বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, আগামী দশকগুলোতে একটি সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের যা যা প্রয়োজন তা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সামনের পথ নিশ্চয়ই মসৃণ নয়। আর তা মাথায় রেখেই বাংলাদেশকে গণতন্ত্রকে পুষ্ট করতে, শাসনব্যবস্থার উন্নতি করতে, প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে এবং জনগণকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত মঙ্গলবার বাংলাদেশে তার প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি যখন বাংলাদেশের কথা চিন্তা করি, তখন একটি উপমা মাথায় আসে, আর তা হল- আমি এমন একটি গাড়িতে চড়ছি, যেখানে সড়কে চলাচল অতিবাহিত সময়কে প্রতিনিধিত্ব করে। আমি যখন গাড়ির রিয়ারভিউ আয়নায় তাকাই, তখন আমি অবাক হয়ে যাই যে মাত্র ৫১ বছরে বাংলাদেশ কত দূর এগিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি, যে দেশ তার স্বাধীনতা ও গর্বের ওপর ভর দিয়ে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। বর্তমানে যা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
পিটার হাস বলেন, ‘আমি যখন গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে রাস্তার দিকে তাকাই, তখন আমি কল্পনা করি আগামী ৫১ বছরে বাংলাদেশ কতদূর যেতে পারে। বাংলাদেশ এবং এর জনগণ গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে আছেন এবং তারাই ভবিষ্যতে গাড়িটি যে দিক ও গতিতে ভ্রমণ করবে তা নির্ধারণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যাত্রায় আপনাদের সঙ্গে ছিল, থাকবে। আমরা আপনাদেরকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করার জন্য আমাদের সাধ্যমতো সবকিছু করব।’
তিনি সুন্দরবন, রাজশাহী ও কক্সবাজারসহ বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে তার কিছু সফর ও কর্মকাণ্ডের কথাও স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন যে তিনি সর্বস্তরের বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং সিঙ্গারা, বিরিয়ানি ও মিষ্টি দই ভালোবাসতে শিখেছেন।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস