ থেকে প্রতিটি শ্রেয় শুভ হোক। কল্যাণ ও কর্মে সকলে গণমুখি ও জন কেন্দ্রিক বিচারবিভাগকে আপনাদের পাশে পাবেন।’
আরও পড়ুন: বিচারিক দক্ষতা নৈতিক বাধ্যবাধকতা, শুধু প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়: প্রধান বিচারপতি
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগও ভগ্নদশা থেকে মুক্ত নয়। তবে এ পর্যায়ে আমি দৃপ্তকণ্ঠে আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাইছি- এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে ইতোমধ্যে এক নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিজয়ের এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক সুবর্ণ সুযোগ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে। আমরা যেন এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারি সেদিকে আমাদের সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে।’
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিটিজেন্স প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এতে বক্তব্য দেন-প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কোরিন হেনচোজ পিগনানি এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলার।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
৩৬১ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির মধ্যে এটিই প্রথম একান্ত বৈঠক।
তারা প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।
৩৬৫ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ, ন্যায়বিচারের আশ্বাস
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বুধবার ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনাসহ দেশব্যাপী বিচারিক প্রাঙ্গণে ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় দেশজুড়ে বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিচার প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্ন থাকে তা নিশ্চিত করতে সমস্ত ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে পাশাপাশি জেলা জজ ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রধান বিচারপতি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সুস্পষ্ট নির্দেশনাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলেন প্রধান বিচারপতি
৩৭১ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলেন প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে ‘সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩’ পেশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে এ প্রতিবেদন পেশ করেন প্রধান বিচারপতি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসহ প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। সুপ্রিম কোর্টের সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট হলো বিচারপ্রার্থীদের সর্বশেষ ভরসাস্থল। আশা করি, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগ যৌক্তিক সময়ে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ও আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
৩৭৩ দিন আগে
দ্বৈত শাসনব্যবস্থার বিলোপ না হলে বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, দ্বৈত শাসনব্যবস্থার বিলোপ না হলে বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা তত দিন পর্যন্ত নিশ্চিত হবে না, যত দিন না বিচার বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান দ্বৈত শাসনব্যবস্থা অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এখতিয়ার সম্পূর্ণরূপে বিলোপ করে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। আর এটিই হবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রথম ধাপ।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘একটি ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থার কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে স্বল্প সময় ও খরচে বিরোধের মীমাংসা নিশ্চিত করে জনগণ, সমাজ, রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দেওয়া। এ জন্য বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা থেকে পৃথক ও স্বাধীন করা সবচেয়ে জরুরি। কেননা শাসকের আইন নয়, বরং আইনের শাসন করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মতো বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তাব প্রস্তুতক্রমে আমরা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। এই প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রধান উপদেষ্টা ও মঞ্চে উপবিষ্ট আইন উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ কার্যকররূপে পৃথক না হওয়া। এর কুফল আমরা সবাই ভোগ করেছিলাম দেড় দশক ধরে। এ ছাড়া আছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব। মামলা অনুপাতে বিচারকের নিদারুণ স্বল্পতা, বার ও বেঞ্চের মধ্যে...মনোভাবের ঘাটতি, আদালতগুলোর অবকাঠামোগত সংকট, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা না থাকা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে কোনো আইন না থাকা এবং প্রথাগত জ্যেষ্ঠতার নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ইত্যাদি বিষয়গুলো, যা আমাদের বারবার পিছিয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: আমরা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি, নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ যেন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে বিচার বিভাগের কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহযোগিতা কামনা করেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘এই সংস্কারের উদ্দেশ্য হবে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট হয়েছে, তা দ্রুত দূর করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী, আধুনিক, দক্ষ ও প্রগতিশীল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বর্তমানে বিচারকদের পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো ঘোষিত নীতিমালা নেই। ফলে পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময়ই বিচারকেরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে যথোপযুক্ত নীতিমালা দ্রুত প্রণয়ন করব। শুধু বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করলেই হবে না, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে সংবিধানের ৯৫(২) অনুচ্ছেদে যে বিধান রয়েছে কেবল সেটুকু নিশ্চিত করে বিচারক নিয়োগের ফলে সুপ্রিম কোর্টে এক অভূতপূর্ব অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনেক ক্ষেত্রেই রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে পালন করেছে। এটি ন্যায়বিচারের ধারণার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’
তাই উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে অন্যান্য দেশে অনুসৃত আধুনিক পদ্ধতিগুলো বিবেচনায় নিয়ে দেশে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে একটি কলোজিয়াম ব্যবস্থা চালু করতে আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের মূল্যবোধকে বিনষ্ট ও বিকৃত করা হয়েছে। শঠতা, বঞ্চনা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। অথচ বিচার বিভাগের সবচেয়ে শক্তির জায়গা হচ্ছে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। তাই নতুন এই বাংলাদেশে আমরা একটা বিচার বিভাগ গড়তে চাই যেটি, সততা ও অধিকারবোধের নিশ্চয়তার একটি নিরাপদ দুর্গে পরিণত হবে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
৪৩৯ দিন আগে