জানাজা
উপদেষ্টা হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা শনিবার সকালে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরিফ শুক্রবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শুক্রবার বাদ এশা ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান মসজিদে আরিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা আরিফের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান এবং তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
ভূমিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান করিম জানান, দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও ভূমি ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তার মেয়ে বিদেশ থেকে আসার পর তার দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ৮ আগস্ট আরিফকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরদিন তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত ২৭ আগস্ট তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১০ নভেম্বর তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
১ দিন আগে
মায়ের পাশে সমাহিত হবেন হিমু
অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মারা যান। জানা গিয়েছিল এই তারকা আত্মহত্যা করেছেন। তবে সেটি নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রয়াত এই তারকার জানাজা শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বাদ জুমা চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন নাট্যাঙ্গন ও চলচ্চিত্রের নির্তামারা।
আরও পড়ুন: পরিচালনায় অরুণা বিশ্বাসের অভিষেক, মুক্তি পেল ‘অসম্ভব’
এদিকে জানাজা শেষে হিমুর লাশ নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর রওনা দেন স্বজনরা।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি ও অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুরে মায়ের কবরের পাশে হিমুকে সমাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার বন্ধু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফিকে আটক করেছে র্যাব-১।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে রাফিকে আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন র্যাবের এক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হুমায়রা হিমুর মৃত্যু: ঢাকার বংশাল থেকে একজনকে আটক করেছে র্যাব
অভিনেত্রী হিমু আর নেই
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের ঘটনায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫০ জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি দায়ের করেছে পুলিশ। এ ছাড়া মামলায় সংঘর্ষের সময় গ্রেপ্তার হওয়া ৪০ জনকেও আসামি করা হয়।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নগরের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে আলমাস মোড় পর্যন্ত জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এরপর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে বিক্ষুব্ধ অবস্থায় তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে আদালতে এপিপির উপর হামলা: ছাত্রলীগে নেতাসহ ২৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ৪০ জনকে আটক করা হয়। পরে আটক ৪০ ও পলাতক ২৫ জনসহ অজ্ঞাত ২৫০ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবীর বলেন, গ্রেপ্তার ৪০ জনকে দুপুরের মধ্যে আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতের কাছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
মায়ের দোয়া চেয়ে পরীক্ষা হলে ছেলে, পরীক্ষা শেষে মায়ের জানাজায় ছেলে
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় মায়ের কাছে দোয়া চেয়ে সকালে এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিল এক শিক্ষার্থী। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
শনিবার (২৭ মে) পরীক্ষা শেষে মামার বাড়িতে গিয়ে মায়ের লাশ দেখতে পায় ওই শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলি পুশ করা ১৫০০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার
শিক্ষার্থী অনিক চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মোল্লাবাড়ির কামাল হোসেনের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, অনিকের মা আমেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। অনিকের নানাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা চলছিল তার।
শনিবার সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে মামাকে ফোন করে অনিক বলেন, ‘আজ পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা, আমি পরীক্ষা দিতে গেলাম। মাকে বলবেন আমার জন্য দোয়া করতে’।
এর আগেই মারা যান আমেনা বেগম। অনিকের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে বলে বিষয়টি চেপে রাখেন মামাবাড়ির লোকজন।
পরে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অনিকের জন্য অপেক্ষা করেন স্বজনরা। পরীক্ষা শেষে বের হলে তার মায়ের অসুস্থতার সংবাদ দিয়ে দ্রুত মামাবাড়ি সদর উপজেলার রঘুনাথপুরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
পরে মামার বাড়িতে মায়ের প্রথম জানাজায় অংশ নেয় অনিক।
পরে বিকালে স্বামীর বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় আমেনার।
অনিকের চাচাতো ভাই খালেকুজ্জামান শামীম জানান, অনিক জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনিকের পরীক্ষা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ‘শতকোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ হবে’
চাঁদপুরে ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ শিশু হত্যার অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
বড় ভাইয়ের জানাজায় যোগ দিতে বিএনপি নেতার প্যারোলে মুক্তি
বড় ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিতে ছয় ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।
শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় রাজধানীর আজিমপুর ছাপড়া মসজিদে তার বড় ভাই মীর আরশাদ আলীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সরকার কাউকে জোর করে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারে না: আইনমন্ত্রী
বড় ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কান্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সপুর বড়ভাই মীর আরশাদ আলী গত শুক্রবার মারা গেছেন। শনিবার বেলা দেড়টায় রাজধানীর আজিমপুর সাপড়া মসজিদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানায় অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির ওই নেতাকে ছয় ঘন্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারাগারের একটি গাড়িতে সপুকে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কথা বলতে পারে বিএনপি: কাদের
আবেদন করলে খালেদার প্যারোলে মুক্তি বিবেচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিমানবন্দরে লাশের কফিন বদল: অবশেষে গ্রিস প্রবাসী আফসরের লাশ এলো বাড়িতে
জানাজায় অংশ নিতে তার বাড়িতে এসে জড়ো হয় পুরো গ্রামের মানুষ, লাশ বহনের জন্য প্রস্তুত করা হয় খাটিয়া, দাফনের জন্য খোঁড়া হয় কবর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাফন ও জানাজা হলো না। কারণ, কফিন খুলে জানা যায় লাশটি অন্য মানুষের!
