শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচলে সময় লাগে এক থেকে সোয়া এক ঘণ্টা। কিন্তু মঙ্গলবার আসা-যাওয়ায় সময় লেগেছে ১০ ঘণ্টা। এর আগে সোমবার সময় লেগেছিল ছয় ঘণ্টা।
বিআইডব্লিউটিএ’র নতুন পথে ৩০ কিলোমিটার ঘুরে পালের চর-মাঝিকান্দি ন্যাচারাল চ্যানেল দিয়ে মঙ্গলবার রো রো ফেরি শাহ পরান ও বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ি যায় ৪ ঘণ্টায়। কিন্তু ফিরতে সময় নেয় ৬ ঘণ্টা।
বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘যেখানে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি পথে ফেরি চলতে সময় লাগে এক থেকে সোয়া এক ঘণ্টা। সেখানে চার থেকে ছয় ঘণ্টা লাগলে তো ফেরি চালানো সম্ভব হবে না। এভাবে চালানো সম্ভব নয়।’
তিনি জানান, এখন ফেরি চলছে জোয়ার-ভাটা দেখে। জোয়ারে ভালো চললেও ভাটায় ফেরিগুলো চলতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই চ্যানেল পাড়ি দিতে জোয়ারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
লৌহজং চ্যানেল সচল না হওয়া পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান নেই বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানিয়েছিল, ড্রেজিং শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লৌহজং চ্যানেল খুলে দেয়া হবে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেই লক্ষণ দেখা যায়নি। চ্যানেলটি কবে নাগাদ ব্যবহার উপযোগী হবে সে বিষয়েও মুখ খুলছেন না সংশ্লিষ্টরা।
এজিএম খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘সবাই এ পথের সমস্যার কথা জানে। তাই এখানে গাড়ি আসছে কম। চাপ পড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে। সেখানে চাপ কমাতে মঙ্গলবার একটি রো রো ফেরি পাঠিয়েছি। আগে তিনটি পাঠালেও দুটি আবার ফেরত আনা হয়েছিল।’