এদের একজন বাসচাপায় এবং অন্যজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার এস আই আবুল কাসেম বলেন, সকালে রাজফুলবাড়িয়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে স্থানীয় ডেলিগেট গার্মেন্টসের শ্রমিক মৌ আক্তারের (১৯) লাশ তার শয়ন কক্ষে দেখতে পায় প্রতিবিশিরা। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে নিহত ওই গার্মেন্টস শ্রমিকের স্বামী তপন মিয়া পলাতক রয়েছে। নিহত গার্মেন্টস শ্রমিকের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার নগর শাওতা গ্রামে।
অন্যদিকে সকালে সাভারের উলাইল থেকে স্থানীয় আল মুসলিম গার্মেন্টসের সহকারী স্টোরকিপার শাহিন হোসেনের (৩৩) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে সে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির হানিফ পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দিলে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর আল মুসলিম গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে অতিরিক্ত শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে রাস্তা থেকে সড়িয়ে দেয়।
এদিকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে বাসটি আটক করলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।
নিহত ওই গার্মেন্ট শ্রমিক দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার সাকুয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রব এর ছেলে। সে সাভারের আড়াপাড়া এলাকায় এখলাছ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
পুলিশ জানায়, ঘটনা দুটির তদন্ত হচ্ছে ও সাভার মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।