জানাজা
প্রিয় হাদি, তুমি হারিয়ে যাবে না, তুমি থাকবে বাংলাদেশের হৃদয়ে: প্রধান উপদেষ্টা
যতদিন বাংলাদেশ আছে, ততদিন শরিফ ওসমান হাদি সকল বাংলাদেশির ‘বুকের মধ্যে থাকবে থাকবেন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজ (শনিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বড়ভাই আবু বকর সিদ্দিক হাদির জানাজা পড়ান।
জানাজার বক্তব্য দিতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘লাখ লাখ লোক আজকে এখানে হাজির হয়েছে। পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে। সারা বাংলাদেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষ আজকে এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা তাকিয়ে আছে হাদির কথা শোনার জন্য আজকে। বিদেশে যারা আছে, বাংলাদেশি এই মুহূর্তে তারাও হাদির কথা জানতে চায়।
‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসি নাই এখানে। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো এবং চিরদিন, বাংলাদেশ যতদিন আছে, তুমি সকল বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে। এটা কেউ সরাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে তোমাকে বিদায় দিতে আসিনি। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি। তুমি যা বলে গেছ, সেটা যেন আমরা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা করার জন্য আমরা একত্র হয়েছি।
‘সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। সেই ওয়াদা করার জন্যই আমরা তোমার কাছে আজকে এসেছি। সবাই মিলে, যে যেখানেই আছি, আমরা তোমার যে মানব প্রেম, তোমার যে ভঙ্গি মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা, তোমার যে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, সবাই প্রশংসা করছে, সেটা আমরা মনে প্রাণে গ্রহণ করছি। যেটা যেন আমাদের মনে সবসময় জাগ্রত থাকে, আমরা সেটা অনুসরণ করতে পারি।’
৪ দিন আগে
লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দুপুর আড়াইটার দিকে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। এ ছাড়া বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলের নেতারাও জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শুরু হওয়ার আগে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা এ এফ এম খালিদ হোসেন। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে জানাজা পড়ান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
এর আগে, হাদির জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। ছোটবড় মিছিল নিয়ে শত শত মানুষ সংসদ ভবন এলাকায় ছুটে আসেন।
এ সময় তারা ‘হাদি মরল কেন’, ‘ইউনূস সরকার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই, আমার ভাই-হাদি ভাই, হাদি ভাই’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘হাদি ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই’, ‘বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
৪ দিন আগে
হাদির জানাজায় অংশ নিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জনস্রোত
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন জড়ো হতে শুরু করেছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ছোটবড় মিছিল নিয়ে শত শত মানুষ সংসদ ভবন এলাকায় আসছেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ‘হাদি মরল কেন’, ‘ইউনূস সরকার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই, আমার ভাই-হাদি ভাই, হাদি ভাই’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘হাদি ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই’, ‘বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে সেখানে জড়ো হচ্ছে জনতা।
কুমিল্লা থেকে হাদির জানাজায় অংশ নিতে এসেছেন মশিউর রহমান নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাই যেখানে কোনো অন্যায় বরদাশত করা হবে না। হাদির জানাজায় অংশ নেওয়া আমার জীবনের বেদনাদায়ক ঘটনাগুলোর একটি। তিনি মারা গেলেও বিপ্লবী কণ্ঠস্বরের মধ্য দিয়ে বিপ্লবী তরুণদের হৃদয়ে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন।
দুপুরে ২টায় ওসমান হাদির জানাজা পড়াবেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। এরপর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তার দাফন হবে।
হাদির জানাজা ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং আশেপাশে এলাকাজুড়ে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এক হাজার বডি-ওর্ন ক্যামেরাসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে ডিএমপি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদ ভবন ও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বডি-ওর্ন ক্যামেরা ও রায়োট কন্ট্রোল গিয়ারসহ ২০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়া জানাজায় যারা অংশগ্রহণ করবেন, তাদের কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। পাশাপাশি জানাজা চলাকালে সংসদ ভবন এলাকায় ও আশপাশে ড্রোন ওড়ানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চ এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছে, পরিবারের দাবির ভিত্তিতে তাদের সংগঠনের আহ্বায়ককে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
হাদির মৃত্যুর ঘটনায় আজ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদির উপর আক্রমণ হয়। ওই সময় মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলে।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল; সেখানেই বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
৪ দিন আগে
হাদির জানাজা কাল দুপুর ২ টায়
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজা শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের ব্যাগ বা কোনো ভারী বস্তু সঙ্গে না আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও জানাজা চলাকালে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও আশপাশে ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, হাদির পরিবারের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর পুরাতন পল্টনের কালভার্ট রোডে রিকশায় যাওয়ার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধের শিকার হন হাদি।
এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয় এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর ১৮) রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
৪ দিন আগে
চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নোমানের দাফন সম্পন্ন
চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামে নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানকে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে জানাজার নামাজ শেষে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে রাউজানে নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
জানাজায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয় আবদুল্লাহ আল নোমানের লাশ। সেখানে চট্টগ্রামের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
