শুক্রবার দিবসটির কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই সাথে তিনি সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘আজ জাতির জন্য এক শোকের দিন। এদিন জাতির মেধাবী সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানিরা তাদের হত্যা করে, উদ্দেশ্য ছিল জাতিক মেধাশূন্য করা।’
‘তারা মনে করেছিল, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা লাভ করলেও সামনে এগুতে পারবে না। আজ তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ অনেক অগ্রসর। সব উন্নয়ণ সূচকেই বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে। পাকিস্তানেই এবিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তারাও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনুসরণ করত চায়,’ যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন সাবেক নেতার নাম উল্লেখ করে উপাচার্য আরও বলেন, ‘দুঃখ হয় যখন দেখি তারা নিজেদের স্বার্থে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করছেন। অথচ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।’
আলাচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড . মো. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ হাসানুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক জহীর উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।