জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মঈনউদ্দীন খান বাদলের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনউদ্দীন খান বাদলের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীও কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে হুইপ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সিনিয়র নেতা, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষ থেকে ফখরুল ইমাম, ১৪ দলের পক্ষ থেকে মূখ্য সমন্বয়ক মো: নাসিমের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ মঈনউদ্দীন খান বাদলের কফিনে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনউদ্দিন খান বাদলকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয়। মরহুমের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছেলে তাইমুর নূর।
জানাজায় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ মো: আতিউর রহমান আতিক, মো: নাসিম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো: শাহাবুদ্দিন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাহবুব উল আলম হানিফ, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, এ বি তাজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নজরুল ইসলাম বাবু,শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং শিরীন আখতার, দলীয় নেতারা, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে ৬৭ বছর বয়সে ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাদল। তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসন থেকে তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদে অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে তিনি খ্যাতি পান।
ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বাদল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্তান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাদল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও বাদলের ভূমিকা ছিল।