সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্য চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান (অব.), সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
কাজী হাবিবুল আউয়াল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক। তিনি ২০১৪ সালের ৩ মার্চ তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগদান করেন।
এরপর ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি একই মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব হিসেবে পুনরায় নিযুক্ত হন।
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পরবর্তী পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটির সুপারিশকৃত ১০ জনের নাম গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: সিইসি ও ইসি পদে ১০ জনের নাম প্রস্তাব আ. লীগের
প্রতিটি পদে দুজনের নাম প্রস্তাব করা হয়।
সেসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাছাইকৃত নামগুলো শিগগিরই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
এই মাসের শুরুর দিকে সার্চ কমিটি গঠনের পর থেকে বিশিষ্ট নাগরিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে রাষ্ট্রপতি। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অধিকাংশের পক্ষ থেকেই নাম দেয়া হয়েছে।
তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল কারও নাম পাঠায়নি।
প্রথমবারের মতো সংবিধান প্রদত্ত আইন অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে। সিইসি ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত আইন গত ২৭ জানুয়ারি সংসদে পাস হয়।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সাম্প্রতিক সহিংসতাপ্রবণ ইউপি নির্বাচনের অদক্ষ পরিচালনার অভিযোগের মধ্যে সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।
সার্চ কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আর অন্য সদস্যরা ছিলেন- বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি