ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, মোচাগড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার ২৫৬টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য চার বছর আগে কুমিল্লা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১ এ আবেদন করে। আবেদনের পর স্থানীয় বিদ্যুৎ দালাল আবুল কালাম আজাদ ও আবুল বাসার প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে মিটার প্রতি ১৫ হাজার টাকা আদায় করে। ওই সময় মৃত অহিদ আলীর ছেলে আব্দুল মতিন মিয়াও আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ সংযোগের অনুমোদন প্রদান করে। কিন্তু মতিন মিয়া দালাল চক্রকে চার হাজার টাকা দিলেও বাকি টাকা দিতে না পারায় মতিন মিয়ার আবেদনে একই এলাকার মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে সফিকুল ইসলামের ছবি লাগিয়ে দেয়া হয়। সেই আলোকে মতিন মিয়ার মিটারটি গত ২০১৫ সালের ২২ মার্চ সফিকুল ইসলামকে সংযোগ প্রদান করা হয়।
ওই মিটার ব্যবহার করা সফিকুল ইসলাম প্রায় ১৭ মাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখে।
এরই প্রেক্ষিতে কুমিল্লা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চান্দিনা অফিসের এজিএম লক্ষন চন্দ্র পাল বাদী হয়ে বকেয়া বিল চার হাজার সাত টাকা অনাদায়ের জন্য একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মঙ্গলবার রাতে মুরাদনগর থানার এসআই কবির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আব্দুল মতিনকে আটক করে বুধবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত একেএম মনজুর আলম বলেন, একটি মামলায় মতিন মিয়ার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় কুমিল্লা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান আবেদন ফাইলে ছবি পরিবর্তনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আব্দুল মতিনের নামের মিটার সফিকুল ইসলাম ব্যবহারের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। মামলা হওয়ার পূর্বে মতিন মিয়া নোটিশ পেয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আজ এ ঘটনাটি ঘটতো না।