সহিংসতা
আশুলিয়ায় গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা করা হয়েছে: শ্রম উপদেষ্টা
আশুলিয়ায় গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
উপদেষ্টা বলেন, আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে কাজ করে যাচ্ছিল।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রথম থেকেই দেখছি, সুনির্দিষ্ট কিছু মানুষ উসকানি দিয়ে আসছে। রবিবারও যে ঘটনা ঘটেছে, সেটার মূল ঘটনা সবার জানা দরকার। একজন শ্রমিক সেখানে নিহত হয়েছেন, আমরা দুঃখিত। আমাদের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ১৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি গুজবের ভিত্তিতে রবিবার ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল। গুজব ছড়ানো হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে ধর্ষণ (রেপ) করেছে এবং দুইজনকে খুন করে লাশ ফেলে রেখেছে। এভাবে কারখানাগুলো থেকে শ্রমিকদের নামিয়ে আনা হয়েছিল’।
আরও পড়ুন: শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন: শ্রম উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুরসহ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে শ্রমিকরা। কিন্তু তখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের মধ্য থেকে অনুপ্রবেশকারী গুলি ছুড়েছিল প্রথম। প্রথম গুলিটি শ্রমিকদের ভেতর থেকে দুস্কৃতকারীরা ছুড়েছিল। সেখান থেকে গোলাগুলির সূত্রপাত হয়। দুঃখজনকভাবে সেখানে আমাদের একজন শ্রমিক নিহত হন। আরও সাতজন আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও ১৩ সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই পরিস্থিতি কখনোই চাই না, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই না। আশুলিয়ায় এতদিন ধরে আন্দোলন চলছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রেখে এসেছে। মালিকদের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে বেতন আদায় করা যায়, তারা সেই চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনীও একই কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর শ্রমিক-মালিকের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, যদি শ্রমিকদের বেতন না দেওয়া হয়, আমরা মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে সোমবার আলোচনা হয়েছে। যেসব কোম্পানির মালিক দীর্ঘদিন বেতন দিচ্ছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশুলিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই-তিনটি কারখানায় বেতন না হওয়ার কারণে সোমবার শ্রমিকরা বাইপাইলে সড়ক অবরাধ করেছেন। কারখানার মালিকদের খুঁজছি, কিন্তু তারা পলাতক। ব্যাংকেও তারা প্রচুর ঋণগ্রস্ত। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সেই আগের মতোই গুলি করে মানুষ হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুলিটা এসেছিল শ্রমিকদের ভেতরে অনুপ্রবেশ করা কারও পক্ষ থেকে। এরইমধ্যে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: কাজে যোগদান না করা পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা
জুলাই-আগস্টে ঋণ গ্রহণের চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ: ইআরডি
১ মাস আগে
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইএসপিআর চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:জনগণের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
এতে বলা হয়, এই অস্থিরতা তিন পার্বত্য জেলায় সহিংস দাঙ্গায় পরিণত হতে পারে। তাই তিন জেলার জনগণকে শান্ত থাকার এবং শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এর আগে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলাচল সীমিত করে।
গত বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার ভোরে খাগড়াছড়িতে সহিংস ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'বৈঠকে তরুণ কর্মকর্তাদের অসন্তোষের মুখে সেনাপ্রধান,’ খবর প্রত্যাখান আইএসপিআরের
২ মাস আগে
বাংলাদেশিদের ওপর সকল প্রকার সহিংসতা নিন্দনীয়
বাংলাদেশে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সহিংসতা এবং দুর্দশার কথা উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস বোয়েন বলেছেন, এই কঠিন সময়ে আমাদের সমবেদনা সব বাংলাদেশির প্রতি রয়েছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, 'সব ধরনের সহিংসতাকে ঘৃণা করতে হবে।
'আমি শুরুতেই বলেছি, সব বাংলাদেশির ওপর সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাতে হবে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়টি উত্থাপনের জন্য তিনি এই সুযোগটি নিতে চান।
অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রী বলেন, ‘আমি পশ্চিম সিডনির অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে মন্ত্রী ওংকসহ এই বিষয়টি উত্থাপন করে চিঠি দিয়েছি। আমরা এই উদ্বেগগুলো উত্থাপন অব্যাহত রাখব।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে তাদের প্রতিনিধিরা সক্রিয়ভাবে নিশ্চিত করছে যে অস্ট্রেলিয়া স্থিতিশীলতায় বজায় রাখতে ও সহিংসতা থেকে বের হয়ে আসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে মতামত উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদিকে ইউনূসের ফোন, বাংলাদেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস
বোয়েন বলেন, ‘অতীতে এই সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা হয়েছে, বিশেষত ২০২১ সালে দুর্গাপূজার সময়, তবে আমি এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হাউসের অবগতির জন্য উত্থাপন করতে এবং জাতিগত সংখ্যালঘু বাংলাদেশিদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছিলাম যে হাউস দেখছে এবং শুনছে।’
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার এই মন্ত্রী জানান, পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি ব্রিফিং ছিল, যাতে তিনি অনলাইনে অংশ নেন।
তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ড. চার্লটন, ড. ফ্রিল্যান্ডার, অ্যান স্ট্যানলি, থিসলথওয়েট এবং মন্ত্রী হুসিকের অফিস এবং মন্ত্রী রোলিনের অফিসের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন। কাম্বারল্যান্ড সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর সুমন সাহাসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির ৪৬ জন নেতা নিজ নিজ ইস্যুতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।’
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে সহিংসতার শিকার পরিবারের তিনজন সদস্যও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সেখানে খুব জটিল বিষয় রয়েছে এবং প্রতিটি প্রতিবেদন সঠিক হবে না। তবুও, আমি সন্তুষ্ট, তবে সত্যিকারের যে সমস্যা রয়েছে যা সমাধান করা দরকার। এই বৈঠকে প্রকৃত ইস্যুগুলো উত্থাপিত হয়েছে। তথ্যমতে ৭২৫টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৭২৪টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করা হয়েছে, ৫৮টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, ১৭টি উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ২১টি উপাসনালয় লুটপাট করা হয়েছে।’
এই পরিসংখ্যানের মধ্যে রয়েছে মানুষের গল্প উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রাহুল আনন্দের বাড়িতে লুটপাট করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে যে রাহুলের বাড়িটি সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ের কেন্দ্রস্থল ছিল। রাহুল বাংলাদেশি কমিউনিটিতে খুব জনপ্রিয় একজন সংগীতশিল্পী।
বোয়েন আরও বলেন, এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ তার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। ‘কিন্তু হামলার পর থেকে রাহুল বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এই ট্র্যাজেডির অনেক গল্পের মধ্যে এটি একটি। সকল সহিংসতাকে ঘৃণা করতে হবে। মন্ত্রী ওং স্পষ্ট করে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা দেখতে চাই। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের প্রচেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুসহ প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত: মোদির সঙ্গে ফোনালাপে ইউনূস
২ মাস আগে
কারখানাগুলোকে সহিংসতা-হামলা থেকে রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর: অধ্যাপক ইউনূস
বাংলাদেশের শিল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার সরকার কারখানাগুলোকে সহিংসতা ও হামলা থেকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে এই শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া।’
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শিল্প প্রবৃদ্ধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যবসায়ী নেতাদেরকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমরা এই শিল্পকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চাই।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব দেশে আশার নতুন যুগের সূচনা করেছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিল্প, অর্থ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ব্যবসায়ী নেতারা পোশাক ও ওষুধ খাতে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, তারা সন্দেহ করেন যে দেশের বাইরে বসবাসরত গোষ্ঠীসহ বহিরাগতদের প্ররোচনায় কারখানাগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপনার সহমর্মিতা ও উপলব্ধি গভীরভাবে স্পর্শ করেছে: ইউএই প্রেসিডেন্টকে ড. ইউনূস
শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে আরও ক্রয়াদেশ পাওয়ার প্রচেষ্টায় শ্রম সংস্কার গ্রহণের জন্য শিল্প নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করার বড় সুযোগ আমাদের রয়েছে। আমাদের শ্রম আইনকে আইএলও স্ট্যান্ডার্ডে উন্নীত করতে হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি বিশ্বের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এবং দেশের উৎপাদনকারীদের আরও ক্রয়াদেশ(অর্ডার) দিতে আগ্রহী।
বৈঠকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসের এজাজ বিজয় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ইউএনএইচসিআরের সহায়তা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
২ মাস আগে
৪ আগস্টের সহিংসতা: উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা ও তাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপুসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৭১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইসলাম ও মান্নার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে: আইন উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘৪ আগস্ট মাদাম ব্রিজ ও ঝুমুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয় ছাত্র-জনতা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ আদালতের সামনে ছিল। মামলার আসামিরা মিছিল নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে হামলা চালিয়ে আটজন পুলিশ সদস্যকে আহত করে তারা। ঘটনার সময় তাদের হামলায় ছাত্র-জনতাও আহত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন এলাকায় তারা দফায় দফায় হামলা চালায়। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কাজে বাধা এবং হামলা চালিয়ে আট পুলিশ সদস্যকে আহত করার ঘটনায় মোট ৭১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে টিপুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।’
সোমবার (১২ আগস্ট) সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনবিক চাকমা বাদী হয়ে মামলাটি করেন জানিয়ে ওসি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি টিপু পলাতক রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা
৩ মাস আগে
সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শোক পালিত
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোক পালন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কালো ব্যাজ ধারণ করে শোক পালন করেন।
এছাড়া, নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দুপুরে মন্ত্রণালয়ের মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন।
৩ মাস আগে
সহিংসতা ও মৃত্যুতে আমরা লজ্জিত: হাইকোর্ট
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় গভীর লজ্জা প্রকাশ করে প্রতিটি মৃত্যুকে ট্র্যাজেডি বলে আখ্যায়িত করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সব মৃত্যুই দুঃখজনক। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা লজ্জিত।’
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা এবং ডিবি হেফাজত থেকে ছয় সমন্বয়কের মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: যাকে ধরে নিয়ে যান, তাকেই খাবার টেবিলে বসান, জাতিকে নিয়ে মশকরা করবেন না: হাইকোর্ট
শুনানিকালে আদালত আরও বলেন, ‘সংবিধান ও আইনে সব বিষয় লেখা আছে। কিন্তু আমরা কেউ সংবিধান, আইন মেনে চলছি না। পুলিশ কি ধরনের আচরণ করবে তা তো সিআরপিসিতে পরিষ্কার বলা আছে। আমরা এমন কোনো কাজ করব না, যাতে জাতির ক্ষতি হয়।’
আদালত রিট আবেদনের শুনানি মূলতবি করেছেন। আগামীকাল ফের এ বিষয়ে শুনানি হবে।
পরে আদালত শুনানি মুলতবি করে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম প্রমুখ।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।
এদিকে শুনানি শুরুর পর আদালত কক্ষে দুই দফায় হট্টগোল হয়। ‘বিশেষ উদ্দেশ্যে’ এই রিট করা হয়েছে বলে দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
শুনানি মূলতবির পর এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রাণ রক্ষার জন্য আমরা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রিট নিয়ে আদালতে এসেছি। আর যাতে ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি না করা হয় সেজন্য এসেছি। আমাদের সন্তানদের রক্ষার জন্য এসেছি। আমরা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে আসিনি।’
এর আগে সোমবার (২৯ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালাতেও নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।
রিটে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনজীরের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক, হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল
৩ মাস আগে
সাম্প্রতিক সহিংসতায় আরও ১৪ মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ২৪৩: ডিএমপি
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় আরও ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার (এসি-মিডিয়া) জাহাঙ্গীর কবির জানান, এ নিয়ে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মোট ২৪৩টি মামলা রেকর্ড হলো।
তিনি বলেন, এ সময়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সম্প্রতি সারাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুই শতাধিক নিহতের খবর প্রকাশিত হলেও রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবি করেন, মাত্র ১৪৭ জন নিহত হয়েছে।
৩ মাস আগে
সহিংসতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ক্ষতি সাড়ে ৫ কোটি টাকা: আব্দুর রহমান
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় প্রাণহানিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয় ও দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও মোবাইল ভেটেরিনারি হাসপাতাল ভাঙচুরের ফলে আনুমানিক ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া রংপুর জেলা ও বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসে ভাঙচুরের ফলে সর্বমোট পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
রবিবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সাভারে এমনভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে চোখে না দেখলে এগুলো বিশ্বাস করা যায় না। দেখে মনে হয়েছে এসব স্থাপনার সঙ্গেই যেন যুদ্ধ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
তিনি বলেন, ‘সাভার প্রাণিসম্পদ অফিসে ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ সব আসবাবপত্র ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনার পরদিন দুইজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে দেখতে গেলে তাদেরও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের কাছ থেকে লুট করা মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।’