এ ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের পূর্বপাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপীর গ্রামে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রবাসী নিখোঁজ: ১৪ দিন পর লাশ উদ্ধার
দামোধরতপী গ্রামের মৃত জমসিদ আলীর বড় ছেলে গ্রিস প্রবাসী আফসর মিয়া (৪০)। তিনি দীর্ঘদিন গ্রিসে বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গ্রিসের এথেন্সের সুতরি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
ভুল করে আফসর মিয়ার ঠিকানায় আরেক প্রবাসী মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির জালাল মিয়ার লাশ পাঠানো হয়।
স্বজনেরা পরে দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই লাশ মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর জালাল মিয়ার। পরে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে ঢাকাস্থ বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কে জালাল মিয়ার লাশ ফেরত দেয়া হয়।
সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক থেকে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার ভোর রাতে আফসর মিয়ার লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
এদিন সকাল ১০ টায় দামোধরতপী মসিজেদ জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানা যায়, গত ১০ মার্চ আফসর মিয়ার লাশ বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। নির্ধারিত তারিখে আফসর মিয়ার স্বজনেরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন লাশ নিতে।
কফিনের গায়ে আফসর মিয়ার নাম দেখে শুক্রবার রাতেই লাশ দামোধরতপী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনেরা। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে কফিন খুলে দেখেন লাশ অপরিচিত মানুষের।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী জানান, গ্রিসে মৃত্যুবরণকারী আফসর মিয়ার লাশ তার বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় গ্রাম্য কবরস্থানে লাশ সমাহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
অবশেষে বাড়ির পাশের পুকুরে ভেসে উঠলো নিখোঁজ শিশুর লাশ
১ বছর আগে
জানাযার সময় ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে দেয়া উচিৎ ছিল: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মায়ের জানাযার সময় কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আলী আজমের ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ ঘটনা তুলে ধরে একজন সাংবাদিক তথ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, জানাযার সময় ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া থাকার ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ দূরভিসন্ধিমূলক: তথ্যমন্ত্রী
তাদের বক্তব্য, সরকার এতটা 'অমানবিক' না হলেও পারতো। জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি।
আমি গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পড়ানো বা না পড়ানো হচ্ছে জেল প্রশাসনের কাজ। সেটি আবার পুলিশের অধীনে নয় এবং একজন আইজি প্রিজন আছেন সেই প্রশাসনের অধীনে। আমাদের পুলিশের যে মহাপরিদর্শক, তাদের অধীনে নয়।
তিনি বলেন, ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া জেল প্রশাসনই পড়ায়। আমি বিষয়টি চেক করেছি, তাকে প্যারোলে কয়েক ঘন্টার জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছিল।
এছাড়া কয়েকদিন আগে কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিল সেটি করা হয়নি বিধায় তদন্তে উঠে এসেছে এবং তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এজন্য তারা (গাজীপুরে) অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি এসপি পর্যায়েও কথা বলেছি তারা বিষয়টি জানতেন না। যারা বিএনপি নেতাকে কেরি (বহন) করে এনেছিল, শুধু তারাই জানতেন; অন্যরা কেউ জানতেন না। তবে আমি মনে করি যে জানাযার সময় তার ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।
রবিবার বিকালে বার্ধক্যজনিত কারণে আলী আজমের মা সাহেরা বেগমের মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি কালিয়াকৈরের পাবুরিয়াচালা এলাকায় জানাযায় উপস্থিত হন মো. আলী আজম।
স্বজনরা জানান, শেষবার মাকে দেখতে ও মায়ের জানাযা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে সোমবার বিকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। কিন্তু ওই দিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি মেলে তার। বেলা ১১টায় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। মায়ের দাফন শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন তিনি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে সব দলকে নির্বাচনমুখী করা। এটা নির্বাচন কমিশনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আমরাও চাই সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপিসহ সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একটি প্রতিযোগিতামূলক, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক-সেটি আমরাও চাই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটি একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সমস্ত কিছু নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করার পরও তারা যদি অংশগ্রহণ না করে তাহলে সেটি একান্তই বিএনপির নিজস্ব ব্যাপার।
তবে একটি কথা আছে, গাধা জল ঘোলা করে খায়। বিএনপি যেমন ১০ তারিখ গাধা জল ঘোলা করে খাওয়ার মতো করে খেয়েছিলেন, নয়াপল্টন অফিসের সামনে থেকে নড়বেন না (সমাবেশ ইস্যুতে), পরে গরুর হাটের ময়দানে গিয়েছেন।
এক্ষেত্রেও আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপি নির্বাচনে আসবে তাদের দল টিকিয়ে রাখার স্বার্থে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুখে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা হাস্যকর: তথ্যমন্ত্রী
বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নিউইয়র্ক থেকে ফজলে রাব্বির মরদেহ নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সশস্ত্র বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তার মরদেহ ঢাকা থেকে গাইবান্ধার সাঘাটার বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই
শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাখা হবে সেখানে বিকাল ৩টার দিকে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর তার মরদেহ গোটিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয় অনুসারে, বিকাল ৫টার দিকে সরকারের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার শেষে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দুই ছেলের কবরের পাশে ডেপুটি স্পিকারকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি ২২ জুলাই নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে (নিউইয়র্ক সময়) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন তিনি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মৃত্যুকালে তিন মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।