পরে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে আবদুল্লাহ আল নোমানের তৃতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জামায়াতের মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপি উত্তর জেলা আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মাহবুবের রহমান শামীম, মীর মোহাম্মদ হেলাল, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, আবুল হাশেম বক্কর, মরহুমের ছেলে সাঈদ আল নোমান, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ প্রমুখ।
২৯৯ দিন আগে
উপদেষ্টা হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা শনিবার সকালে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরিফ শুক্রবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শুক্রবার বাদ এশা ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান মসজিদে আরিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা আরিফের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান এবং তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
ভূমিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান করিম জানান, দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও ভূমি ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তার মেয়ে বিদেশ থেকে আসার পর তার দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ৮ আগস্ট আরিফকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরদিন তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত ২৭ আগস্ট তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১০ নভেম্বর তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
৩৬৮ দিন আগে
মায়ের পাশে সমাহিত হবেন হিমু
অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মারা যান। জানা গিয়েছিল এই তারকা আত্মহত্যা করেছেন। তবে সেটি নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রয়াত এই তারকার জানাজা শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বাদ জুমা চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন নাট্যাঙ্গন ও চলচ্চিত্রের নির্তামারা।
আরও পড়ুন: পরিচালনায় অরুণা বিশ্বাসের অভিষেক, মুক্তি পেল ‘অসম্ভব’
এদিকে জানাজা শেষে হিমুর লাশ নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর রওনা দেন স্বজনরা।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি ও অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুরে মায়ের কবরের পাশে হিমুকে সমাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার বন্ধু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফিকে আটক করেছে র্যাব-১।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে রাফিকে আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন র্যাবের এক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হুমায়রা হিমুর মৃত্যু: ঢাকার বংশাল থেকে একজনকে আটক করেছে র্যাব
অভিনেত্রী হিমু আর নেই
৭৮২ দিন আগে
চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের ঘটনায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫০ জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি দায়ের করেছে পুলিশ। এ ছাড়া মামলায় সংঘর্ষের সময় গ্রেপ্তার হওয়া ৪০ জনকেও আসামি করা হয়।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নগরের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে আলমাস মোড় পর্যন্ত জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এরপর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে বিক্ষুব্ধ অবস্থায় তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে আদালতে এপিপির উপর হামলা: ছাত্রলীগে নেতাসহ ২৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ৪০ জনকে আটক করা হয়। পরে আটক ৪০ ও পলাতক ২৫ জনসহ অজ্ঞাত ২৫০ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবীর বলেন, গ্রেপ্তার ৪০ জনকে দুপুরের মধ্যে আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতের কাছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
৮৬১ দিন আগে
মায়ের দোয়া চেয়ে পরীক্ষা হলে ছেলে, পরীক্ষা শেষে মায়ের জানাজায় ছেলে
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় মায়ের কাছে দোয়া চেয়ে সকালে এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিল এক শিক্ষার্থী। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
শনিবার (২৭ মে) পরীক্ষা শেষে মামার বাড়িতে গিয়ে মায়ের লাশ দেখতে পায় ওই শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলি পুশ করা ১৫০০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার
শিক্ষার্থী অনিক চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মোল্লাবাড়ির কামাল হোসেনের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, অনিকের মা আমেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। অনিকের নানাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা চলছিল তার।
শনিবার সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে মামাকে ফোন করে অনিক বলেন, ‘আজ পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা, আমি পরীক্ষা দিতে গেলাম। মাকে বলবেন আমার জন্য দোয়া করতে’।
এর আগেই মারা যান আমেনা বেগম। অনিকের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে বলে বিষয়টি চেপে রাখেন মামাবাড়ির লোকজন।
পরে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অনিকের জন্য অপেক্ষা করেন স্বজনরা। পরীক্ষা শেষে বের হলে তার মায়ের অসুস্থতার সংবাদ দিয়ে দ্রুত মামাবাড়ি সদর উপজেলার রঘুনাথপুরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
পরে মামার বাড়িতে মায়ের প্রথম জানাজায় অংশ নেয় অনিক।
পরে বিকালে স্বামীর বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় আমেনার।
অনিকের চাচাতো ভাই খালেকুজ্জামান শামীম জানান, অনিক জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনিকের পরীক্ষা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ‘শতকোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ হবে’
চাঁদপুরে ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ শিশু হত্যার অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
৯৪১ দিন আগে
বড় ভাইয়ের জানাজায় যোগ দিতে বিএনপি নেতার প্যারোলে মুক্তি
বড় ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিতে ছয় ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।
শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় রাজধানীর আজিমপুর ছাপড়া মসজিদে তার বড় ভাই মীর আরশাদ আলীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সরকার কাউকে জোর করে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারে না: আইনমন্ত্রী
বড় ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কান্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সপুর বড়ভাই মীর আরশাদ আলী গত শুক্রবার মারা গেছেন। শনিবার বেলা দেড়টায় রাজধানীর আজিমপুর সাপড়া মসজিদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানায় অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির ওই নেতাকে ছয় ঘন্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারাগারের একটি গাড়িতে সপুকে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কথা বলতে পারে বিএনপি: কাদের
আবেদন করলে খালেদার প্যারোলে মুক্তি বিবেচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৯৯৭ দিন আগে