হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে পাঠানো তুর্কি নাগরিকের দেহের উপসর্গ মাঙ্কিপক্স নয় বলে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির বলেছেন, ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়ায় পরীক্ষার পর মঙ্গলবার বিকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ওই তুর্কি নাগরিক।
বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, ওই ব্যক্তিকে প্রথমে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাকে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ স্ক্রিনিংয়ের সময় ওই ব্যক্তি মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেন।
খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত কেউ মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমসহ দেশের বেশকিছু অনলাইন ও ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে 'দেশে বিদেশী একজন নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্সের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে' সংক্রান্ত যে তথ্যটি প্রচার হচ্ছে সে তথ্যটি সঠিক নয়।
এতে বলা হয়, দেশে মাঙ্কিপক্সে এখন পর্যন্ত কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়নি। ভবিষ্যতে কোন ব্যক্তির আক্রান্তের ঘটনা কখনো ঘটলে তা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে জানানো হবে।
এর আগে ২২ মে স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত ব্যক্তিদের নজরদারি ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাঙ্কিপক্স নতুন কোনো রোগ নয়। অতীতে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোর মানুষের মধ্যে এটি পাওয়া যেত। সম্প্রতি আফ্রিকান দেশগুলোতে ভ্রমণ না করেও ইউরোপীয় এবং আমেরিকান দেশগুলোতে মানুয়ের মধ্যেএটি শনাক্ত করা হয়েছে।
যারা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বা সংক্রামিত মানুষের কাছাকাছি এসেছেন তাদের মাঙ্কিপক্সের সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা উচিত।
পড়ুন: দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোন রোগী নেই: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়