কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।’
সাম্প্রতিক তাণ্ডবে প্রাণ হারানো রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ ৩৪ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অপরাধীদের চিহ্নিত করতে জনসাধারণের সহায়তার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমার (আপনাদের) সাহায্য দরকার। আপনাদের যদি কিছু জানা থাকে দয়া করে আমাদের জানাবেন।’
আরও পড়ুন: সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার কাউকে দেশ ও জনগণের ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করতে দেবে না।
তিনি বলেন, 'আমরা কাউকে বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না, কাজেই আমি আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।’
শেখ হাসিনা দেশে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
শোকাহত পরিবারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে আপনাদের সান্ত্বনা দেব। তবে আমি আপনাদের কষ্ট বুঝতে পারছি।’
হামলাকারীদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, 'সাধারণ মানুষের কী দোষ, যার জন্য তারা নিহত হয়েছেন এবং চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন? মানুষ হত্যা করে, সরকারের পতন ঘটানো- এটা কখন হয়, কখন সম্ভব?’
শেখ হাসিনা, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, আমি আপনাদের মতোই। বাবা-মা ও ভাই হারানো এক এতিম। আমি আপনাদের কষ্ট বুঝি। আমি আপনাদের পাশে থাকব।’
হামলার নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, 'সবকিছু পুড়িয়ে ফেলা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মানুষকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা অকল্পনীয় নৃশংস। কীভাবে একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে? যারা এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত তারা অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হবে।’
তিনি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বিচার না হলে মানুষকে রক্ষা করা যাবে না।’
তিনি পরিবারগুলোকে ধৈর্য ধরার এবং এ ধরনের বর্বরতা থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আজীবন আপনাদের সঙ্গে আছি।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে জামায়াত-শিবির প্রথমে আড়ালে থাকলেও পরে তারাই সহিংসতা বাড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী