ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাশ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) অফিসে সাংবাদিকদের কাছে এ ক্ষমা চান।
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এটা আমাদের ব্যর্থতা, কিছু বিশৃঙ্খল ছাত্রলীগ কর্মী অপ্রত্যাশিতভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে এরকম কোনো নির্দেশনা ছিল না, এ কারণে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এটা একেবারে অপ্রত্যাশিত, ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা ছাত্রবান্ধব শিক্ষাঙ্গন বজায় রাখতে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। আমরা তাদের সাথে সবসময় ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। বিশৃঙ্খল কর্মীরা আমাদের সংগঠনের দুর্নাম করছে। কিন্তু এটা আমাদের ব্যর্থতা এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেব।’
হামলায় সম্পৃক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাশ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি লাইব্রেরিতে ছিলাম, সংঘর্ষের কথা শুনে ঘটনাস্থলে আসি। এ অপ্রত্যাশিত ঘটনা সম্পর্কে আমরা জানতাম না। তারপরও এ ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, ‘জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ সময় ডুজা সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির, সাধারণ সম্পাদক মাহাদি আল মাহতাসিম নিবির ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতাদের স্বাগত জানাতে কর্মীরা জড়ো হলে হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া তিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকের ওপরও হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
আহত তিন সাংবাদিক হলেন- স্টুডেন্ট জার্নালের আনিসুর রহান, বিজনেস বাংলাদেশের নুরুল ইসলাম আফসার ও প্রতিদিনের সংবাদের রাহাতুল ইসলাম রাফি।
যোগাযোগ করা হলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ছাত্রলীগের ঢাবি শাখা সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
ছাত্রলীগ তাদের কর্মীদের মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।