বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে ঘাট এলাকায় এসে চরম বিপাকে পড়েন যাত্রী সাধারণ।
এদিকে নাব্যতা সংকটে দীর্ঘদিন ধরে এ পথে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলতে পারছে না। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক কম লোড নিয়ে চলছে ফেরিগুলো। চ্যানেল এখন রয়েছে একমুখী। ফলে অতিরিক্ত ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগছে।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘নদীতে প্রচুর ঘূর্ণি-স্রোত। এমনিতে পানি কম, তার ওপর ঘূর্ণি-স্রোতে ফেরি চলতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া লঞ্চ ও সি বোড বন্ধ থাকায় ফেরিতে চাপ পড়েছে।’
বিআইডব্লিউটির নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিমুলিয়া ঘাটের টিআই মো. সোলাইমান হোসেন জানান, সাগরে তিন নম্বর সর্তকতা সংকেত থাকলেও নৌপথে রয়েছে এক নম্বর সর্তকতা সংকেত। কিন্তু বাতাসের পরিমাণ অনেক হওয়ায় নদী উত্তাল। তাই লঞ্চ ও সি বোট চলাচল অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সকাল ৯টার দিকে এসব বন্ধ করে দেয়া হয়।
বাতাস ও ঢেউ কমে আসলে আবারো লঞ্চ ও সি বোট চলাচল শুরু হবে বলে জানান তিনি।
অল্প পরিমাণে লোড নিয়ে ফেরি চলাচল করায় ঘাটে পারাপার হতে আসা যানবাহনগুলো যাত্রীসহ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আরমান হোসেন বলেন, লঞ্চ ও সি বোট বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ রয়েছে ফেরি ঘাটে। সেই সাথে যানবাহনের সংখ্যাও কম নয়। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নৌ-পুলিশ ঘাট এলাকায় কাজ করছে।