স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় তিনজন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন এবং ফরিদপুরে সাপের কামড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ৩০ জুন থেকে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়া, আরআইটি’র মতো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪০ হাজার ৭১০ জন।
দেশজুড়ে ১৬৩টি উপজেলার অনেক এলাকা ও ফসলের খেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, ১৯৯৮ সালের পর যা সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা বলে মনে করা হচ্ছে।
বন্যার পানিতে হাজার হাজার হেক্টর ফসলের খেত ভেসে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কতা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন সংলগ্ন নিম্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
বুধবার সকালে সারা দেশে পাঁচটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে যা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।