দুষ্কৃতিকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয় আর যাই হোক তারা কোনো স্কুল-কলেজের ছাত্র নয়। স্কুল-কলেজের নিয়মিত ছাত্র হিসেবে তাদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।’
সহিংসতায় প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যেকোনো প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি অপূরণীয় ও দুঃখজনক। আমরা প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। আমাদের সরকার ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনাও আন্তরিকভাবে এটি চান।’
সাভারে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক ভাঙচুর করায় সেবা প্রদান করা ব্যাহত হবে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এটি চালু করা সম্ভব না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাহত হবে। তবে এই মুহূর্তে এটি চালু করার মতো অবস্থায় নেই।’
সহিংসতায় খামারিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই কমিটি এটি নির্ণয় করে প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে প্রাণিজ পণ্য যেমন- দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, পরিবহন ও বিপণনের জন্য খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খামারিদের ক্ষতির বিষয়টি মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে দেখবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ অফিসে অগ্নিসংযোগে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে: আব্দুর রহমান
পদ্মা সেতু প্রতিবাদের ভাষা, বাঙালির উন্নয়নের প্রতীক: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৩ মাস আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত ১৪৭: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ১৪৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এর মধ্যে পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
রবিবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কতজন পুরুষ কিংবা কোন পেশার মানুষ কতজন- সেটি নির্ধারণের কার্যক্রম চলছে।
মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড, বর্বরোচিত আক্রমণ পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশ দেখেছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা এ-ও দেখেছি তারা একটা হসপিটাল পর্যন্ত রেডি রেখেছে, কেউ ইট কিংবা লাঠির আঘাতে আহত হলে তাদের সেখানে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আবার তাদের ভালো করে আরেক দল এসেছে। আগে থেকে একটা পরিকল্পনা করে আক্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের পুলিশ হত্যার বিভিন্ন ছবি দেখান।
পুলিশ যখন পারছিল না, তখন সেনাবাহিনীকে ডাকা হয় এবং কারফিউ জারি করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ক্রমে দেশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ক্রমেই আমরা সান্ধ্য আইন শিথিল করছি। যখন আরও স্বাভাবিক হবে তখন আমরা কারফিউ উঠাতে সক্ষম হব।
নিহতের সংখ্যা নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এই কয়দিনের আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের একটা তালিকা আমাদের কাছে আছে। এটি আমরা আরও যাচাই-বাছাই করছি। আরও যদি দুয়েকজনের খবর পাই তবে তা আমরা অন্তর্ভুক্ত করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৪৭ জন মারা গেছে বলে আমাদের হিসাবে রয়েছে। এখানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ রয়েছে, বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ের মানুষ রয়েছেন।
বিভিন্ন হাসপাতাল, বিভিন্ন জেলা থেকে নিহতের এ সংখ্যা পাওয়া গেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
'নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে ৫০০, কখনো বলা হচ্ছে ১০০০। সেজন্য আমাদের কাছে যে হিসাব সেটি আমরা দিলাম।'
তিনি বলেন, 'দোষী ব্যক্তিদের আমরা অবশ্যই শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা কাউকে এখানে ছাড় দেব না।'
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিশুদের গ্রেপ্তার করার কথা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলা হচ্ছে। এ কাজে (সহিংসতা) টাকার বিনিময়ে কিশোর গংদের কাজে লাগানোর তথ্য আছে।
পুলিশের গাড়ি থেকে লাশ টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেওয়া এবং আত্মসমর্পণের পরও পুলিশকে গুলি করতে দেখা গেছেএমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ প্রশিক্ষিত। তাদের অযথা গুলির করার দরকার হয় না। প্রতিটি গুলির হিসাব তাকে দিতে হয়। প্রতিটি মৃত্যুর জবাবদিহি তাকে করতে হয়। পুলিশ অযথা গুলি করেছে, শিশুকে মেরে ফেলেছে। এগুলো সম্পূর্ণই গুজব, অপপ্রচার।
নির্দোষ মানুষ গ্রেপ্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদের কাছে তথ্য আছে? কারে আমরা বিনা ইসে (কারণে) ধরেছি। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী পুলিশকে তালিকা করে দিয়েছে, প্রত্যেকটি গ্রেপ্তার ভিডিও ফুটেজ দেখে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হামলাকারীরা শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশব্যাপী সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ মাস আগে