বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল। এ সময় আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
পরে জাহির সরোয়ার কাজল জানান, এই ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি এর আগে অনেক দূর এগিয়েছিল। কিন্তু বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ার পর বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতির পরিবর্তন হয়। এ কারণে নতুন করে শুনানি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। এই মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ের অংশ আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ স্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াশিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।
আদালত গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেয়।
এছাড়া রায়ে মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আসামি আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান এবং সরোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেয়া হয়।
পরে এ মামলার রায়সহ সকল নথি ‘ডেথ রেফারেন্স’ মামলা হিসেবে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এছাড়া আসামিরা আপিল দায়ের করেন। এরপর এ মামলার যাবতীয় নথি প্রস্তুত হলে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
সম্প্রতি হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ায় একজন বিচারপতির পরিবর্তন হয়।