তিনি একজন স্বনামধন্য সংগঠক ছিলেন এবং বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়তে অনেক অবদান রেখেছিলেন।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি ১৯৮০ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ভলান্টারি স্টেরিলাইজেশন (বিএভিএস), গাইবান্ধার চেয়ারপারসন ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
ফজলে রাব্বি ১৯৪৬ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯- ৮৬ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা বার এর নির্বাচিত সম্পাদক ছিলেন।
২ বছর আগে
এএমএ মুহিতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এএমএ মুহিতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তার প্রথম নামাজে জানাজা রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। সর্বস্তরের মানুষ যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে সেজন্য দুপুর ১২টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মরদেহ এখন সিলেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং রবিবার তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দীর্ঘ অসুস্থতাজনিত কারণে মুহিত মারা যান বলে ইউএনবিকে জানান তার ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২০২১ সালের ২৫ জুলাই এমএ মুহিত করোনা আক্রান্ত হন এবং দীর্ঘদিন রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। সবশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন
শোক
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য মুহিত ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে চাকরিরত অবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রথম সরকারে যোগদান করেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সফল এ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ তাঁর স্ব কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও তার ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পৃথক আরেক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও মুহিতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনও।
এক শোকবার্তায় এফবিসিসিআইয়ের প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অতুলনীয় অবদানের জন্য জাতি তাকে মনে রাখবে।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কর্মজীবন
আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বছর সংসদে বাজেট পেশ করেন মুহিত।
তার আমলেই বাজেটের আকার প্রসারিত হয়।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মুহিত বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটের ধোপাদিঘীতে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা এবং সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আবদুল হাফিজের তৃতীয় সন্তান।
তার মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীও রাজনীতি ও সমাজসেবায় সক্রিয় ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ এএমএ মুহিত একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন
মুহিত দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, আইডিবি, এডিবি ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
তিনি ১৯৫১ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রদেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
মুহিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ-তে প্রথম হন এবং ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এমএ পাস করেন।
চাকরিকালীন তিনি ১৯৫৭ থেকে ৫৮ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৬৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর তিনি পূর্ব পাকিস্তান, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এবং তারপর বাংলাদেশ সরকারে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
মুহিত পাকিস্তানের ওয়াশিংটন দূতাবাসের প্রথম কূটনীতিক যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জুনে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
তিনি ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে পরিকল্পনা সচিব এবং ১৯৭৭ সালের মে মাসে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিরাগত সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন।
মুহিত ১৯৮১ সালে চাকরি থেকে অবসরে যান এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশন, ইফাদ, জাতিসংঘ,ইউএনডিপি, এডিবি এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে কর্মজীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেন।
তিনি ১৯৮২ সালের মার্চ থেকে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন।
মুহিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাপা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন।
তিনি ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে সিলেটের নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান ও জনসেবার নিবেদিত রেকর্ডের জন্য মুহিত ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীনের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নে তার নিজ গ্রাম পেমোইতে জানাজা হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় ঢাকা থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ কেন্দুয়ায় আনা হলে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এরপর মরদেহ নিয়ে হেলিকপ্টারটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন এবং গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃত্যুকালে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।
রবিবার সকাল ১০টায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দাফন করা হবে।
১৯৩০ সালে নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণকারী সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রচণ্ড আন্দোলনের মুখে সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ পদত্যাগ করায়, তিনি দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেন। পরে তার নেতৃত্বে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই তিনি আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক মনোনীত হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি তার পদ থেকে অবসর নেন।
বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক এই বিচারকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে