বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
পলকের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোরদারে প্রযুক্তি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত গণতন্ত্রের প্রসারে প্রযুক্তির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের বাংলাদেশি কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন নয়: অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে প্রশ্ন প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন যে অন্য কোনো দেশ অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুললে তা ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলে তারা মনে করেন না।
তিনি বলেন যে তারা তাদের কথা শোনে এবং যখন তার দেশে এই জাতীয় ইস্যু উত্থাপিত হয় তখন তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যখন অন্য কোনো দেশ আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় সম্পর্কে আমাদের কাছে ইস্যু উত্থাপন করে, আমরা তাদের কথা শুনি এবং আমরা দেখি যে আমরা তাদের কাছ থেকে কী শিখতে পারি। আমরা মনে করি না এটি ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন।’
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ১৩ জন রাষ্ট্রদূতের যৌথ বিবৃতি দেওয়াকে 'অকূটনৈতিক আচরণ' উল্লেখ করে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব পক্ষকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। আমি আশা করি আমাদের আজকের আলোচনার পর তারা বুঝতে পারবে যে তাদের যৌথ বিবৃতি সময়ের আগেই পেশ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের অকূটনৈতিক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন।’
তিনি বলেন, তারা কূটনীতিকদের গঠনমূলক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং তাদের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে একজন প্রার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার পর সম্প্রতি যৌথ বিবৃতি জারি করা ১৩টি বিদেশি মিশনের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে হিরো আলম নামে পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার আহ্বান জানানো হয়।
যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি মিশনগুলো বলেছে, ‘আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে 'বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচনের কথা বলেছে জাতিসংঘ
বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
১ বছর আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার বলেছেন, যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও যুক্তরাষ্ট্রে তাই চাই। ‘আমি কোনো দ্বিমত দেখছি না।’
ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের পর নতুন ভিসা নীতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত হাস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চ্যালেঞ্জের চেয়ে ইতিবাচক বিষয়গুলো দেখছে। বাণিজ্য, নিরাপত্তা সম্পর্ক, জনগণের মধ্যে বন্ধন, স্বাস্থ্যসেবা এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভালো সংলাপের বিষয়ে আমাদের একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নতুন ভিসা নীতি শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য: রাষ্ট্রদূত হাস
হাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার ঘোষণায় বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের।
এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে 'রুটস অব ফ্রেন্ডশিপ: ৫০ ইয়ারস অব ইউএস-বাংলাদেশ রিলেশনস'- শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
১ বছর আগে
সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও উন্নত দেশে পরিণত হতে প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে বাংলাদেশের: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, আগামী দশকগুলোতে একটি সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের যা যা প্রয়োজন তা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সামনের পথ নিশ্চয়ই মসৃণ নয়। আর তা মাথায় রেখেই বাংলাদেশকে গণতন্ত্রকে পুষ্ট করতে, শাসনব্যবস্থার উন্নতি করতে, প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে এবং জনগণকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত মঙ্গলবার বাংলাদেশে তার প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি যখন বাংলাদেশের কথা চিন্তা করি, তখন একটি উপমা মাথায় আসে, আর তা হল- আমি এমন একটি গাড়িতে চড়ছি, যেখানে সড়কে চলাচল অতিবাহিত সময়কে প্রতিনিধিত্ব করে। আমি যখন গাড়ির রিয়ারভিউ আয়নায় তাকাই, তখন আমি অবাক হয়ে যাই যে মাত্র ৫১ বছরে বাংলাদেশ কত দূর এগিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি, যে দেশ তার স্বাধীনতা ও গর্বের ওপর ভর দিয়ে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। বর্তমানে যা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
পিটার হাস বলেন, ‘আমি যখন গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে রাস্তার দিকে তাকাই, তখন আমি কল্পনা করি আগামী ৫১ বছরে বাংলাদেশ কতদূর যেতে পারে। বাংলাদেশ এবং এর জনগণ গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে আছেন এবং তারাই ভবিষ্যতে গাড়িটি যে দিক ও গতিতে ভ্রমণ করবে তা নির্ধারণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যাত্রায় আপনাদের সঙ্গে ছিল, থাকবে। আমরা আপনাদেরকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করার জন্য আমাদের সাধ্যমতো সবকিছু করব।’
তিনি সুন্দরবন, রাজশাহী ও কক্সবাজারসহ বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে তার কিছু সফর ও কর্মকাণ্ডের কথাও স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন যে তিনি সর্বস্তরের বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং সিঙ্গারা, বিরিয়ানি ও মিষ্টি দই ভালোবাসতে শিখেছেন।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস
১ বছর আগে