এক সাঁওতাল নারীকে নির্যাতন ও তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বলেন, বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকার শাহবাগের প্রিতম হোটেল থেকে রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ।
এই ঘটনার পর রফিকুলকে দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করে গাইবান্ধা জেলা বিএনপি।
সে দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফিলুমিনা হাঁসদার ছেলে ব্রিটিশ সরেন বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামের পাশে সাঁওতালদের পৈতৃক জমি, যা বাঙালিরা দখল করে নিয়েছে, সেই জমিতে রফিকুল ইসলাম মাটি ভরাট করছিলেন। তা দেখে গ্রামের কয়েকজন সাঁওতাল যুবক বাধা দিতে গেলে আমার খালাতো ভাই নিকোলাস মুর্মুকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, খালাতো ভাইকে মারধরের কথা শুনে আমি প্রতিবাদ করতে গেলে চেয়ারম্যান আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে আসেন। এ সময় আমার মা চেয়ারম্যানের লাঠি ধরতে গেলে চেয়ারম্যান তার কানে থাপ্পড় দেন। এতে মা মাটিতে পরে যান ও তার কান দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাবা-মাকে মারধর করায় ছেলের কারাদণ্ড
ওই রাতেই চেয়ারম্যানের লোকজন বাড়িতে আগুন দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পরদিন ফিলুমিনা হাঁসদার আরেক ছেলে জুলিয়াস সরেন বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম, তার ভাই ও অন্য চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তাকে গাইবান্ধায় ফিরিয়ে আনা হবে।’